পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ সংখ্যা ] সেদিকট। তিনি আদেী দৃষ্টিপথে রাখেন না। ইহাতে একটা দিক বেশ স্পষ্ট হয়, সন্দেহ নাই। তবে বিপদ . এই যে, তিনি যদি ঘটনাক্রমে দুই দিকেরই কথা বলিতে বাধ্য হন, তবে এই দুই দিকই সমান পূর্ণতা প্রাপ্ত হইয়া পরস্পরকে তাঘাত করে । আমার মনে হয় পৌষের বঙ্গদর্শনে এইরূপ বিপদ ঘটিয়া গিয়াছে। সাৰ্ব্বজনীন শিক্ষার প্রতিবাদ করিতে যাইয়া তিনি যে ব্যক্তিত্বের প্রসার অত্যন্ত হানিজনক মনে করিয়াছেন, উপাধ্যায় ব্রহ্মবান্ধবের প্রশংসা করিতে যাইয়া সেই ব্যক্তিত্বের প্রতিষ্ঠাকেই জাতীয় তামসিকতা দূরীকরণের একমাত্র অস্ত্র বলিয়া প্রচার করিয়াছেন। আমি পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, মানুষ যে ক্ষেত্রেই কার্য্য করুক না কেন, মনটি তাহার সামাজিক আবেষ্টন বিপিনবাবু যদি রাষ্ট্রকে হিন্দুর সন্ন্যাসের ন্যায় মানুষের সামাজিক জীবনের বাহিরে স্থাপন করিয়া থাকেন, তবে তিনি একুট৷ মারাত্মক ভ্ৰম করিয়াছেন। অখণ্ড মানবজীবনকে এমন করিয়া খণ্ড খণ্ড করিয়া দেখিলে মানব-প্রকৃতিকে একেবারেই বুঝা হইবে না। রাষ্ট্র ক্ষেত্রে যদি ব্যক্তিত্বাভিমানকে জাগাইয়া জীবনের পক্ষে তাবগু করণীয় কাজ হয়, তবে সমাজক্ষেত্রেও গত্যন্তর নাই। বাহিরে সিংহ, ঘরে মেষ—এ অভিনয় বেশী দিন চলে না। ফলে, অল্পদিনের অভিনয়ের পর আবার মুষিকই হইতে হয়। ব্যক্তিত্ব জাগাইবার চেষ্টায় যদি ব্ৰহ্মবান্ধবের প্রশংসা নিহিত থাকে, তবে সে প্রশংসা সমাজ তোলাই জাতীয় • লোক-শিক্ষ 2© Ꮌ ংস্কারক ও শিক্ষা-সংস্কারক সকলেরই প্রাপ্য। বিপিনবাবু যে এ সকলের মধ্যে অসামঞ্জস্য দেখিয়াছেন, তাহার কারণ এই বে, তাহার লেখার পশ্চাতে Philosophy* অসদ্ভাব এবং অতিরিক ওকালতি-প্রিয়তা । বিপিনবাবুব, আর একটা কথার উল্লেখ করিয়াই এ প্রবন্ধ শেষ করিব। তিনি বলেন ংস্কারণের সমগ্র প্রাণ দিয়া ভাল বামিতে পারে না। তাহ হইলে না কি তাহাদের ব্যবসাই মাটি । এই উপলক্ষে তিনি স্বীয় জীবনের যৌবনকালের অভিজ্ঞতার হাড়িটা হাটের মাঝখানে ভাঙ্গিয়া দিয়াছেন। বিপিনবাবু তে। সন্তানের পি ।--জিজ্ঞাসা করিতে পারি কি তিনি যখন পুত্রের দোষ দেখিয়া তাহার সংশোধনের জন্য, মৌখিক নহে, কিন্তু কাৰ্য্যতঃ চেষ্টা করিয়াছেন, তখন কি কখনও মনেও সন্দেহ উপস্থিত হইয়াছে যে তিনি পুলকে ৫ iণ দিয়া ভালবাসেন না ? না চেষ্টার তীব্র ত{ট। ভালবাসার তীব্রতারই পরিচায়ক বলিয়। মনে হইয়াছে। যেখানে সে চেষ্টা দেখি না সেখানে ভালবাসাটা ভালবাসার পিকার বলিয়াই মনে করি। যে পিতা পুত্রের দোষ দেখিয়াও দেখেন না, ভাবেন আমার পুত্রের অনেক গুণ আছে দেযটা মায়, উৎ ৷ চলিয়। যাইবে তাহার জন্য সমাজের হস্তে বেত্র রহিয়াছে। চীনদেশে না কি পুলিশেরও ঐ রকম একটা কি বা স্থা আছে। ইহা ভাল শস হইতে পারে, কিন্তু উইl তামসিক ভালবাসা । শ্ৰীধীরেন্দ্রনাথ চৌধুরী। ബജ