পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ সংখ্যা ] সর ধরিয়া বাঙ্গলার অনেকগুলি মাসিকপত্র পৰ্য্যালোচনা করিলাম,—কৈ ঐ কথার গুরুত্বের উপলব্ধি ত কোথাও দেখি নাই । সাপ্তাহিক পত্রেই বা কৈ ? মুলভে কিছু কিছু থাকিত, তা সুলভ ত আর নাই।“অমৃতবাজার”, “বঙ্গবাসী” প্রভৃতি দুই একখানি পল্লীসম্পর্কিত পত্রে কছু কিছু থাকে,— তাহাতেও বড় আশা হয় না। “অমৃতবাজার” বলেন, কলিকাতার লোকে জরকষ্ট বা জলকষ্ট কিছুই বুঝে না, সেইজন্ত কিছুই লেখে না। বাঙ্গল কবন্ধ হইলেও কলিকাতা আমাদের মাথা,-মাথায় না লাগিলে কাহারও মাথাব্যথা হইবে কেন ? ভাল, কলিকাতায় বড় লোক"দের সাহায্য যদি না পাওয়া যায়, সহরে কংগ্রেস যদি এ বিষরে উদাসীন থাকেন, শাসকসম্প্রদায়ও যদি পূর্বের মত গয়গচ্ছ করেন, তবে আমরা এই সামান্ত মধ্যশ্রেণীর সম্প্রদায়, এই সমগ্র সাহিত্য-সেবীর দল, এই মদিক, সাপ্ত হক, দৈনিক পত্রগুণুির সম্পাদকগণ, এই কবি-লেখকের দল, এই ঐতিহাসিক বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়—আমরা আপনার চেষ্টা করিয়া কিছু করিতে পারি না কি ? নাই ব৷ হইলাম রামমূৰ্ত্তির মত জোয়ান, সুরেন্দ্র বাবুর মত বক্ত, ডাক্তার ঘোষের মত আইনষ্ট্র ও ইংরাজি-সাহিত্যরত, ঠাকুর কুমারের মত ধনশাণী—মাই বা হইলাম আমরা এ সব কিছু ; আমরা এই সামান্ত বলবিত্ত বিদ্যাবুদ্ধি লইয়া প্রতি জনে জনে ঐকান্তিক চেষ্টা করিয়! কিছুই কি করিতে পুরিব না? যদি শ্ৰীভগকৃনের সহায়ে অমুার এই প্রাণের কথা আপনাদের দশজনেরও প্রাণে লাগাইতে পারি, তাহ হইলেই আশা করিব বাঙ্গলার যুগান্তর অভিভাষণ ৭২৭ উপস্থিত হইবে, স্বাস্থ্যোন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বাঙ্গলার সাহিতা, ইতিহাস, বিজ্ঞান, শিল্প— সকল বিষয়েরই উন্নতি হইবে । জঙ্গলে, বাধে, রেলের পথে যখন দেশের জল বন্ধ হয় নাই, যখন দেশের ছোট বড় সকল লোকে পরীগ্রামপ্লিয়ঠর বলিয় জনিত, নদী গুলি যখন ভরাট হইয় উঠে না,—তখন দেশের যে অবস্থা ছিল, এখন তাই ՃՇ5 করিতে গেলেও চক্ষে জল আসে। তখন দেশে अन्न fइग,—श्? cपलां श्रुझे भूळ ८भांप्लेIडाउ সকলেই থাইতে পাইত ; দেশে বিস্তর তত্ত্ববায়ু ও জেলা ছিল,—মোট কাপড় সকলেই পরিতে পাষ্টত। আর ছিল—যাত্রা-গান, কবি, পাচলি, কথকতা ; কৃত্তিবাসী কাশীদাসী পাঠ হইত ; চণ্ডীর গান, পীরের গান গীত গুইত, আর হইত পূজা, অৰ্চনা, আরাধনা, আজান ; মেলা-মহোৎসুব নিত্যই হইত ; বারয়রিতে হিন্দু মুসলমানের সমান উৎসাহ ; সৰ্ব্বত্রই হাসিখুসি, গল্পগুজব, গান-বাজনা। পূৰ্ব্বাঞ্চলে নদীর উপর সারিগান ও ভাটিয়াল গান পদ্মার মত ভীষণ নদীর প্রবাহ ছাই৷ রাথিত। এখন দেশ অস্বাস্থ্যকর হওয়াতে ঐ সকল অত্যন্ত কমিয়া গিয়াছে ; সে উদ্যোগ নাই, সে উৎসাহ নাই ; সে প্রাণ নাই, সে ফুৰ্ত্তি নাই ; সে প্রফুল্লতা নাই, সে রস নাই— সে সব কিছুই নাই। আছে কেবল জ্ঞানের মার, বিজ্ঞানের ছায়, সভার আড়ম্বর, আর বক্তৃতার বিড়ম্বন; আছেন—উকীল মোক্তার, কোসিলি ও ডাক্তার। আর আছে বাঙ্গল অক্ষরে ইংরাজের সংবাদপত্র এবং ইংরাজের নকলে দেশের ইতিহাস। অতি বিনীতভাবে কান্তরে জিজ্ঞাসা করি, ঐ সকল খোৱাইয়া,