১২শ সংখ্যা ] তাহার চক্ষে সেইটাই উজ্জ্বলরুপে ভাসিতেছিল। র্তাহার হৃদয়েশ্বর যে “বহু বল্লভ” ইহাতে তাহার নিজের গৰ্ব্ব একটু খৰ্ব্ব হইলেও, তাহার প্রণয়গৰ্ব্ব আরও যেন বাড়াইয়া দিয়াছিল। শ্রীরাধার হৃদয়-দৰ্পণে শ্ৰীকৃষ্ণের ভালবাসা এইরূপে প্রতিফলিতু ইয়াছিল বলিয়াই অত অপমানেও তিনি ভ্রমরের মত অথবা অন্ত কোনও বিলাতী নায়িকার মত শ্ৰীকৃষ্ণকে একেবারে ত্যাগ করিয়া যান নাই বরং ইগর পরেও শ্রীকৃষ্ণের সহিত মিলিত হইবার জন্য আরও ব্যগ্র হইয়াছিলেন। প্রেমের লক্ষণ এমনি করিয়াই অভিব্যক্ত হয়। আর প্রেমের সহিত অন্ত কোনও ভাবের মেশামিশি না থাকাতেই এই দুইটা হৃদয়ের যথার্থ কোনও বিচ্ছেদ হয় না। মাঝে মাঝে মেঘে চাঁদ ঢাকা পড়িলেও নুিশীথিনী জানে যে সে মেঘ কাটিয়া যাইবে, তা অল্প দিনেই হৌক, অথবা দীর্ঘ বিরহের পর হৌক, চাদ আবার হাসিবে,*অমৃত ধারা” আবার ঝরিবে। তাই সে সেই স্বদিনের প্রতীক্ষায় বসিয়া থাকে । চাদকে গাল দিয়া বাপের বাড়ী চলিয়া যায় না। এই যে অনাত্মসম্বন্ধিনী ও প্রিয়ানুগামিনী হৃদয়-বৃত্তি ইহাই ভারতবর্ষের রমণীর প্রেম, এবং ইহা দ্বারাই সকল অবস্থাতে বিষের পরিবর্তে অমৃতের উদ্ভব হয়। এমন ধারা ভালবাসার একটা অমোঘ আকর্ষণ আছে, বাঙ্গ বোধ হয় ইচ্ছা করিলেই का?ईग्रां ॐ शाह न । विमर्शः शशत्र হৃদয়ে এই আকর্ষণী শক্তির কাছে পরাজয় মানিবার ইচ্ছা স্বতঃস্ফূর্ত হইয়া আছে, তাহার তে কথাই নাই। শ্রীকৃষ্ণের পক্ষে ঠিক জয়দেব ও বিদ্যাপতি Գ(t:Տ তাহাই হইয়াছিল। কৃত্তিবাস লিথিয়াছেন যে রামকে নাগপাশে বদ্ধ অবস্থায় কেহ গরুড়কে স্মরণ করিবার কথা বলে, আর গরুড়কে স্মরণ করিতেই সে উপস্থিত হয়, ও তৎক্ষণাৎ ब्रांभल्लठ् १ाश्वशृङ छझेब्र। मैंज्जांझेग्र उंप्ठेन । এ ক্ষেত্রেও রাধার উপর,চকিত দৃষ্টিপাত স্ত্রীরাপুরি ঠিক সেইরূপ কুাৰ্য্য করিয়াছিল। শ্রীরাধার প্রিয় বিয়য়ক পুর্গানু জ্ব দৃষ্টি মির্থ্য কঙ্গে নাই ; তিনি যে সবতীপরিবৃত শ্রীকৃষ্ণের বিস্ময়চকিত প্রফুল্লাননে সুস্মিত রেখা লক্ষ্য করিয়াছিলেন, তাঙ্গতেই কুষ্ণের সদয় উদঘাটিত হইয়াছে ; এবং তাঁহাই নাগপাশবদ্ধ রামচন্দ্রের সম্বন্ধে গরুড়ের মস্ত কার্য্য করিয়াছিল। রূপকথায় সোণার কাঠি আর রূপার কাঠির গল্প শুনিতে পাওয়া যায় ; সোণার কাঠিতে জ্ঞান ফিরাইয়া দেয়, আর রূপার কাঠিতে অজ্ঞান করে, মুগ্ধ করে । ব্ৰজযুবতীগণের আকর্ষণরূপ রূপার কাঠি স্পশে যে মুগ্ধ হরি বৃন্দাবন বিপিনে রাধাকে ভুলিয়া ক্রীড়া করিতেছিলেন, রাধা দর্শন রূপ সোণার কাঠি তাহাকে তৎক্ষণাৎ প্রবুদ্ধ করিয়া দিল । কোথায় রহিল স্বতীবৃন্দ, কোথায় রহিল আমোদ-আহলাদ, প্রাণ তখনি প্রিয়তমার দিকে ছুটিয়া চলিল, নেশ কাটিয়া গেল, ইন্দ্রজাল ভাঙ্গিয়া গৈল। কংসারিরপি সংসার-বাসনা-বন্ধ-শৃঙ্খলাম । রাধামাধায় ঈদয়ে তত্যাজ ব্রজসুন্দরীং ॥ এই পরিণতি প্রদর্শন করিবার উদ্বেপ্তেই জয়দেব কবি শ্রীকৃষ্ণের চতুঃপাশ্বে ইন্দ্রিয়ের ভৌগোপযোগী উপচার, রাশি সজ্জিত করিয়া ছেন ও করিয়া দেখাইয়াছেন যে যেখানে যথার্থ ভালবাসা আছে, যেখানে প্রণয়িনীকে
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।