পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৬৪ ও চতুষ্পাঠীগুলিতে সমস্ত মাসব্যাপী গীত৷ পাঠ হয়, গৃহস্থেরাও সকলে অন্ততঃ নিজ নিজ গৃহে একদিন গীত পাঠ করাইয়৷ 邻忆夺a1 বহাগ বিহু—লজুক পিষ্টকাদির ব্যবস্থা মাঘবিহুর মতই। দুঃখী ধনী সকলেই নিজ নিজ সাধ্যাকুসারে নববন্ধ পরিধান করেন ও আত্মীয় স্বজনকে দান করিয়া থাকেন। আপনারা হয় ত মনে কfরতেছেন যে বাজার হইতে বস্ত্র ক্রয় করিয়া দান করেন, কিন্তু তাহা নহে । স্ত্রীলোকেরা নিজ হস্তে বস্ত্র বয়ন করিয়া থাকেন। এখানকার ব্রাহ্ম ৷ হইতে অধস্তন সকল জাতির লোকেদের স্ত্রীলেকের বস্ত্র বয়ন করিয়া থাকেন । বস্ত্রপয়ন স্ত্রীলোকের বিশেষ গুণ। বস্ত্রবয়নের কৃতিত্বের উপর কন্যার সৎপাত্র লাভের বিশেষরূপে নির্ভর করে। এখানে বস্ত্রবয়ন দ্বারা জাতি চুতির ভয় নাই। সেদিন মাত্র বঙ্গদেশ এই বিষয়টা বুঝিতে পারিয়াছেন, কিন্তু এইদেশে আবহমানকাল এই সুন্দর প্রথাটা প্রচলিত রহিয়াছে। সে কথা যাক, যাহা বলতে ছিলাম কামরূপে প্রায় প্রসিদ্ধ গাম সঞ্চলে এই বিহুতে বাহবিয়া ক্রিয়া উপলক্ষে মেল। বসিয়া থাকে, সেই মেলাতে দেশীয় তামাস ও মল্লক্রিয়াদিও হইয়া থাকে। বঁহিবিয়ার বিবরণ সংক্ষেপে উল্লেখিত হইতেছে। গ্রামের লোক বঁাশ যোড়া দিয়া যত উচ করিতে পারেন করিয়া তাহার। সমস্ত গ্রামের লোককে আহবান করেন, যেন ঐটী স্বয়ম্বর কন্যা টকেও কে নিতে পারেন অর্থাৎ যে গ্রামের বঁাশ তাহ হইতে অধিকতর বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, ফাল্গুন, ১৩১৯ উচ্চ হইবে সেই বঁাশ স্বয়ম্বর লাভে সক্ষম হইবে এবং ঐ গ্রামের লোকের জয়ী হইবে । বাশের উচ্চতা অকৃটাবলোনী মনুমেন্টের প্রায় তুল্যই হইয়া থাকে। এই উৎসল উথেলী’ নামে প্রসিদ্ধ। প্রায় সমস্ত মাস বিশেষ সাতবিহু অর্থাৎ বৈশাখের ৬ দিন পর্য্যন্ত এই ব্যাপার চলিতে থাকে । প্রায় সকল কস্তারা এই বিহুতে পিত্র’লয়ে আগমন করিয়া থাকেন । বিহুর দিন গৃহপালিত পশু সকলকে তৈলমৰ্দন করাইয়া স্বান করান হয়। লাউ বেগুনের মালা গাথিয়া গলায় পরান হয়। কোমল বৃক্ষ পত্র লইয়। মৃদু মৃত্ব আঘাত করা হয়। এবং নিম্নলিখিতরূপ বচন বলা হয় দীঘী লাউর দীঘল পাত গরু বাচর জাত জাত । লাউ খাবি না বাকাল খাবি প্রতি বচরে বরি যাবি । পুরাতন পাখা পরিবর্তন করিয়া নববস্ত্রের ষ্ঠায় নূতন পাখার ব্যবহার হয়। প্রথমে দেবতা, গে, অগ্নি পরে গুরুজনকে ব্যঞ্জন করিয়া নুতন বর্ণের জন্য গৃহস্থ ব্যঞ্জনা ব্যবহার করেন। কুটুম্বাদি গৃহে ঐদিন উপস্থার দ্রব্য বা নববস্ত্রদান লইয়া সকলে পরপর যাতায়াত করেন। উপর আসামে ভাধনি উৎসব নাই । কেবল নিম্নশ্রেণীর-লোকের পুরুষ স্ত্রী এই উৎসব উপলক্ষে একত্রিত হষ্টয়া সমস্ত বৈশাখ মাস নৃত্যগীতাদি করিয়া থাকে। কামরূপে কিন্তু ঐক্কপ নৃত্যগীতাদির প্রচার নাই। ফাল্গুন মাসের সংক্রান্তি দিবস