পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোকশিক্ষা q সৰ্ব্ব সাধারণের জন্য শিক্ষার যে প্রস্তাব হইয়াছে শ্ৰীযুক্ত বিপিনচন্দ্র পাল তাহার বিরোধী । সকলে যাহ। চায়, কেন বিপিনবাবু তাহার বিরোধী হইলেন, সে সম্বন্ধে তাহার স্পষ্ট বাণী’ আমরা পৌব মাসের ‘বঙ্গদর্শনে প্রাপ্ত হইয়াছি। তিনি সৰ্ব্বসাধারণের শিক্ষার বিরোধী নহেন। তবে যে প্রণালীতে শিক্ষা দেওয়া হইবে, fতনি সেই প্রণালীর বিরোধী। তাহার কথাটা এই—আমাদের সমাজ শাসনের উপর প্রতিষ্ঠিত, পাশ্চাত্য সমাজ ব্যক্তিত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত। পাশ্চাত্য শিক্ষায় আমাদের এই বিশেষভাবটা নষ্ট হইয়। যাইবে এবং আমরাও আমাদের বিশেষত্বভ্রষ্ট হইয়া কাফ্রি বা জাপানীদের মত কিন্তু কিমাকার शैद श्ढ़ेब्र। मैड़िाहेर। ব্যক্তিত্ব ছাড়া মাতুম মনুষ্যপদবাচ্য নহে, বিপিনবাবু তাহা জানেন বলিয়াই খোলাস৷ রাখিবার জন্য বলিয়াছেন, হিন্দুশাসনও ব্যক্তিত্বের চূড়ান্ত মীমাংসা করিয়াছেন এই মে, সমাজে শাসন আর সন্ন্যাসে ব্যক্তিত্ব। যতদিন মানুষ সমাজে থাকিবে ততদিন তাহার জন্য কেবলই শাসন, সন্ন্যাস গ্রহণ করিয়া সে ব্যক্তিত্ব ভোগ করিবে । হিন্দুর এই সমাধান যে হিন্দু পরে পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়াছেন, ইহার বিষময় ফলে ८श नमांछन्नैौदन शूङ थॉम्न श्झांtछ्, गांठूय সামাজিক জীবনে যে অভিজ্ঞতা লাভ করে পঞ্চাশোর্থে তাহ লইয়া জঙ্গলে চলিয়৷ গেলে মানব-সমাজের সমূহ কৃতি অর্থাৎ সামাজিক জীব মানুষের জীবনের সর্ম প্রধান সমস্যার মীমাংস যে অতি সামাজিক হইতে পারে না, বিপিনবাবু এই কথাট। তাগাইর দেখেন নাই বলিয়াই ইহা লঙ্গয়৷ এত হাঙ্গামা করিয়াছেন। মামুষের জ্ঞানেন্দ্রিয় ও কৰ্ম্মেন্ত্রিয়ের মধ্যে যতই বিবাদ থাকুক্‌ না কেন, উভয়কে এক য় থাকিতেই হইবে । মানবসমাজ জীবদেহেরই ন্যায় Organism, শাসন ও ব্যক্তিত্ব অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। উভয়কে পৃথক করা যায় না। শাসনবিহীন ব্যক্তিত্ব ব্যক্তিত্বই নয় ; আবার যেখানে ব্যক্তিত্ব নাই সেখানে শান অর্থহীন। উভয়কে মিলিত করা শক্ত বলিয়া এক অবস্থায় শাসন ও এক অবস্থায় ব্যক্তিত্বের ব্যবস্থা শুনিলেই ইলিয়টু সাহে বের একবেল ডাল আর একবেল। ভাতের কথা মনে পড়ে। চিরজীবন ব্যক্তিত্বলোপী শাসনের মধ্যে থাকিয়া ব্যক্তিত্ব কখনও লাভ চইতে পারে না। পার্থীকে সৰ্ব্বদা খাচার মধ্যে বদ্ধ রাখিয়া একদিন হঠাৎ তাহাকে ছাড়িয়া দিলে, সে উড়িতে পারে না, আবার wথাচার মধ্যে আসে। তাই “পঞ্চাশোদ্ধং বনং ব্ৰঞ্জেৎ" ব্যবস্থা থাকিলেই শতবর্ষেও কেহ ঘরের বাহির হয় না। আর' সন্ন্যাসী নামধারী দলের মধ্যে জটাধারী বিভূতিমণ্ডিত দশ বছরের বালকের অসদ্ভাব নাই ! জীবন্ত দেহকে ধড় ও মন্তক এই দুই ভাগে বিভক্ত করিলে কি হয় ? এইরূপে বিভক্ত চইয়া আমাদের সমাজ ও সন্ন্যাস দুইই অকৰ্ম্মণ্য হইয়াছে। ।