৭৫২ রক্ষা করিবার জন্য এতটাই সমূৎস্থক যে, সেখানে পুলিসের লোকের পক্ষে মিথ্যা আচরণ করিবার প্রলোভন নাই বলিলেও চলে। কোনও স্বত্রে, কোথাও কোনও নিরপরাধী ব্যক্তির দণ্ড হইয়াছে, ইঙ্গ জানিতে পারি॥ল দেশের লেকৈ একেবারে ক্ষেপিগ উঠে, যুকলেই আপনাপন স্বস্বার্থ রক্ষার জন্যই পরস্পরকে রাজপুরুষদিগের অষথা শাসন হইতে বাচাইবার জন্ত এত ব্যগ্র হইয়া থাকে যে, সেখানে পুলিশের কৰ্ম্মচারীদিগকে সতত অতি সন্তপণে যথাসম্ভব সত্যের ও ধৰ্ম্মের পথ ধরিয়া চলিতেই হয়, না চলিলে তাহাদের চাকরী লইয়া টানাটানি পড়ে। রাজ্যে শাস্তি রক্ষার জন্ত বিলাতের গবর্ণমেণ্টকেও রাষ্ট্রীয় আন্দোলনকারীদিগের গতিবিধি পৰ্য্যবেক্ষণ করিতে হয়। বিশেষ, লণ্ডন সহরে না কি দুনিয়ার যত বিপ্লবপন্থী লোক আসিয়া প্রায় আশ্রয় লইয়া থাকে ; যারা স্বদেশের শাসন-ব্যবস্থার পরিবর্তনপ্রয়াসী হইয়া শাসন সম্প্রদায়ের বিরাগভাজন হইয় পড়ে, তারা অনেক সময়ই ইংলণ্ডে আসিয়া আশ্রয় গ্রহণ করে। রুশের, জাৰ্ম্মাণীর অষ্ট্রিয়ার বিপ্লবপন্থীগণের অনেকে লওনে বাস করেন। লণ্ডনের পলিশকে এ সকল লোকের উপরে সর্বদা চক্ষু রাখিতে হয়। এ ছাড়া ইংরাজের নিজের রাজ্যেও রাষ্ট্ৰীয় আন্দোলনকারী লোকের অভাব নাই। এ পর্য্যন্ত আইরিশের তে সৰ্ব্বদাই ইংরেজগবর্ণমেণ্টের স্বল্প বিস্তর বিরোধী হইয়া আছে। ইহাদেরও অনেকে আয়লণ্ডে না থাকিয় লওন, ম্যানচেষ্টার প্রভৃতি স্বানে বাস করে। এ সকলের উপরেও চক্ষু বঙ্গদর্শন ১২শ বর্ষ, চৈত্র, ১৩১৯ না ও রাখিলে চলে না। তার পর, ক্রমে ভারতবাসী রাষ্ট্রীয় আন্দোলনকারীও বিলাতে যাইয়া আশ্রয় লইতেছেন । এই শ্রেণীর সকল লোকের উপরেই বিলাতের পুলিসের দৃষ্টি রাখা আবশ্যক হইয়াছে। সুতরাং বিলাতের টুক্টিকীরা সে কেবল আমাদের উপরেই মোতায়েন হইত, তাহা নহে। বহু কালাবধিই ইহাদিগকে রাজনৈতিক লোকের উপরে গোয়েন্দাগিরি করিতে হইতেছে। আর ७३ नैौघ* श्रडानि निबकन ७ कांहर्षी श्झांब्र অস্তুত পটুতা লাভও করিয়াছে। কাহাকেও বিরক্ত করে না ; কাহারও উপরে অত্যাচার উৎপীড়ন করে না ; কাহাকেও অসন্মান দেথায় না ; কেবল দূর হইতে কে কোথায় যাইতেছে, কি করিতেছে, কোনও বৈপ্লবিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করিতেছে কি না, কোনও অরাজক দল পাকাইয়া তুলিতেছে কি ন, ষ্টহাই লক্ষ্য করিয়া থাকে। নানা দেশে, নানা মতের, নানা প্রকৃতির লোকের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করিতে করিতে ইছাদের এমন একটা কৰ্ম্মকুশলতা জন্মিয়াছে, যাহা বোধ হয় আর কোনও দেশের গোয়েনাবিভাগের কৰ্ম্মচারীদের মধ্যে খুজিয়া পাওয়া যায় না। অধিকাংশ স্থলেই বিলাতের পুলিশকে না কি বিদেশীয় বিপ্লবপন্থীদের গতিবিধি লক্ষ্য করিয়া চলিতে হয়, এজন্য বিলাতী বিলাতের টিকটিকীদের মধ্যে এমন একটা নিষ্কাম ভাব জন্মিয়া গিয়াছে,যাহা অপর দেশের টিকটকীদের আছে কি না বিশেষ সন্দেহের কথা। সৰ্ব্বোপরি ইংরেজ জাতটাই মোটের উপরে স্বাধীনতা বস্তুকে বড় ভালবাসে। যেখানে আপনাদের জাতীয় স্বত্বস্বার্থের
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৫৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।