やゲミ এই তাম্রশাসনেই জানিতে পারা যায়, —বিগ্রহপালদেবের পুত্র মহীপাল রাজা হইবার পর, তাহার কনিষ্ঠ শূরপাল রাজা হন ; এবং তাহার পর, তাহার সহোদর [ এতস্তাপি সহোদরে । রামপালও রাজ৷ হইয়াছিলেন । [ তৎকালে ] শ্লোকটির পাঠোদ্ধারে -কিছু গোলযোগ থাকিলেও, মোটের উপর জানিতে, পার। গিয়াছিল, —রামপাল রাজার সঙ্গে স্বর্গাধিপতি বাসবে'র কোন না কোন বিষয়ে তুলনা করা হইয়াছে। রাজকবি কোন বিষয়ে কিরূপ তুলনার অবতারণা করিয়া, ইঙ্গিতে কোন ঐতিহাসিক তথ্যের আভাস দিয়া গিয়াছেন, লিপি-পাঠ মুদ্রিত করিবার সময়ে, তাহার রহস্ত ভেদের জন্য যথাযোগ্য চেষ্টা প্রকাশিত হইতে পারে নাই। ১৯০০ খৃষ্টাব্দের মাৰ্চমাসের ‘এসিয়াটিক্ সোসাইটির প্রসিডিং’ প্রকাশিত হইলে জানিতে পারা গিয়াছিল,—মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিতবর শ্ৰীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এম, এ মহোদয় নেপাল হইতে সন্ধ্যীকরনন্দি-বিরচিত রামচরিশুম নামক সংস্কৃত কাব্যগ্রন্থ আনয়ন করিয়াছেন ; তাহাতে [ বিগ্রহপ'লদেবের স্বৰ্গারোহণের পর ] কৈবৰ্ত্ত-বিপ্লবে বরেন্দ্রী ভীম রাজার হস্তগত হইবার, ও [ রামপালদেব কর্তৃক ভীম নিহত হইবার পর J বরেন্দ্রী রামপালদেবের হস্তগত হইবার বিবরণ উল্লিখিত আছে। অারও জানিতে পর গিয়াছিল যে,—এই সকল ঐতিহাসিক ঘটনার অবসানে, রামপালদেব কর্তৃক ‘রামাবতী নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। এই বিবরণের সাহায্যে মদনপালদেবের বঙ্গদর্শন [ ১২শ পর্ষ, ফাঙ্কন, ১৩১৯ এবং বৈদ্যদেবের তাম্রশাসনোক্ত রামপালদেবের কীৰ্ত্তিবিজ্ঞাপক কবি-প্রশস্তির প্রকৃত তাৎপৰ্য্য উদ্ঘাটিত করিবার সুবিধা ঘটিলেও, তাহ প্রচারিত না হইয়া, যাহা প্রচারিত হইয়াছিল, তাহ পূর্বেই উল্লিখিত হইয়াছে। ১৯১০ খ্রষ্টাব্দে রামচরিতম্ কাব্যথানি সোসাইটি কর্তৃক মুদ্রিত ও প্রকাশিত হইয়াছে। এখন সকলেই জানিতে পারিয়াছেন,–“কৈবৰ্ত্ত-বিপ্লবী—“ভীমরাজার উত্থান ও পতন',—তাহার অবসানে ‘রামাবতী” নগর নিৰ্ম্মাণ,—বাঙ্গালীর ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটন! এবং বরেন্দ্র অনুসন্ধান-সমিতির ‘গৌড়রাজমালা গ্রন্থেও হাহা সাদরে উল্লিখিত হইয়াছে। তথাপি এখনও অনেক কথা তর্কসস্কুল হইয়া রহিয়াছে। তাহার প্রধান কারণ এই যে,—‘রামচরিতম মুদ্রিত ও প্রকাশিত হইয়াছে বলিয়াই, তাহীর সকল কথা সৰ্ব্বাংশে বোধগম্য হইতে পারে নাই । ‘রামচরিতম্’ শ্লিষ্টকাব্য বলিয়, এক অর্থে শ্রীরামচন্দ্রের ‘সীতা-উদ্ধার’ এবং অন্য অর্থে রামপালদেবের ‘ররেন্দ্রী-উদ্ধার’ বিবৃত করিতে গিয়া, [ শ্লেষের অনুরোধে ] সন্ধ্যাকর নন্দী তাহার কাব্যথানি দুর্বোধ করিয়া দিয়াছেন। কিয়দংশের টীক। প্রাপ্ত হইলেও, [ অনুবাদের অভাবে ] সটীক শ্লোকগুলিও সকলের বোধগম্য হইতে পারে নাই। মহামহোপাধ্যায় শাস্ত্রী মহাশয় [ ইংরজি ভাষায় লিখিত ] ভূমিকায় কাব্যোক্ত যিয়ের যে সংক্ষিপ্ত পরিচয়প্রদানের জন্ত যত্ন করিয়াছেন, তাহাতে সকল কথা যথাযোগ্যতাবে আলোচিত
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।