পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وياند\ দিব ন ভুঙক্তে অতঃ রাত্রে ভুঙক্তে" (দেবদত্ত দিবসে খায় না অথচ স্কুল, সুতরাং রাত্রে খায় )। পীনত্ব ও দিবসে অনাহার বিরুদ্ধ, তাহাদের বিরোধ-ভঞ্জনের জন্স রাত্রিভোজন স্বীকার্য্য। নৈয়ায়িকাদির মতে এরূপ छूटे ०३:उ अमूहेञान थश्गांन। शूलैমীমাংসকগণের মধ্যে র্যাহার কুমারিলভট্টের মতাবলম্বী তাহারা আবার ঘটভাব হইতে ঘটুের জ্ঞানকে অভাবনামক পৃথক প্রমাণ দ্বারা সিদ্ধ বলেন পৌরাণিকগণের এই ছয়টা প্রমাণেও অভীষ্ট সিদ্ধ হয় না, তাহার অগত্য ঐতিহ্য বা প্রবাদ এবং সম্ভব অর্থাৎ ইহা হইতে পারে ইহাকেও প্রমাণ বলিয়া' মানেন । ঐতিহ্য ও সম্ভব না মানিলে ঐতিহাসিক সত্যের অস্তিত্বলোপ হয়। প্রাচীনব্যাপার আমরা দেখি নাই । তাহা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করিতে হইগে সেই সমসাময়িক ব্যক্তির কথা বিশ্বাস না করিলে চলে না। আবার বহু প্রাচীন বিষয়ে সমসাময়িক ব্যক্তিরও অভাব। তথায় যাহা করেন ধারাবাহিক জনশ্রুতি। এই জন্য আমাদের শাস্ত্রে বলে “ন হর্মুল জনশ্রুতিঃ” (শুনশ্রুতি ব। প্রবাদ অমূলক নহে )। দুঃখের বিষয় পাশ্চাত্য প ও গণ প্রাচ্য ইতিবৃত্তের স •্যতা নির্যকরণে প্রবাদকে একেবারে ফেলিয়া দেন। তাহারা ভুলিয়া যান যে যদি ঠাহীদের পুরীরত্তের সত্যত স্থিল করিতে র্তা 1দর প্রবাদ যাহ। chronicles 3 annalso afors তাহা ত্যাগ করা যায়,তাহ হই ল সেই পুরাবৃত্তের সত্যত ভিক্তিহীন হইয় পড়ে। বজদশঃ। । ১২শ বৰ্ষ, বৈশাখ, ১৩১৯ মহাভারতে ইতিহাসের গৌণ লক্ষণ মহাভারতে সংস্কৃতমতে ইতিহাসের গৌণলক্ষণ ধৰ্ম্মার্থকামমোক্ষসংক্রান্ত উপদেশাবলী সাবিত্রী-সত্যবান প্রভৃতি ” উপাখ্যানে, বৃত্রবাসবাদি পৌরাণিকসংবাদে, গৃধগোমায়ুসংবাদাদি কথায়, সনৎমুজাতীয়ভগবদগীত অনুগীত মোক্ষধৰ্ম্মাদি দার্শনিকভাগে এমন কি প্রতি ছত্ৰে ছত্রে আছে। তর্কচ্ছলে মহাভারতের চরিত্রগুলি কাল্পনিক ধরিলেও মহাভারতে বর্ণিত সমাজ কাল্পনিক না হঠলে ইংরাজিমতেও ইতিহাসের গৌণ লক্ষণ মহাভারতে আছে বলিতে হইবে। সুতরাং জিজ্ঞাস্ত— মহাভারতের সমাজ কাল্পনিক কি স3্য ? ঐ সমাজ পৰ্য্যালোচনা করিলে উহ। কবির স্বকপোল কল্পিত বলিয়া বোধ হয় না। কল্পিত হইলে উহা সত্য কালের বা ত্রেতার সমাজের দ্যায় ধৰ্ম্মময় ও সৰ্ব্বানন্দময় হইত। ব্যাসদেব যে নিজকালের বিপর্য্যস্ত সমাজ বর্ণনা করিয়াছেন তাহা গ্রন্থে সুপ্রকাশ। ইতিবৃত্তের মুখবন্ধেই আদি বংশাবতারণপৰ্ব্বাধ্যায়ে তিনি অগ্রে সত্যযুগের চিত্ৰ দিয়া পরে তাহা কেন দ্বাপরের শেষ ভাগে পরিবর্তিত হয় উল্লেখ করিয়াছেন। সত্যযুগের শেষভাগে ক্ষত্ৰিয়গণ দুৰ্ব্বত্ত হইয়া ব্রাহ্মণাদি বর্ণের উপর অত্যাচার আরম্ভ করিলে, এমন কি নিরীহ তপোরত মহর্ষি জমদগ্নিকে হৈহয়গণ বিনাপরাধে হত্যা করিলে, জমদগ্ন্য রাম ক্ষত্রিয়দমনে বদ্ধপরিকর হন। তিনি একবিংশতিবার পৃথিবীকে নিঃক্ষত্রিয় করিয়৷ ক্ষত্রিয়শোণিতে সমস্তপঞ্চক হ্রদ স্বষ্টি করতঃ পিতৃ