* Գ8Ե বা না । তৃতীয় পরিচ্ছদের দশম শ্লোকে একবার মাত্র "গঙ্গা-করতোয়া” একত্র উল্লিখিত আছে ; কিন্তু তাছাকে ‘ গঙ্গ-কর তোয়ার” সঙ্গম সুচক বলিয়া কিরূপে ব্যাখ্যা করা যাইতে পারে, তাহা বুঝিতে পারা যায় ਜ , ਚੋੜ একবার রাম পক্ষে আর কবার রামপাল ধক্ষে ব্যাখ্যা করিতে চইলে । একদিক্ টানিতে গেলে,আর একদিক্ ছিড়িয়া যায় । - একে সন্ধ্যাকরের কাব্য (প্রত্যক্ষর শ্লেষনিবদ্ধ বলিয়া ) বিলক্ষণ , দুরূহ ; তাহাতে তৃতীয় পরিচ্ছেদের টীকা প্রাপ্ত হওয়া যায় নাই। যে একখানি মাত্র হস্তলিখিত পুথি প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে, তাহ, ‘শ্ৰীশীলচন্দ্র’ নামক লেখক কর্তৃক লিখিত । শাস্ত্রী মহাশয় লিথিয়াছেন,—“শীলচন্দ্র নাম দেখিয়া মনে হয় লিপিকারক বৌদ্ধ,-তাহার সংস্কৃত ভাষায় অধিকার ছিল না,—তজ্জন্ত অনেক শব্দ ও শ্লোক পরিত্যক্ত এবং বিকৃত হইয়াছে।’ শীলচজ যে বৌদ্ধ ছিল, কেবল তাহার নাম হইতে তাহ নিঃসংশয়ে অম্বুমান করা চলে না । কিন্তু “শ্ৰীখনায় নমঃ সদা” বলিয় (বুদ্ধদেবের নমস্কারের পদ ) নকল আরম্ভ করিয়া, শীলচন্দ্র তাহার প্রমাণ রাখিয়া গিয়াছে। শাস্ত্রী মহাশয় তাহার উল্লেখ করিতে পারিতেন । সে যাহা হউক, সত্য সত্যই সকল কার্য্যে অনেক ত্রুটি রহিয়া গিয়াছে। এরূপ ক্রটি.(অল্পাধিক মাত্রায় ) হস্তলিখিত সকল পুথিতেই সংঘটিত, হইতে পারে ; কোনও সংস্কৃতজ্ঞ ব্যক্তি নকল করিলেও, এরূপ ক্রটি ঘটিয়া থাকে। প্রথমে অধ্যয়ন । পূৰ্ব্বাবিতে প্রমাণাবলীর আলোচনা করিলে না করিয়, "যথাদৃষ্ট” প্রণালীতে গ্রন্থ নকল বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, চৈত্র, ১৩১৯ করা হইত ; পরে, অধ্যয়ন কালে, লিপি প্রমাদ সংশোধিত হইত। শীলচন্দ্রের নকল অধীত श्ब्राझ्नि बनिश cबाई इबना। उशrउहे লিপিপ্রমাদ সংশোধিত হয় নাই। যে লিপিকর এরূপ দুরূহ শ্লিষ্ট কাব্য নকল কয়িয়াছিল, তাহার সংস্কৃত ভাষায় কিছুমাত্র বুৎপত্তি ছিল না বলিয়া, অনুমান করিতে সাহস হয় না। এইরূপ অনুমান কিন্তু রামচরিতম্’ কাব্যের পক্ষে এবং তাঁহার নকলকারক শীলচন্দ্রের পক্ষে কোন কোন স্থলে বড় বিড়ম্বনার কারণ হইয়াছে। শীলচন্দ্রকে মুখ বলিয়া ধরিয়া লইয়া, শাস্ত্রী মহাশয় তাহার নকল থানিয় সংশোধন করিবার চেষ্টা করিয়াছেন। এ কার্য্য সৰ্ব্বাপেক্ষা দুরূহ,-ইহার জন্যই গ্রন্থমুদ্রাঞ্চণে বিলম্ব ঘটিয়া গিয়াছে। শাস্ত্রী মহাশয় অনেক স্থলেই সুবিবেচনার সহিত পরিত্যক্ত অক্ষর সংযুক্ত করিয়া, এবং বর্ণাশুদ্ধি ংশোধিত করিয়া, পাঠকের উপকার সাধন করিয়াছেন। কিন্তু পাঠসংযোগের চেষ্ট সকল স্থলে সৰ্ব্বতোভাবে সফল হইতে পারে না বলিয়া, দুই এক স্থলে শীলচন্দ্রের প্রতি অবিচার করা হইয়াছে। যে শ্লোকে "গঙ্গা করতোয়া” একত্র উল্লিখিত হইয়াছে, তাহাঁতেও নকলকারকের ভ্রমপ্রমাদ ছিল। শাস্ত্রী মহাশয় তাহা যেরূপে সংশোধন করিয়া লইয়াছেন, ওহার উপরে নির্ভর কলিয়াই, ভূমিকা লিথিয়াছেন। সুতরাং এখানেও সংশয়ের অভাব নাই। সকল সংশয়ের উপর প্রধান ੋਸ਼ ঐতি - হাসিক সংশয় । সম্প্রতি যে সকল ঐতিহাসিক প্রমাণ আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহার. সহিত
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।