পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৩২ “বাতাসে যে ব্যথা যেতে ছিল ভেসে ভেসে, যে বেদন ছিল বনের বুকেরি মাঝে। লুকান যা ছিল অগাধ আচল দেশে, তারে ভাষা দিতে বেণু সে ফুকারি বাজে ।” Lyric কাব্যের অতি সুন্দর পরিচয় নয় ? “হোমশিখার প্রথমেই “সবিতা” কবিতার একটি নান্দী পংক্তি আছে, , “ধেয়াই বরেণ্য সবিতায়, রমণীয় দীপ্তি দেবতায়, আমাদের বুদ্ধি বিধাতায় ।” হোম-শিখার সুন্দর নানী। তাহার পর “তীর্থ-দলিল” ও “তাৰ্থ-রেণু" কবিপ্রদত্ত পরিচয়— “বিশ্ববাসীর বারতা এনেছি বঙ্গের সভাতলে, ভরেছি আমার সোণার কলস নানা তীর্থের জলে ।” “ফুলের ফসলের আগম-বাণী আরও মনোহর, পয়গম্বর মহম্মদের কথা । “জোটে যদি একটি পয়সা, খাদ্য কিনিয়ে ক্ষুধার লাগি, ছুটি যদি জোটে, তবে অৰ্দ্ধেকে, ফুল কিনিও হে অম্বুরাগী । বাজারে বিকীয় ফল-তণ্ডুল, সে শুধু মিটায় দেহের ক্ষুধা, হৃদয় প্রাণের ক্ষুধা নাশে ফুল, জুনিয়ার মাঝে সেই ত স্বধ।” “5ोहनद्र थूथ्री” अना अश्। शैप्नद्र উপনিষৎ প্রভৃতির পরিচয় পাওয়া যায়। “কুহু ও কেকাতে” আমরা কুহুই পাইলাম, কেক পাইলাম না! “দৃষ্টিহাৱ,” “নিধিধ্যান” প্রভৃতি চারিখানি নাটক আছে। "দৃষ্টিহারা” পড়িয়া দিশেহার বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, চৈত্র, ১৩১৯ হইয়াছি, কিছুই বুঝিয় উঠতে পারি নাই। বিদেশের বিশেষ কথা বুঝিতে পারি না। “ব্রহ্মবাদী ঋষি ও ব্রহ্মবিদ্যা”— ঐতারকিশোর শৰ্ম্মচৌধুরী প্রণীত। গত বৎসর প্রকাশিত হইয়াছে। বাঙ্গলা দেশে অধিকাংশ ব্রাহ্মণের ব্রহ্মজ্ঞান নাই বলিয়া এবং ব্ৰাহ্মনামধারী কতকগুলি ভদ্রসন্তান নিতান্ত অনাচারী হওয়াতে ব্ৰহ্মবাদ সাধারণ লোকের কাছে অনাদরণীয় হইয়াছে ; প্রকৃত ব্ৰহ্মবাদ যে কি, তাগ শুনিতেও লোকের স্পৃহা নাই। এমন দিনে এই গ্রন্থের নামকরণ যে সময়োপযোগী হইয়াছে, এমন কথা বলিতে পারি না। নতুবা এই গ্রন্থের মত গ্রন্থ বহুদিন দেখি নাই। এই গ্রন্থ প্রকাশে বাঙ্গলা ভাষা শাস্ত্র-সমন্বিত হইয়াছেন, আর চৌধুরী মহাশয় সকলের পূজনীয় হইয়াছেন। ষ্ট্ৰীযুক্ত বিনয়কুমার সরকারকে গত বৎসর সাহিত্য-সেবীদিগের নিকটে আমি পরিচিত করিয়া দিই। এখন তিনি সাহিত্য-সংসারে সুপরিচিত। এ বৎসর তাহার “শিক্ষাসমালোচন”, “ঐতিহাসিক প্রবন্ধ” ও ‘সাধনা” প্রকাশিত হইয়াছে। সকল গুলিতেই গভীর চিন্তার পরিচয় পাওয়া যায় । এই সঙ্গে বিবিধ প্রবন্ধমূলক শ্ৰীযুক্ত বিপিনবিহারী ঘোষ কর্তৃক প্রকাশিত “অনুসন্ধান” নামক পুস্তক উল্লেখযোগ্য। g = প্রযুক্ত জগদানন্দ রায়ের “প্রকৃতির পরিচয়” ও “বিজ্ঞানাচাৰ্য্য জগদীশচন্ত্রের আবিষ্কার বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ। এইরূপ গ্রন্থ বাঙ্গলা যত প্রকাশিত হইবে, ততই ভাল। “ভারতের শিক্ষিত মহিলা”—শ্ৰীহরি দেব শান্ত্রি প্রণীত । ইহাতে প্রাচীন কালের