পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆసి? দেন, তন্মধ্যে কাউন্সেল অব এডুকেশনের দুইজন নেতার সার্টিফিকেট হইতে কয়ছত্র তুলিয়া দিলাম “His educational attainments are of such a high and superior order, that we feel po hesitation in stat ing that since the foundation of the Hindu College up till now, we have never seen a student who y could be compared with him' এই সার্টিফিকেটটি লিখিয়াছিলেন বিখ্যাত ডাক্তার মটেরেট এবং সার সিসিল, বিডন। এই বিডন সাহেব পরে বাঙ্গালার লেফটেনেন্ট গবর্ণর হন। সুপ্রসিদ্ধ বিটন ( Hon'ble Drinkwater সাহেব ইহার সঙ্গে বন্ধুর স্তায় আচরণ করিতেন এবং লড এলেনব্রো, কাপ্তেন রিচার্ডসন, ক্লিন্ট প্রভৃতি অনেক মহাত্মা ইহাকে রাশি রাশি পুস্তক প্রদান করিয়া গিয়াছেন । ছাত্রাবস্থায় সকলেই ইহার , ঙ্গে বন্ধুর স্তায় ব্যবহার করিতেন। কাপ্তেন ডি, এন, রিচার্ডসন ইহাকে বড় ভাল বাপিতেন, বলিতেন "সেক্ষপিয়র পাঠে তোমার স্তায় দক্ষতা এবং অভিজ্ঞান দেশীয়দিগের মধ্যে বিরল " কলেজের আর একজন অধ্যাপক লিওনার্ড ক্লিন্ট সাহেবের সঙ্গে রিচার্ডসনের মনের বড় মিল ছিল না; বাঙ্গালী ছাত্রের রিচার্ডসনের বিদ্যার প্রশংসা করিলে ক্লিন্ট সাহেব বলিতেন “what a ship is in Calcutta is but a boat in London.” woolfo মায়ের নিকট অনেক কৃতবিদ্য বাঙ্গালী Bethune ! বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, ফাঙ্কন, ১৩১৯ সেক্ষপিয়র অধ্যয়ন কয়িতে আসিতেন, তন্মধ্যে “রিস এবং রায়তের" সম্পাদক শস্তু মুখোপাধ্যায় এবং মিষ্টার এস, পি, সিংহের আত্মীয় সুযোগ্য ডেপুটী মেজিষ্ট্রেট প্রতাপনারায়ণ সিংহের নাম উল্লেখযোগ্য। পূৰ্ব্বে সিনিয়ার স্কলারশিপ পরীক্ষার সদুত্তর ছাপা হইত, জগদীশনাথ রায়ের অনেকগুলি প্রবন্ধ এবং প্রশ্নোত্তর এই ভাবে ছাপা আছে । পাঠ করিবার সময় ইনি এত নিবিষ্টচিত্ত হইতেন যে অপর কোন দিকেই র্তাহার লক্ষ্য থাকিত না, ইহার পিতা গুরুপ্রসাদ রায় মহাশয়ের হঠাৎ বুকে বেদন ধরিয়া মৃত্যু হয় ; যখন ব্যথা ধরিয়াছে, তখন ইহার অগ্রজ রমনাথ রায় মহাশয়, বাটীর চারিদিকে “জগদীশ, জগদীশ” বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে ডাকিতে লাগিলেন, কোন উত্তর ন৷ পাইয়া জগদীশনাথের শয়নকক্ষ ঘরের দ্বারে বলপূৰ্ব্বক আঘাত করিতে লাগিলেন, তখন ভিতর হইতে ইনি বলিয়া উঠিলেন "দাদা, কি হইয়াছে, কেন আমায় ডাকিতেছেন ?” পিতার পীড়ার কথা শুনিয়া দ্রুতবেগে তাহার নিকট গিয়া, হাত দেখিয়া বলিলেন “বাবার নাড়ি নাই, যদি তীরস্থ করিবার মানস থাকে, তবে এই দণ্ডে করুন।” বৃদ্ধকে তীরস্থ করা হইল এবং তিনি সজ্ঞানে গঙ্গালাভ করিলেন। ইণদের বংশে পরে সকলেই এই প্রকার দেহত্যাগ করিয়াড়েন, ভুগিয়া অপরকে কষ্ট দিয়া কেহ মহাপথের পথিক হন নাই। কলেজ ছাড়িবার কিছুদিন পরে হাওড়ায় . নিমকৃআফিসের সেরাস্তাদারী খালি হয়, এই