পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৭০ তাহার যথেষ্ট সমসাময়িক ও পরবর্তী লিখিত প্রমাণ আছে। সেই সব লেখ্যের দোষ এই যে তাহার। স্বদেশী, বিদেশী নহে। যুধিষ্ঠিরাদি অনূ্যন চারি সহস্র বর্ষ পূৰ্ব্বে ভারতরঙ্গে অভিনয় করেন। তখন ইউরোপ ও আমেরিকা বনময় । ইউরোপলসিগণ তখন অসভ্য নয়, বঙ্গমাংসভোজী, বর্ণ; মালার নামগন্ধও জানেন না । তাহার অন্ততঃ একহাজার বর্ষ পরে ফিনিসিয়গণের নিকট ইউরোপীয় সভ্যতার জননী গ্রীস বর্ণ মালা পাইয়া জ্ঞানচর্চ অfরস্ত করেন। গ্রীসের পরে রোমের অভু্যদয় । ফ্রান্স, স্পেন, পটুগাল, জাৰ্ম্মানি প্রভৃতি রোম ভাঙ্গিয়া বৎসর পূৰ্ব্বে হইয়াছে। ইংলণ্ডের ইতিহাসও ১৫০০ বৎসর মাত্র আরস্ত হইয়াছে। আদিম বুটনের ইতিবৃত্ত ২০০০ হাজার বৎসর পূৰ্ব্বে পাওয়া যায় না, সুতরাং পাণ্ডলগণের সময়ে ইউরোপীয় কোন দেশের সহিত ভারতের কোনরূপ সম্বন্ধ হওয়ার সম্ভব ছিল মা ও হয় নাই। ঐ সব দেশের সাহিত্য হইতে কুরুগণের ইতিবৃত্তেরপরিপেযক প্রমাণ আশা করা বাতুলত মাত্র। এজষ্ঠ বিদেশী প্রমাণ ভিন্ন যদি মহাভারতের ঐতিহাসিকত বিশ্বাস করিতে না চান তাহা হইলে আমাদের প্রয়াস অরণ্যে রোদন মাত্র । এ স্থলে মনে রাখা উচিত যে কোন জাতিই স্বীয় প্রাচীন ইতিহাসের পরিপোধক প্রমাণ অপর জাতির ইতিহাস হইতে দিতে পারেন মা। গ্রীকদের প্রাচীন ইতিহাস গ্রীক পুস্তকাদি হইতে বিশ্বাস করিতে হয়। রোমের ইতিহাস রোমীয় পুস্তকেই পাওয়া У o o o IV. & о о বঙ্গদর্শন [ ১১শ বর্ষ, ফাস্তুন, ১৩১৯ যায়। সেইরূপ ভারতের প্রাচীন ইতিহাস ভারতের প্রাচীন গ্রন্থেই প্রাপ্য কুরুপাণ্ডবের তিহাসের জলন্ত লেখ্য 2 - ১ । পুরাণ সকল পুরাণেই কুরুপাণ্ডবগণের ইতিহাসের কোন না কোন অংশ আছে । কোন পুবাণের বক্তা ভীষ্মদেব, কোন পুরাণে আবার বাসুদেবার্জনের নরনারায়ণত্ব প্রতিপন্ন। বিষ্ণু, ব্ৰহ্মাণ্ড, বায়ু, ভাগবত ও মৎস্য এই পঞ্চ পুরাণেই চন্দ্রবংশের পরিচয় আছে, এবং পা ও বগণের মূল ইতিবৃত্ত মহাভারতে যেরূপ দেওয়া আছে সেইরূপই দেওয়া হইয়াছে । পুরাণে দেবাসুর-সংগ্ৰাম, স্বৰ্গনরকাদি-বৰ্ণন প্রভৃতি নানা অলৌকিক ঘটনা আছে সত্য, কিন্তু তৎসঙ্গে স্বৰ্য্যবংশ ও চন্দ্রবংশ বর্ণিত। ঐ বংশাবলী অবিশ্বাস করিলার কোন সঙ্গত কারণ নাই। ইংরাজি প্রত্নতত্ত্ববিদগণও এক্ষণে চন্দ্রবংশের শেষাংশ বিশ্বাস করিতেছেন । তাহদেরও মতে ভারতের ইতিহাস এক্ষণে চন্দ্রগুপ্তের তিনশত শতাব্দী পূৰ্ব্ব হইতে আরম্ভ হইয়াছে। পুরাণের উল্লিখিত জরাসন্ধবংশ বিশ্বস্ত না হইলেও তৎপরবর্তী পঞ্চ প্রদ্যোত, দশ মুঙ্গ, নব নন্দ, প্রভৃতি যে সত্য জীব ইহা তাম্রশাসন ও যুদ্রাদি আবিষ্কৃত হওয়া বিশ্বাস করিতেছেন । পুরাণের পরবর্তী বংশাবলী এইরূপে প্রামাণিক হওঁয়ায় পূৰ্ব্ববর্তী ব":কণী যে বিশ্বাসযোগ্য তাহ প্রমাণিষ্ঠ হইতেছে । অন্ততঃ এ পর্য্যন্ত বলা যাইতে পারে জরাসন্ধবংশ বিশ্বাস করিবার সঙ্গত কারণ আছে। যদি পুরাণের বংশবলী ধূৰ্ত্ত ব্রাহ্মণগণ আধুনিক পণ্ডিত