পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২ | অতুলনীয়। মহাভারত কবিত্বের অমৃত-প্রস্রবণ, দর্শনের গভীর খনি, প্রাচীন পৃথিবীর অদ্ভূত ভূগোল, আৰ্যসমাজের অত্যুজ্জ্বল চিত্র, পৌরাণিকী গাথার অক্ষয় ভাণ্ডার, ধৰ্ম্মের অগাধ রত্নাকর, ও ভারতের বিচিত্র ইতিহাস । এই জন্যই মহাভারত পঞ্চমবেদ বুলিয়৷ বিখ্যাত। এই জন্যই প্রবাদ যে, পিতামহ ব্ৰহ্ম যপন একদিকে বেদবেদাঙ্গাদি ও অপরদিকে মহাভারত রাখিয়া তেল করেন, তখন মহাভারতের ভার অধিক হইয়াছিল। মহাভারত যে একাধারে আর্য্যজাতির মহান্‌ কাব্য, গভীর দর্শন, ও অদ্ভুত পুরাণ ইহা সৰ্ব্ববাসিন্মত। মহাভারতে ঐতিহাসিকতায় সংশয় আস্থাবান নিরক্ষর বা সাক্ষর হিন্দুগণ সকলেই মহাতারতকে ইতিহাস বলিয়া বিশ্বাস করেন। কিন্তু অনেক পাশ্চাত্য পণ্ডিত ও কতক পাশ্চাত্যশিক্ষায় শিক্ষিত এদেশবাণী মহাভারতের ঐতিহাসিকতা স্বীকার করেন না। র্তাহীদের মধ্যে কেহ কেহ আবার এতদূর পর্য্যন্ত বলেন যে, প্রাচীন ভারত ইতিহাস বুঝিত না, তাই প্রাচীন ভারতে ইতিহাস নাই, কেবল লৌকিকালৌকিক অসম্ভব ঘটনাবলির বিবরণ দেখিতে পাওয়া যায়।" সুতরাং আগে আমাদের পূর্বপিতামহগণ ইতিহাস শব্দের যথার্থ-মৰ্ম্ম অবগত ছিলেন কি না দেখা আবখ্যক প্রাচীন ভারতে ইতিহাস-জ্ঞান প্রাচীনভারতে যে ইতিহাসের মৰ্ম্ম পরিচিত ছিল তাহ পুরাণ, আখ্যান, কথা, বঙ্গদর্শন [ ১২শ বৰ্ষ, বৈশাখ, ১৩১৯ আখ্যায়িকা, ইতিহাস প্রভৃতি শব্দ হইতে, স্পষ্ট প্রতীয়মান। পুরাণ পঞ্চলক্ষণান্বিত— সৰ্গশ্চ প্রতিসর্গশ্চ বংশে। মন্বন্তরাণিচ । বংশামুচরিতং চৈব পুরাণং পঞ্চলক্ষণম্ ॥ সর্গ অর্থাৎ পরব্রহ্ম হইতে চতুবিংশতি তত্ব ও তত্ত্বময় হিরণ্যগর্ভের স্বষ্টি, বিসর্গ অর্থাৎ হিরণ্যগৰ্ভ হইতে মরীচি প্রভূতি প্রজাপতিগণের স্বই ; বংশ অর্থাৎ প্রজাপতিগণ কর্তৃক দেবযক্ষরক্ষোমনুষ্যতিৰ্য্যগাদির স্বষ্টি, মন্বন্তর অর্থাৎ বৈবস্বতময় প্রভৃতি চতুর্দশ মন্নুর অধিকার, এবং বংশানুচরত অর্থাৎ চঞ্জ ও সূৰ্য্যবংশ, এই পঞ্চবিধ বিষয় যাহাতে বর্ণিত হইয়াছে তাহাই পুরাণ। এ মতে পুরা ৭ গবেষণা এবং জলৌকিক ও লৌকিকালৌকিক ও লৌকিক ব্যাপারের সন্নিবেশ থাকে। পুরাণের অলৌকিক বিবরণকে mythology & লৌকিক(লৌকিক বিবরণকে legend বল৷ যাইতে পারে। আখ্যান শব্দে কাল্পনিক বা সত্য বা পৌরাণিক ইতিবৃত্ত। সেই আখ্যানকে প্রাচীন আলঙ্কারিকগণ পঞ্চবিভাগে বিভক্ত করিয়াছেন। অগ্নিপুরাণে আছে— ‘অfখ্যায়িক কথা খণ্ডকথা পরিকথ। তথা । কথালিকেতি মন্তন্তে গদ্যক,ব্যঞ্চ পঞ্চধা ॥ আখ্যায়িকা, কথা, পূওকথা, পরিকথা ও কথালিকা এই পঞ্চ ভাগে গদ্যকাব্য বিভক্ত। আখ্যায়িক শব্দে সত্যমূলক ইতিবৃত্ত, কথা শব্দে কাল্পনিক রচনা বুঝায়। অমরকোযে “আখ্যায়িকোপলব্ধার্থা,” “প্রবন্ধকল্পনা কথা” ७ईङ्ग* श*१ ८ण७ग्रा •श हेग्नारह । আলঙ্কারিকগণের হস্তে আখ্যায়িক ও কথা শব্দের অর্থ ক্রমে সঙ্কীর্ণ হইয় পড়ে।