পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V:్ఫ్చ রায় সংস্কৃত, বাঙ্গালী, পার্শি, আরবি এবং ইংরাজি ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন, ইনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে আরব্য ভাষা শিক্ষা দিতেন এবং “শব্দরত্নাকর" বলিয়া এক সুবৃহৎ সংস্কৃত অভিধান প্রস্তুত করিয়t গিয়াছেন; উইলসন হেব, সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপকের এবং রাঙ্গ৷ রাধাকান্তু দেব এই অভিধানের ভূয়সী প্রশংসা করিয়াছেন। গুরুপ্রসাদ রায় সঙ্গীত বিদ্যাতেও পারদর্শী ছিলেন, ইগর পিতা গোকুলচন্দ্র রায় ওয়ারেন হেষ্টিংস সাহেবের অধীনে মুর্শিদাবাদ সহরে কাজ করিতেন। সাহেব যখন মুর্শিদাবাদ ত্যাগ করিয়া আসেন, গোকুলচন্দ্রও তাহার সঙ্গে পলাইয় আসেন এবং পলায়ন করার রু। তিনি সৰ্ব্বন্ধান্ত হয়েন। ইনি বড় ধাৰ্ম্মিক ছিলেন এবং এই ধৰ্মজীবন তাহার পুত্র এবং প্রপৌত্রে বিশেষ রূপে লক্ষিত হয়। আধুনিক কঁচড়াপাড়ায় ভূতপূৰ্ব্ব ইংলণ্ডেশ্বর এবং ভারত-সম্রাটের পিতৃব্য ডিউক অব এডিনবরা এবং লাট সাহেব গর্ড মেয়ে শিকার করিতে যান । জগদীশনাখ রায়ের এক পূৰ্ব্বপুরুষ যুক্তারাম রা! সঙ্গেশ্বর আলিবর্দি খাঁর দেওয়ান ছিলেন, নবাব ইহার কার্য্যকুশলতায় সন্তুষ্ট হইয়া, ইহাকে “রায় রৈ"এ" উপাধি প্রদান করেন, সেই পৰ্য্যন্ত এই পরিবার “রায়" বলিয়। পরিচিত। পূৰ্ব্বে ইহঁদের মুসলমান দত্ত সরকার’ উপাধি ছিল । জগদীশনাথ রায়ের পিতামহ গোকুল চন্দ্র রায়, যে সময় নরহট্টে (আধুনিক কঁচড়াপাড়া ) বাস করেন, সেই সময় কলিকাতাতেও তাহার আবাস-নাট ছিল । বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, ফাল্গুন, ১৩১৯ গোকুলচন্দ্র রায়ের স্ত্রী পতির মৃত্যুতে শব লইয়া সহমরণে যান, ইনি যেমন ধাৰ্ম্মিক তেমনি তেজস্বিনী ছিলেন। ইহার স্বহস্তরোপিত একট আম্রবৃক্ষ অদ্যাপিও কাঁচড়াপাড়ার রায় ভবনে বিরাজ করিতেছে। জগদীশনাথ রায়ের পিতার সঙ্গীতশাস্ত্রে বিশেষ নিপুণতা এবং ইংরাজি লেখাতেও বেশ মুযশ ছিল। তখনকার যত গবৰ্ণর জেনারেল ছিলেন, তাহাদের অভিনন্দন-লিপি ইহঁরই হস্ত লিখিত । ইনি সুবিখ্যাত ধনকুবের নিমাইচরণ মল্লিকের দক্ষিণহস্ত স্বরূপ ছিলেন, তাহার সমস্ত কাৰ্য্যই সম্পাদন কুরিয়া দিতেন । গুরুপ্রসাদ রায় নিজ বাটতে বহু ভদ্রসন্তানদিগকে অন্নদানের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যাদান করিতেন। ইহাদের পুরাতন বাটটি কলু টোল ষ্ট্রীট পড়িয়া যাওয়ার শেযে ইহার হোগলকুঁড়িয়ায় আসিয়া বাস করেন । সুপরি, চিত ডেপুটা মেজিষ্ট্রেট ৮ঈশ্বরচন্দ্র মিত্রের বাটটি পূর্বে ইহাদের ছিল এবং এখান হইতেই জগদীশনাথ রায় লেখা পড়া করেন। পঞ্চম বর্ধ বয়সে র্কাচড়াপাড়ায় জগদীশনাথ রায়ের হাতে খড়ি হয়, অতি অল্পদিন গুরু মহাশয়ের নিকট পড়িয়া জগদীশ কলিকাতায় আদিয়া হিন্দু কলেজে ভৰ্ত্তি হন এবং তথা হইতে জুনিয়ার সিনিয়ার উভয় স্কলারসিপ পান ইনি সাত বৎসর উপযুপিরি মাসিক ৪• টাকা বৃত্তি লাভ করেন। তখন বৃত্তি রিটেন করা বলিয়া একটা ব্যবন্ধু ছিল, সেই নিয়ম অনুসারে জগদীশনাথ রায় সাত বৎসর ধরিয়া স্কলারশিপ, রিটেন করেন। রিটেন করার অর্থটা কি তাহা বুঝাইয়া দেওয়া