১১শ সংখ্য। ] বিপিন বাবুর , মূল আপত্তি এই যে, শিক্ষার ব্যবস্থা যখন আমাদের হাতে থাকিবে না, তখন সে শিক্ষাদ্বারা আমরা জাতীয় চরিত্র ধ্বংস করিতে চাই না। এখন প্রশ্ন এই, আমরা কি কখনও একটা জাতীয় শিক্ষার উদ্ভাবন করিয়া আমাদের জাতীয় বিশেষত্বের রক্ষণ আশা করিতে পারি ? এইখানে বলিয়। রাখা ভাল, যে এই বিশেষত্ব বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে আমি বিপিনবাবুর সঙ্গে এক মত নহি । কেননা, এখন আমাদের পক্ষে এক স্ত ব্যক্তিত্ববিহীন সামাজিক চরিত্র রক্ষা করার চেষ্টায় আমরা আমাদের জাতীয় জীবনকে বিনাশের দিকে লইয়া যাইব । আমরা এখন আর ভিতর হইতে গড়িয়া উঠিতেছি না r বাহিরের চাপ অ:মাদি গকে গড়িতেছে। এই চাপের সঙ্গে মিলাইয়। যতটা জাতীয় বিশেষত্ব রক্ষা করিতে পারি, তাহাই আমুদের কৰ্ত্তব্য। পারিপার্থিক অবস্থানিচয় আমাদের নিরপেক্ষ হইয়াই গড়িয়া উঠিতেছে, সে গুলির উপর যেমন এক দিকে হাত নাই, অন্যদিকে সেগুলির হস্ত এড়াইবারও শক্তি নাই। তখন রাগ করিয়া ঘরের দরজা বন্ধ করিলে মৃত্যুকেই ডাকিয়৷ আন হয় না কি ? আর, যে বিশেষত্ব বজায় রাখিবার জন্ত এই প্রয়াস, তাহ আমাদিগকে কল্যাণের পথে লইয়া যায় নাই । তাগর পুরিবর্তন প্রয়োজন হুইয়াছে। সাৰ্ব্বজনীন শিক্ষা প্রচলনের দ্বারাই এই পরিবর্তন সাধিত হইবে । এখন সে শিক্ষা আমরা চাহিয়া লইলে ইহার উপর আমাদের লোকশিক্ষ। 总@刊 কিছু হাত থাকিলেও থাকিতে পারে এবং টানাটনি করিয়া এই পরিবর্তি ও পরিশোধিত বিশেষত্বের একটু স্থানও করিয়৷ লওয়া যাইতে পারে। পরে সে সুযোগও থাকিবে না । জগতে সৰ্ব্ব এ ধীরে ধীরে বাধ্যতামূলক সাধ্বজনীন শিক্ষা প্রচলিত श्३८थ्tछ्। छ:४४ गुन्न (प श्रभItभन्न যোগ তাঁহা আমাদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে ন। সুতরাং জগতের সঙ্গে যোগ কাটিবার আমাদের শক্তি নাই। জগতে যাহা হইতেছে ত{হা আমাদেরও হইবে । সেদিন তে। এ ত্রে ত থামাঙ্গতে পারিব না। সুতরাং স্রোতে ভাগিয়া যাইবার পূৰ্ব্বে ঘর সামূল।ইয়া লইলে ভাল হয় না কি ? আমরা নিজের রাষ্ট্রনিরপেক্ষভাবে যে নিজেদের শিক্ষার ব্যবস্থা করিব তাহার সস্তাবনা নাই, এবং ব্যক্তিত্ববিহীন শিক্ষার ব্যবস্থার প্রয়োজনও নাই। যাহা Practical politics 43 gifstă sig stal আন্দোলন নিফল এবং বিড়ালের সঙ্গে বাদ করিয়া নিরামিং ভক্ষণের ন্যায় হাস্থ্যকর। বিপিনবাবু যে পাশ্চাত্য শিক্ষাকে একে বারে নিরঙ্কুশ, ব্যক্তিত্বপ্রধান ও শাসনবিহীন মনে করিতেছেন, সেটা ঠিক নছে। তিনি কি দেখিতেছেন না যে এই প্রতিযোগিতার মধ্য হইতেই কেমন সুন্দর সহযোগিতা ফুটিয়। বাহির হইতে ে» ? আর আমাদের ব্যক্তিত্ববিহীন সংযোগিতা বিরাটু অমনোযোগিতায় পরিণত হইয়াছে। ইহাই স্বাভাবিক। ব্যক্তিগণই শাসনাধীন হইতে পারে। শাসন প্রতিষ্ঠিত করিতে হইলে ব্যক্তিত্বের প্রতিষ্ঠা আগে চাই । তাহা না
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।