১১শ সংখ্যা ] আবশুক। ধরুন' পরীক্ষায় একটা বৃত্তি পাইলাম, সে বৃত্তিটি এক বৎসরকাল র হল। বংসরের পর নূতন ছাত্রদিগের সঙ্গে পরীক্ষ। দিলাম এবং উচিত স্থান গ্রহণ ক.সুর বৃত্তিটি রক্ষা করিলাম, এই প্রকার সাত বৎসর ধরিয়া নূতন নূতন ছাত্রদের সঙ্গে সাতবার পরীক্ষা দয়া জগদীশনাথ তাহার ৪০ টাকার বৃত্তিটি রক্ষা করেন; ইহাতেই হার মেধাশক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। ইনি কলেজে প্রবেশ করিয়া শেষ পর্য্যন্ত বরাবর শীর্ষস্থান গ্রহণ করিয়াছেন, কখন দ্বিতীয় হন নাই । তখন লাইব্রেরী-মেডেল বলিয়া একটি সুবর্ণপদক প্রত্যেক বংসর প্রদত্ত হই গু, হিন্দু কলেজ লাইব্রেরীতে যত পুস্তক আছে, এমন কি স্কাইলাস, সফোক্লেস, এবং তরজমা করা পুকস্তগুলিও পাঠ করিতে হইত, কোন পুস্তক নির্দিষ্ট ছিল না,-যে কোন পুস্তক, হটতে প্রশ্ন দেওয়া হইত, সেই পুস্তকরাশি পাঠ সমাপনন্তে সুিনিয়র* স্কলারেরা পরীক্ষা দিতেন, যিনি সৰ্ব্বোচ্চ স্থান গ্রহণ করিতে পারিতেন, তিনিই সুবর্ণপদকখানি পাইতেন। জগদীশনাথ রায় যখন উপ পরি দুইবার মেডেল পাইলেন, তখন কাউনসেল অব এডুকেশন হইতে হুকুম হইল যে ইনি পুনরায় পরীক্ষা দিলে সৰ্ব্বোচ্চ হইলেও পদক পাইবেন না, যিনি দ্বিতীয় হইবেন তিনিই পদকখানি পাইবেন ; ইহার মতন কৃতী উচ্চদরের ছাত্র তখনকার কালে ছিল না বলিলে’অত্যুক্তি হয় না। : জগদীশনাথের লেখা পড়া শেষ হইলে হিন্দুকলেজে ছয় মাসের জন্য একটি অধ্যাপকের আবখক হয়, কর্তৃপক্ষীয়ের ৮ জগদীশনাথ রায় &ᎼᏬ ইহাকেই মনোনীত করেন, এবং ইনি অতিশয় দক্ষতার সহিত সে কার্য সম্পাদন করেন । তাহার ছাত্রদিগের মধ্যে র্যাহারা কাধ্যক্ষেত্রে গণ্য মান্ত হন, তাহদের কয়েক জনের নাম উল্লেখ করিতেছি—মহারাজ। সরি যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর, 'বিখ্যাত নাট্যকার দীনবন্ধু,মির, সুপরিচিত উপাযুদ্ধয় মুরলীধর সেন এবং রমানাথু লাহা প্রভূতি, (সমধ্যায়ীদিগের ভিতর যে কয়েকজনের নাম মনে আছে )-ভূদেব মুখোপাধ্যায়, প্যারিচরণ সরকার, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রাজনারায়ণ বসু, গেীরদাস বসাক, ঈশ্বরচন্দ্র সিংহ, জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুর, নগেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রভৃতি । জগদীশনাথ রায় সঙ্গীতবিদ্যায় বিশেষ পারদর্শিত লাভ করেন, ইনি সুকণ্ঠ ছিলেন এবং সকল প্রকার বাদ্যযন্ত্র বাজাইতে পারিতেন । ইংরাজি বাংলা সমস্ত ক্রীড়া, ঘোটকারোহণ, অস্ত্র বিদ্য। প্রভৃতি সকল কর্য্যেষ্ট ইনি দক্ষ ছিলেন। কথিত আছে, সঙ্গীত শিক্ষা দিবার জন্য হিন্দুকলেজে একটি পিয়ানো কেন হয়, অধ্যাপক ছাত্রদের স্বর কিরূপ জানিবার জন্ত বাজনার সূচিত সুর মিলাইতে বলেন, কেহই কিছু পরিলেন না। কিন্তু জগদীশনাথ রায়ের কণ্ঠের স্বর বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে মিলিয়া গেল এবং সৰ্ব্ব শেষ কি? পৰ্য্যস্ত র্তাহার স্বর উঠিল। অধ্যাপক যুক্তকণ্ঠে সুখ্যাতি করিয়া বললেন “ইনি একজন উৎকৃষ্ট গায়ক হইবেন " কলেজ ছাড়িবার সময় সমস্ত অধ্যাপকের ইহাকে উচ্চ সার্টিফিকেট
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৯৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।