১১শ সংখ্যা } কৰ্ম্মটির বেতন ছিল মাসিক ১ টাকা। ৬৩ বংসর পূৰ্ব্বে একশত টাকা বেতনের চাকুরি একটা কম জিনিষ ছিল না। পাইবার জন্য অনেকেই চেষ্টা করিতে লাগিলেন । জগদীশনাথ রায়ও কৰ্ম্ম সাথী হইয়া বিডন সাহেবের সুপারিপ-পত্ৰ লইয়া নিমক স্বপ্নারিন্টেণ্ডেণ্ট পিকক্ সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিলেন । পিকূকৃ সাহেব তাহার অনুরোধ শুনিয়া বলিলেন “আমি বড় দুঃখিত হইলাম যে বিডন সাহেবের অতুরোধ রক্ষা করিতে পারিলাম না । কথা কি, আমি প্রতিজ্ঞ,পাশে বদ্ধ হইয়াছি যে হিন্দু কলেজের সৰ্ব্বোচ্চ সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ ছাত্রকে এই কৰ্ম্মটি দিল এবং গুজ্জন্ত কাপ্তেন ডি, এল, রিচার্ডসনকে পত্র লিখিয়াছি, পত্রের উত্তর আসিলেই যে ছাত্রের নাম আসিবে তাহাকে পদস্থ করিব ” এই কথা শুনিয়া ਯੂੋਂ নাথ ধীরে ধীরে সাহেবের ঘর হইতে নিষ্ক্রান্ত হইলেন, খুড়ক দূর আসিয়াছেন আবার একজন চাপরাসী আসিয়া বলিল "মহাশয় আপনাকে সাহেব ডাকিতেছেন।” ফিরিয়া গেলে তিনি বলিলেন “আমি বড় দুঃখিত হইতেছি যে কৰ্ম্মটি' তোমায়ু দিতে পারিলাম না । এই দেখ রিচার্ডসন সাহেব জগদীশনাথ রায়কে দিতে বলিতেছেন।” জগদীশনাথ রায় হাসিতে হাদিতে বলিলেন "বিউন সাহেব র্যহাকে দিতে বলিতেছেন, র্তাহার নামটি কি ?” তখন উহাতে জগদীশনাথ রায় লেখা আছে দেখিয়া সাহেব বড়ই আছাদিত হইলেন এবং কৰ্ম্মটি উহাকেই দিলেন। প্রথম যেদিন জগদীশনাথ রায় কৰ্ম্মে /জগদীশনাথ রায় ৬৯৫ বসিবেন, সেইদিন অফিসে লোকংণ্য, সকলেই দেখিতে আসিয়াছেন কলেজের ছোকরাটি কিরূপ, যে এত বড় কৰ্ম্ম করিবে এবং যে কৰ্ম্মে হাবড়ার বাঙ্গালবাবু রামরতন বস্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। তখনকার সময়ে মাসিক একশত টাকার পক্ষ বড় উচ্চ পদ বলিয়ালোকের ধারণা ছিল। পাথুরিয়াঘাটার তমুকুলচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, যিনি বাঙ্গালার হাইকোটের জজ হইয়াছিলেন, তিনি জগদশনাথ রায়ের সেরেস্তাদারীর সময়, হাবড়া ফৌজদারী আদালতের নাজির ছিলেন, বেতন মাসিক দশটাক মাত্র ছিল। কিছুদিন এখানে সেরেস্তাদারী করিয়া, জগদীশনাথ রেভেনিউ বোডের সেরেস্তাদার হন, সেখান হইতে খুলনা জেলায় এক সাহেব নিমক-সুপারিটেণ্ডেণ্টকে কাৰ্য্য শিক্ষা দিতে যান । এ সম্বন্ধে একটি সুন্দর গল্প আছে, ষে সাহেবকে তিনি শিক্ষা দিতে যান, তিনি একজন যুবপুরুষ, কোন এক লর্ডের কিম্ব তৃতীয়ত্মজ, সাহেবের মাসিক ৪০০N টাক। বেতন ছিগ, কিন্তু ঐ টাকাটা তাহার স্তম্পেন সরাপেই ব্যয় হইত, অদ্য খরচের জন্য তার পিতা মাসে মাসে প্রচুর অর্থ পাঠাইতেন। সে বৎসর খুলনা জেলার নিমক মহলের কার্য এত ভাল হই ছিল যে, রেভিনিউ বোর্ড ঐ জেলাকে শীর্ষস্থান প্রদান করিয়াছিলেন এবং মস্তব্যের মধ্যে, ‘বিলাঙের বড় ঘরের ছেলেরা অল্পদিনের মধ্যে কাৰ্য্যকুশলতা প্রাপ্ত হইয়া দক্ষতার কি স্বচারু দৃষ্টান্ত প্রধান করিতে সক্ষম, ইত্যাদি, ভাবে সাহেবের গুণাবাদ ও ধন্যবাদ করিয়া, গবর্ণমেণ্টকে লিখেন
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭০০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।