১২শ সংখ্যা ] অদ্বৈত, শ্ৰীবাস, বিদ্যানিধি, মুরারী, হিরণ্য, হরিদাস, গঙ্গাদাস, বনমালী, বিজয়, নন্দন, জগদানন্দ, বুদ্ধিমন্ত খাম্, নারায়ণ, কাশীশ্বর, বামুদেব, রাম, গরুড়, গোবিন্দ, গোপীনাথ, জগদীশ, শ্ৰীমান, শ্ৰীধর, সদাশিব, বক্রেশ্বর, শ্ৰীগৰ্ভ, শুক্লাম্বর, ব্ৰহ্মানন্দ, পুরুষোত্তম, সঞ্জয় প্রভৃতি কত ভক্তই কীৰ্ত্তনে যোগদান করিতেন। ভক্তকণ্ঠেখিত হরিধ্বনি নৈশ আকাশে সমুথিত হইত ; পাষণ্ডগণ তাহ শুনিয়া জলিয়া পুড়িয়া মরিত। তাহারা প্রচার করিয়া বেড়াইতে লাগিল “বৈষ্ণবগণ মধুমতী সিদ্ধিলাভ করিয়া মন্ত্রবলে পঞ্চকন্ত। আনয়ন করতঃ নিশাকালে তাঁহাদের সহিত আমোদ প্রমোদ করে।” বিদ্বেষ্টাগণের নিন্দায় কর্ণপাত না করিয়া ভক্তৃগণ শঙ্কীৰ্ত্তনে রত রছিলেন । 鬱 কীৰ্ত্তন আরম্ভ হইলেই গেীর ভাবসুবশে মত্ত হইয়া পড়িতেন, তাহার চরণ শিথিল হইয়া পড়িত, এবং সময় সময় এমন ভাবে ভূপতিত হইতেন যে, তাহ দেখিয়া শচীদেবী আতঙ্কিত হইয়া উঠিতেন । পুত্রবৎসল৷ জননী কাতর ভাবে প্রার্থনা করিতেন— কৃপা কর কৃষ্ণ মেরে এই দৈষ্ট বর। যে সময়ে আছাড় খায়েন বিশ্বম্ভর ॥ মুঞি যেন তাহা নাহি জানে সে সময়। হেন কৃপা কর মোরে কৃষ্ণ মহাশয় ॥ যত দিন যাইতে লাগিল, কীৰ্ত্তনের প্রগাঢ়তাও ততই বৰ্দ্ধিত झ्हेप्ङ'ब्रबि, ক্রমে বিবিধ কীৰ্ত্তন-সম্প্রদায়ের সৃষ্টি হইল। শ্ৰীবাস, ਾਂ, গোবিন্দ ঘোষ প্রভৃতি অনেকে অনেক সম্প্রদায় গঠন করিলেন। কীৰ্ত্তন কালে যে উন্মাদনার সৃষ্টি হইত, তাহা বর্ণনা নিমাইচরিত্র ዓ8 » তীত। দলে দলে লোক তাহ দেখিবার জন্ত ছুটিয়া আসিত, কিন্তু গৃহের দ্বার রুদ্ধ থাকায় প্রবেশ করিতে পারিত না। পাষণ্ডীগণও কীৰ্ত্তন শুনিবার লোভ সম্বরণ করিতে পরিত নী । কিন্তু প্রবেশ করিতে না পাইয়া বিষম রষ্ট হইয়া উঠিত। এখন তারা বণিয় বুেড়াইতে, লাগিল “দেশে (ಟ್ ছিল না, বেটারা কীৰ্ত্তন আরম্ভ করিয়া দেশে দুর্ভিক্ষ আনিয়াছে। এত ভাল ছেলে নিমাই পণ্ডিত, এই সমস্ত বদমায়েসের দলে নিশিয়া মাটী হইয়া গেল। কোথা হইতে এক জাতিনাশা অবধূত আসিল, শ্ৰবাস দ্বিরুক্তি না করিয়া তাঁহাকে স্বগৃহে স্থান দান করিল। বেটাদের স্পদ্ধ বড় বাড়িয়াছে, আমরা দেয়ানে নালিশ করিয়া ইহাদের জারিজুরি সব ভাঙ্গিয়া দিব।” কিন্তু নিন্দ ও ভয় প্রদর্শনে কোনও ফল হইল মা ! কীৰ্ত্তন যেমন চলিতেছিল, তেমনি চলিতে লাগিল । গভীর নিশায় এক দিন কীৰ্ত্তন হইতেছে, ভক্তগণ বাহাজ্ঞানশৃঙ্গ। খোল করতাল ও কীৰ্ত্তনের রব নবদ্বীপের নৈশ নীরবতা ভঙ্গ করিয়া মুক্ত আকাশে প্রতিধ্বনিত হইতেছে, এমন সময় ভক্তমণ্ডলী ভেদ করিয়া গৌরচন্দ্র বিষ্ণুখটার দিকে ধাবিত হইলেন। খোল করতাল নীরব হইল, ভক্তগণ বিস্ময়স্তিমিত লোচনে চাহিয়া দেখিলেন, গেীর বিষ্ণুવા আরোহণ করিয়া শালগ্রামশিলা অঙ্গে ধারণ করতঃ উপবিষ্ট হইলেন। মড় মড় শব্দে থটা কম্পিত হইয়া উঠিল। ত্রস্তব্যস্ত डtद निडानन शश्ञा थक्के "शनं করিলে শব্দ নিবৃত্ত হইল। সেই নীরবতা ভঙ্গ করিয়া গেীর বলিতে লাগিলেন—
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।