১২শ সংখ্যা ] ছিল। পুরাতন , পুষ্করিণীর পঙ্কোদ্ধার ও নব পুষ্করিণীর প্রতিষ্ঠা প্রায়ই হইত। ઉત્તર সে ধৰ্ম্মপ্রাণতা নাই। কিন্তু প্রাণ রক্ষাত চাই। ভাল জলের সংস্থান না করিলে নদীবিহীন পল্লীগ্রাম টিকিতেই পারে না। তাহার পর দেশে জঙ্গল বাড়িতেছে। কতক আমাদের উদাসীনতায়, কতক আমা দের, আলস্তে, আর কতক আমাদের রসনার উপাসনায় । বাগাত জমিতে গাছপাল৷ চিরকালই আছে ও থাকিবে, নতুবা বাগাত হইবে কি প্রকারে ? কিন্তু বাস্তু উদ্ধাস্তু —আমরা রসনা-পরায়ণ হইয়া আমের কলমে, লিচুর কলমে ভরিয়া ফেলিতেছি। যাহার আছে সে বাগাত জমিতে বাগান কর, কিন্তু বাস্তু-উদ্বাস্তু জঙ্গল করিও না ; মাঠান জমিও বাগাতে পরিবর্তন করিও না। জঙ্গলে ভূমি শুষ্ক হইতে পারে না। তাহাতে * বাস্তুর বিলক্ষণ ক্ষতি হয় এবং ক্ষেত্রে বাগান করিলে শস্তসম্ভার কমিয়া যায়। “উত্তর, কলা, দক্ষিণখোলা’ — গৃহস্থ লোকের বাসের দক্ষিণে খানিকট খোলা জমি রাখা নিতান্ত আবশুক। দক্ষিণে খোলা জমি থাকিলে বাঙ্গলায় রৌদ্র, বাতাস দুইই পাওয়া যায় ! আগাছ একটু বড় হইলেই পূৰ্ব্বে লোকে बांगानेिब क्लछ কাটিয়া ফেলিত ; এখন অনেক স্থলে পাথুরে কয়লা জালানি হওয়ায় আগাছার তত টান নাই। বড় বড় আগাছায় গ্রাম নগরের উপকণ্ঠ একেবারে ভরিয়া উঠিতেছে। আলন্তে এবং উদাসীনতায় আমরা সেগুলি কাটাইবার ব্যবস্থা করি না। কিন্তু না করিলে আর ত চলে না । আপনার অবই, আপনার গ্রামের অবস্থা, আপনার জেলার অভিভাষণ १२d অবস্থা ধীরে সুস্থে বিবেচনা করিয়া দেখ, দেখিলে বেশ বুঝিতে পরিবে যে, আমাদের স্বাস্থ্যভঙ্গ হওয়াতে আমাদের ইহকাল পরকাল নষ্ট হইতেছে। যাহাতে আপন গ্রামে, আপন ভিটায় আমরা সুস্থ শরীরে বাস করিতে পারি,তাহার চেষ্ট সকুলকে করিতে হইবেন-জঙ্গল কাটাইতে হুইবে, পুষ্করিণীর *পঙ্কোদ্ধার করিতে হইবে, নদী সকল যাহাতে বহত হয়, তাহার চেষ্টা করিতে হইবে। শরীর বহিলে তবে কৰ্ম্মসাধন হয়, লোকযাত্রা সাধন হয়। শরীর সুস্থ না থাকিলে কোন কিছুই হয় না, কোন কিছু ভাল লাগে না। শিক্ষা বল, বিদ্যা বল, গুণপনা বল, ধন বল, যশ বল, শরীর বহিলেই সব । যাহাতে আমরা সেই শরীর সুস্থ রাখিয়া বসবাস করিতে পারি, তাহার জন্ত অগ্রে আমা দিগকে চেষ্টা করিত্বে হইবে। সেই চেষ্টাকে আত্মম্ভর নীতি বলিতে হয়, বল ; প্রজানীতি বলিতে হয়, বল ; স্বাস্থানীতি বলিতে হয়, বল ; এই জন্ত রাজপুরুষগণের কাছে যে ক্রনন, আবেদন, নিবেদন—তাহাকে রাজনীতি বলিতে হয়, বল,— যে নামে বলিতে হয়, বল—কিন্তু এই চেষ্টা এখন কিছু দিন করা চাই। সৰ্ব্বরূপ আন্দোলনে বিশ্রাম দিয়া এই পরম মঙ্গলকর কার্য্যে লাগিয় যাও ; আর উদাসীনতায়, আলন্তে, নিবুদ্ধিতায় আসল খোয়াইয়া নকলের জন্ত লালায়িত হইও না। কতবার বলিয়াছি, আযার বলি, সমস্ত বাজে কথা আর কাজের কথা ফেলিয়া রাখিয়ী এখন দিন কতক বাঙ্গালিকে বাঙ্গালির স্বাস্থ্যের কথা ভাবিতে হইবে। যাহার যতটুকু সাধ্য, ऋांtशार्द्रङिद्र खछ उांशएक उ*ऐकू (छहे
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।