ఆన్స్ట్ర এবং গীর্ণমে টও বোর্ডের সঙ্গে একমত হইয়া যুব সাহেবটিকে স্পেসিয়াল ধন্যবাদ প্রদান করেন । সাহেব ধন্যবাদ-পত্র পাইয়৷ হাসিয়া আকুল, তিনি জগদীশনাথ রায়ের নিকট দোঁড়িয়া গিয়া বলিলেন “দেখ, দেখ, কি মঙ্গার কথা, আমি আজও কাকে ছাড়, কাকে পরওন। বলে তাহ জানি না আমি মাত্র দস্তখত করিয়াছি, আর তুমি সমস্ত কাৰ্য্য করিয়াছ । তোমায় ধন্যবাদ না দিয়া আমাকে ধন্যবাদ দিয়াছে। কি মজার কথা, আমি লিখিব, এই ধন্যবাদ পাইবার আমি উপযুক্ত নহি, যদি কাহার ধন্তবাদে দাবী থাকে সে তোমার এবং তোমাকে আমি গবর্ণমেণ্ট হইতে ধন্যবাদ প্রদান করাইব।” যে কথা সেই কাজ । গবর্ণমেণ্ট তখন জগদীশনাথ রায়কে ধন্তবাদ প্রদান করিতে বাধ্য হইলেন। উচ্চ, উদার এই ইংরাজ আপনি সুখ্যাতি না লইয়া, যথার্থ পাত্রকে ধন্যবাদ দেওয়াইয়া সত্যের পরাকাষ্ঠী দেখাইলেন। খুলনার কার্য্য শেষ হইলে অতি অল্প দিনের জন্য জগদীশনাথ রায় বোর্ডে পুনরায় ফিরিয়া আসেন। বেঙ্গল গবর্ণমেন্টের একটি আজ্ঞা , রেজোলিউসান ) লিপিবদ্ধ ছিল যে, নিমক-মহলে উচ্চপদে কোন দেশীয় লোক বসিতে পাইবেন না, জগদীশনাথ রায়ের কার্য্যদক্ষতায় এবং সততায় গবর্ণমেণ্ট এত তুষ্ট হইয়াছিলেন যে, উল্লিখিত নিয়মটি রদ করিয়া, তাহাকে নিমক-বিভাগের উচ্চপদ ( আসিষ্টাণ্ট সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট ) প্রদান বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, ফান্তুন, ১৩১৯ করিয়া জলেশ্বরে বদলি করেন। জলেশ্বর হইতে ইহার পুনরায় পদোকৃদ্ধি হওয়াতে সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট হইয়৷ মেদিনীপুরে বদলি হয়েন, মেদিনীপুর হইতে তমলুকে আসেন এবং এখানে প্রায় আঠার বৎসর কাল কাৰ্য্য করিয়াছিলেন । তখনকার সময়ে একটি নূতন প্রথা প্রচলিত ছিল, পোষ্টীল বিভাগের তখন উন্নতি হয় নাই, সুতরাং উচ্চপদস্থ রাজকৰ্ম্মচারীরা পোষ্ট মাষ্টারের কার্য্য করিতেন, তার কোণি থাকিত, কিন্তু পোষ্ট মাষ্টর রাজকৰ্ম্মচারী। জগদীশনাথ রায় এই জন্য জলেশ্বর, মলুক ইত্যাদি স্থানে একস, অফিসিও পোষ্টমাষ্টার ছিলেন ; নিমকবিভাগের হাকিমদের মেজিষ্ট্রেটের ক্ষমতা ছিল, নিমকসংক্রান্ত মকদ্দমার ইহঁরাই বিচার করিতেন এবং জরিমানা, মেয়াদ দি দিতেন । এইজন্য নিমক কাছারীতে জেল ছিল, তাছাতে কয়েদীরা ধাবিত এবং বর্কনদাজের নিয়মিতরূপে পাহারা দিত। জগদীশনাথ রায় ৩রা নভেম্বর ১৮৪৮ সালে প্রথম কার্য্যে ব্ৰতী হয়েন, ১৮৫৩ ইংরাজ্ঞী সালে জলেশ্বর ধান, ধংসরেক পরেই মেদিনীপুরে আসেন এবং মেদিনীপুর হইতে তমলুকে আসিয়া ১৮৬৩ ইংরাজী অব্দ পর্য্যন্ত সেখানে থাকেন। ইং ১৮৬৪ সনে ইনি কলিকাতার হাটখোলার নিমক সুপারেন্টেণ্ডেণ্ট’ হইয়া বদলি ইয়েন ; হাটখোলার আফিস খুব জীকালে ছিল, ৩•• এর উপর টিপনবাস ছিল, প্রায় ৪০ • কয়াল ছিল । ইহা ব্যতীত সেরেস্তাদার, পেশকার, মহাফেজ, অনেক ইংরাজ-সেরেস্তার কেরাণি, দারোগ1,
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।