১১শ সংখ্যা ] মলিনতা দূর করিবার জন্য আবির্ভূত হইয় থাকে। পাপীর পাপ সেই নারদের মঙ্গল বাণীরূপে ঈশ্বরের কাছে পৌছায়-- তাহার পর বিধাতার রুদ্রমূৰ্ব জাগ্রত হয়। তখন পাপীর সমস্তই লগুভ গু, সমস্তই উণ্ট পাণ্টা হইয়া যায়। যে জীবন অনবরত অর্থ সঞ্চয়ে একব্রত হইয়াছিল—বিধাতা তাহার উপর এমন আঘাত করেন, যাহাতে সে অর্থ ছাড়িয় দেয় –কিন্তু সে বড় যন্ত্রণা, বড় দুঃখ পাইয়। প্রাচীন কবিগণ র্তাহাদের গ্রন্থের নালাস্থানে, নানা কাহিনীতে নারদের অবতারণা করিয়া মানুষকে এই শিক্ষা দান করিতে প্রয়াস পাইয়াছেন যে, “অন্যায়, পপ, কলঙ্ক কখনো অপ্রকাশিত থাকে না, যে মূঢ় যত গোপনে যত পাপই করুকু না তাহা বিশ্বজনের সমক্ষে প্রকাশ হইয়া পড়িবেই। সেই জন্যই অপাপবিদ্ধ পুণ্যায়৷ ঋষিগণ কাহিনীর মধ্যে ভক্তি-নয় চিত্তে নারদের অবতারণা করিয়াছেন। সেই কাহিনী নারদের জয় দিয়া সম্পন্ন করিয়াছেন। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের প্রত্যেক কৰ্ম্ম বিধাতা জানিতে পারিতেছেন এবং• এলং মহাভারতের ঐতিহাসিকত। ৬৬৭ তাহার যথোপযুক্ত বিধানও করিতেছেন। নারদ সম্পূর্ণ মুক্ত, সম্পূর্ণ নিৰ্ম্মল। আমাদের প্রত্যেক জীবন এমন হউক যেন বিধা তার কাছে নারদ আ*াদের নামে আর কিছু নালিস করিতে না পারেন এবং নারদের সহিত আমাদের যেন সৌভ্রাত্র স্থাপিত হয় । নিত্য প্রভাতকালে পুরাকাণ-তালে বাণহস্তে শুভ্রবেশধারী ঋষিটি উঠিয়৷ আসিতেছেন। তাহার অনুপম কিরণ-বীণার মধুর ঝঙ্কারে জগতের প্রত্যেক কাৰ্য্য অতি সুশৃঙ্খল ভাবে সম্পন্ন হইতেছে হে নীরদ ! তোমার বীণার পবিত্র ঝঙ্কারে আমাদের অন্তর হইতে সমস্ত পাপ মুছিয়া ফেল। প্রত্যেক ভাতে তোমার উদয় আমার চক্ষের সম্মুখে যেন স্পষ্ট এভিভাত হইয় উঠে এবং সমস্ত দিবস যেন তোমার সঙ্গীত চিত্তকে নম্র করিতে থাকে । প্রাচীনকালে ঋষিগণ তোমার যে সুন্দর বর্ণনা করিয়াছেন তাঙ্গা কল্পণা নহে— অত্যুক্তি নহে । আঙ্গি তুমি তোমার শুভ্ৰ বেশ ধারণ করিয়া বাণীর তীরে ঝঙ্কর দাও। তুমি আমাদের পবিত্র, শান্ত, সযত নিৰ্ম্মল প্রত্যহই কর । উীত্রিগুণানন্দ রায় । মহাভারতের ঐতিহাসিকতা মূল ইতিবৃত্ত সত্য মূল ইতিবৃত্ত' যে সত্য তাহ প্রমাণ করা দুঃসাধ্য নহে। ঐ ইতিবৃত্তের প্রমাণ প্রধানতঃ দুই প্রকার । প্রথম আভ্যন্তরীণ 8 দ্বিতীয় বাহ । বাহ প্রমাণ আবার প্রবাদ, ভগ্নাবশেষ ও লেখ্য ভেদে তিন প্রকার। আভ্যন্তরীণ প্রমাণ আভ্যন্তরীণ প্রমাণ অর্থে মহাভারতের
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।