১১শ সংখ্য। ] “তন্তের্জম্বলপেীরুধস্ত নৃপতেঃ *踐 হীরামপালোহভ লুৎ পুত্ৰঃ পালকুলান্ধি-শীর্তকিরণঃ সাম্রাজ্য-বিখ্যাতিভকৃ। তেনে যেন জগত্রয়ে জনকভূ-লাভাং মথাবৎ ষশঃ ক্ষোণী-নায়ক-ভীমরাবণ বধ্যৎ - যুদ্ধার্ণবোল্লঙ্গনাৎ ইহাতে দেখিতে পাওয়া গিয়াfছল,— রামপাল অযোধ্যাপতি শ্রীরামচন্দ্রের মতই ( যথাবৎ ) যশঃ বিস্তীর্ণ * করিয়াছিলেন। কারণ, উভয়েই ‘যুদ্ধার্ণব’ উল্লঙ্ঘন করিয়াছিলেন ; উভয়েই "জনকভূ" লাভ করিয়াছিলেন ; উভয়েই ‘ভীমরাবণ বধ করিয়াছিলেন। অধ্যাপক ভিনিস এই শ্লোকের রামপাল-পক্ষের ] বাখ্যায় —রামপাল [ জনকভূ মিথিলা জয় কুরিয়া, ভীম নামক মিথিলারাজকে নিহত করিয়াছিলেন ;–কিন্তু, ভীম নামক কোনও রাজা ক খন মিথিলার রাজা থাক। জানিতে পারা যায় নাই বলিয়া, অধ্যাপক ভিনিস আত্মসিদ্ধান্তে সংশয় প্রকাশ করিয়া, নিরস্ত হইতে বাধ্য হইয়াছিলেন । * . . তৎকালে এই শ্লোকের প্রকৃত তাৎপর্য} হৃদয়ঙ্গম করিবার পক্ষে অন্তরায়ের অভাব ছিল না। "জনকভূ-শব্দের এক পক্ষের অর্থ ( সীতাদেবী) সুগম হইলেও, অন্য পক্ষের অর্থ সুগম ছিল না। কারণ, পালরাজগণ যে বাঙ্গালী ছিলেন, সে কথা তখন অনেকেই জানিতেন না ; র্যাহারা বা জানিতেন, তাহারাও মানিতেন না । সুতরাং জনকভূ"শব্দের জন্মভূমি-অর্থ গ্রহণ না রামাবতী やb-> করিয়া, অধ্যাপক ভিনিস মিথিলা অর্থ গ্রহণ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। তারানাথ বরেন্দ্রভূমিকে পাল-নরপালগণের জন্মভূমি বলিয়া বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন,—হামিল্টনও সহস্রবৎসর-পূৰ্ব্বকালবৰ্ত্তী ভীম, রাজার নামোল্লেখ করিয়া গিয়াছেনু । তৎপ্রতি ক্ষ্য করিলে, এই শ্লোকেই বুঝিতে পাের! যাইত,—ভীমরাজাকে নিহত করিয়া, বরেন্দ্রভূমির উদ্ধার সাধন করিয়াছিলেন বলিয়া, রামপালদেবও শ্রীরামচন্দ্রের ন্যায় | যথাবৎ ] যশঃ বিস্তীর্ণ করিয়াছিলেন । কিন্তু এ পর্যন্ত বুঝিতে পারিলেও, সকল কথা বুঝিতে পারা যাইত না । বিগ্রহপালদেবের রাজ্যে ভীম কেমন করিয়া অধিকার লাভ করিবার সুযোগ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, তাহার রহস্থ ভেদ করা সস্তব হইত না । 像 ১৮৯২ খৃষ্টাব্দের ছয় সাত বৎসর পরে, দিনাজপুরের অন্তর্গত মনহলি গ্রামে ‘আবিষ্কৃত রামপালদেবের পুত্রের [ মদন পালদেবের ) তাম্রশাসনখানি বন্ধুবর ঐযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু প্রাচ্যবিদ্যামহার্ণব মহাশয়ের হস্তগত হয়, এবং তাহারই অধ্যবসায়ে তাখার পাঠ বঙ্গীয়-সাহিত্যপরষৎ-পত্রিকায় এবং বঙ্গীয় এসিয়াটিক সোসাইটির পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । তাহারও একটি শ্লোকাংশে দেখিতে পাওয়া 因闯,一 “এতস্তাপি সহোদরে নরপতি, দিব্যপ্রজী নির্ভর ক্ষোভাতুতবিধৃত-বাসবদ্ধৃতিঃ শ্রীরামপালোহভবৎ ॥”
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।