পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

">Wり করিতে হইবে । হঠকারী সেবককে রোগশয্যা হইতে স্থদুরে রাখিতে হইবে। র্যাহার খটখট্‌ বুট’ বিহার করিয়া রোগের বিষয়ে #To fostol (kind enquiry) of to আদেন, দূর হইতে র্তাহাদিগকে বিদায় দিতে হইবে f 'বলগীনে কল সংযোগ বড় বিষম বিড়ম্বন। প্রথমতঃ চিকিৎসকৰে রোগীর ধাতু বুঝিতে হুইবে দেখুন, ধাতু না বুঝিয়া পথ্যপ্রয়োগে কিরূপ অনর্থ হইতেছে। যেখানে সেখানে একটি কথা দেখিতে পাই ‘মুবর্ণ সুযোগ’—‘এ সুবর্ণ সুযোগ আমরা ছাড়িব কেন ?’ মনে করুন কোন একটি দেশে, কোন একটি প্রবল রাজসিক জাতির মধ্যে সুবর্ণ সঞ্চয়ই জীবনের প্রধান লক্ষ্য । কাজেই তাঁহাদের ভাষাতেও সুবর্ণ সৰ্ব্বদা উজ্জ্বল বর্ণে প্রতিভাত হইবে । Golden time, Golden opportunity, Golden deeds ইত্যাদি। এখন তাই দেখা দেখি তুমি যদি তোমার মাতৃভাষার বলাধান করিতে গিয়া বলিতে থাক যে, সুবর্ণ সময়, সুবর্ণ সুযোগ, সুবৰ্ণ কাৰ্য্য, তাঙ্গ হইলে বাস্তবিক কি ভাষার বলাধান হইল ? না ভাষার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সমাজের মূলস্থত্রে মহাবিপ্লব বাধিল ? আমরা শাস্ত্রের উপদেশে সাধুলোকের দৃষ্টান্তে, সমাজের ছন্দে বন্দে শিথিয়াছি যে, সুবর্ণ আমাদের জীবনের লক্ষ্য নহে, ধৰ্ম্ম আমাদের লক্ষা, মঙ্গল আমাদের লক্ষ্য, শুভ আমাদের লক্ষ্য, সেইজন্য আমরা বলি, “এই শুভ সুযোগে আমাদের এই কাৰ্য্য করিতে হইবে।” সেই সমাজ যখন বলে, হীরক জুবিলি, রজত জুবিলি, আমরা সেই সময় বলিব, শুত্ব জুবিলি, छूदिशि भत्रदा हेडानि । বঙ্গদর্শন [ ১২শ বৰ্ষ, চৈত্র, ১৩১৯ • বিপিনচন্দ্র ধরাইয়া দিয়াছেন, পিতা পুত্রকে লেখেন, “প্রাণভূল্যেষু”। সেইরূপ পিতাকে আমরা লিখি, "পরম পূজনীয়”। ইহার পরিবর্তে “প্রিয় পিতা” বলিলে কি ভাষায় কিছু লাভ হইতে পারে? না “প্রিয় প্রিয়” বলিয়া পিতার সঙ্গে তুলা মূল্য হইবার প্রবৃত্তি বাড়িয়া যায় ? সেটা কি ভাল ? প্রাচীন সমাজে, সেই সমাজের ভাবভঙ্গির সহিত, চাল-চলনের সহিত ভাষা এরূপ ভাবে জড়াইয়া থাকে যে, বিদেশী ভাষা তাহার সহিত বলপূৰ্ব্বক যোগ করিতে গেলে সমাজের সমস্ত গ্রন্থি শিথিল হইয়া যায়। র্যাহারা সমাজ ভাঙ্গিতে বদ্ধপরিকর, তাহারা ভাষার উপর বল প্রয়োগ করুন, তাহাদিগের কার্য্যে আমাদের কোন কিছু বলিবার অধিকার নাই বলিলেও চলে, কিন্তু র্যাহার এই পুরাতন সমাজের অগ্ৰে স্থিতি, পরে শনৈ: শনৈঃ উন্নতি কামনা করেন, তাহার ভাষার উপর দৌরাত্ম্য কুরিলে আমাদের কপালে করাঘাত করিতে ইচ্ছা করে। পূৰ্ব্বেও বলিয়াছি, এখনও বলিতেছি, ভাযা একটি জীবন্ত প্রবাহ। তাহার গৃতি আছে, বেগ আছে । • তাহাতে আবৰ্ত্ত আছে, প্রপাত আছে ; আর প্রবাহের ধারে ধারে চড়া আছে, শস্ত শুামলা ভূমি,আছে, কর্কশ কঠিন পৰ্ব্বতমালা আছে। ইহার জলরাশি কমে বাড়ে বটে, কিন্তু নিয়তই প্রবহমান ; চলিতেছে-কখন কুলুকুলু রবে, কখন বা গভীর গর্জনে। এই প্রবাহে অন্ত ক্ষুদ্র প্রবাহ সকল পতিত হয় বটে, কচিৎ বিবর্ণ করে বটে, কিন্তু প্রায়ই কিঞ্চিৎ দূরে গিয়৷ মিলিয়া যায়। এই প্রবাহের গতি না বুঝিয়