পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مراج ولن র্তাহার মুক্তহস্তে অর্থবৃষ্টি-যে দেখিল সেই বিস্মিত হইল। রামপ্রতাপ কৰ্ম্মচারীর কার্য্যকুশলতা দেখিয়া মুগ্ধ হইলেন। কিন্তু এরূপ অপব্যয়ে রাজার ঐশ্বৰ্য্যও লুপ্ত হইয়া যায়, রামপ্রতাপের মত ক্ষুদ্র জমিদারের ত কথাই নাই । সুতরাং ঋণের সূত্রপাত হইল । চক্ষু বুজিয়৷ সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিখা দিতে লাগিলেন এবং দেওয়ানজি যথেচ্ছ হারের সুদে যথেচ্ছ ঋণ গ্রহণ করিতে লাগিলেন। দেখিতে দেখিতে ঋণভার দিনে দিনে বন্যার মত স্ফীত হইয়। উঠিতে লাগিল । কিন্তু তাহাতে কি আসিয় যায় ? টীকা বড় না "ইজ্জত’ বড় ? সুতরাং এ অবস্থাতেও ৫০,০০০ টাকা ব্যয় করিয়া রামপ্রতাপের দুই কন্ঠার বিবাহ হইল। অবত ব্যয়ভার . সমস্তই ছেদিপ্রসাদের উপর। নিশ্চিন্তচিত্ত রামপ্রতাপ কেবল বিলাসের অনন্তশয্যায় শয়ন করিয়া মুরারঞ্জিত নেত্রে যুবতীর বিম্বাধরে স্বর্গের সুষমা দর্শন করিতে লাগিলেন । وا۔ কিন্তু ক্রমশঃ ঋণের মাত্র জমিদারীর মূল্য ছাড়াইয়া উঠিল। ছেদিপ্রসাদ ঋণগ্রহণের সময়ে স্বদের দিকে আদেী দৃকপাত করেন নাই। যে যাহা চাহিয়াছিল তাহাতেই সন্মত হইয়াছিলেন। সুতরাং ঋণের পরিমাণ অতি দ্রুতবেগে বৃদ্ধি পাইতেছিল । এত দিনে মহাজনের অধীর হইয়া নালিশ করিতে উদ্যত হইল। ব্যাপার দেখিয়া রামপ্রতাপের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ব্যাকুল হইয়া রাম বঙ্গদর্শন { ১২শ বর্ষ, ফাল্গুন, ১৩১৯ প্রতাপকে ধরিয়া বসি যে এখনো সাবধান ন হইলে সৰ্ব্বনাশ হইবে। বিহালচিত্ত রাম প্রতাপ বলিলেন, “এ বিষয়ে যা বলিতে হয় আমার দেওয়ানজিকে বল। আমার টাকা পয়সার হিসাব করিবার অবসর নাই ।” বন্ধুবান্ধবদিগের এই অন্যায় উপদ্রবের কথা অবগত হইয়া দেওয়ানজি দীল্লি হইতে দুইজন নুতন নৰ্ত্তকী অ নাইয়া দিলেন। রামপ্রতাপের অবসর আরও কমিয়া গেল ! হতাশ হইয়া হিতৈষীবৃন্দ কালেক্টর সাহেবকে ধরিয়া বসিল যে তিনি সাহায্য না করিলে বহু কালের একটা পুরাতন বংশ বিলুপ্ত হয়। @ কালেক্টর সাহেব সহৃদয় ব্যক্তি। সকল ব্যাপার গুমিয়া তিনি রামপ্রতাপের সম্পত্তি "uকার্ট অব ওয়ার্ডসের তত্ত্বাবধানে দিবার জন্ত চেষ্টা করিতে স্বীকৃত হইলেন । শুনিয়া দেওয়ানজি উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিলেন। কিন্তু কালেক্টর সাহেবের চেষ্টাই সফল হইল। দেওয়ানজি মালিককে দিয়৷ আপত্তি করাইয়া, ডাক্তার সাহেবের প্রশংসাপত্র সংগ্ৰহ করিয়া, রেভিনিউ বোর্ডে ‘কারোয়াই করিয়াও কোন মতে ‘কোর্ট অব, ওয়ার্ডসে’র ভীষণ কবল হইতে প্রভূর সম্পত্তি রক্ষা করিতে পারিলেন না। তিন মাসের মধ্যেই কালেক্টর সাহেবের নিকট হুইতে আদেশ আসিল যে এক মালের মধ্যে কোট অব ওয়ার্ডস্ কর্তৃক নিযুক্ত ম্যানেজারকে সমস্ত . হিসাব ও সম্পত্তি বুঝাইয। দিতে হইবে। বিপন্ন দেওয়ানজি বহু কালের পর ধুলি