৭২ এবং এই একই কারণে দুর্গম পাৰ্ব্বত্যপ্রদেশে ও মরুভূমে কন্যা অপেক্ষ পুত্র বেশী। এই পণ্ডিত-মণ্ডলী ভারতবর্ষের খবর রাখিলে বলিতে পারিতেন এই কারণে ভারতে পুত্র অপেক্ষ কল্প বেশী এবং অস্থৰ্য্যম্পশা আর্ধারমণী ইংরেজের পুরস্ত্রী হইলে সভ্যতার অrদান প্রদানে তার তব অপেক্ষ। ইংলণ্ড অধিক লাভবতী হইতেন। 會 অনেকের হয় ত খট্কা ঠেকিবে অপ্রচুর খাদ্যের সঙ্গে মামুধের জন্মের কি সম্বন্ধ ? এবং সম্বন্ধ থাকিলেও, তাহাতে স্ত্রীলো:কর গৌরব কিসে বাড়ে ; আমার মনে হয়— বিজ্ঞান ইহার" সমর্থন করিবে কি না জানি না—সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, সমুদয় শারীরিক ও মানসিক বৃত্তির সম্যক উৎকর্ষ খাদ্য হইতে পুষ্টি ও রসাকর্ষণের উপর নির্ভর করে। অপ্রচুর খাদ্যরস হইতে পুরুষের অপরিণত শরীর ও মনের জন্ম হইতে পারে ; কিন্তু স্ত্রীর পারে না। এই জন্য প্রচুর খাদ্যের অভাব ঘটিলে সেখানে স্ত্রী জন্মে না, পুরুষ জন্মে। ধনীর গৃহে এই জন্য সুন্দরী কন্য। এবং মরুভূমে ও দুভিক্ষপীড়িত দেশে পুত্র বেশী জন্মে। ইহা স্ত্রীর শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম & কেহ হয় ত বলিবেন—কৈ ইহাতে •ত স্ত্রীর শারীরিক শক্তির কোন পরিচয় পাইলাম ন! । অধ্যবসায়শীল ইংরেজ পণ্ডিত ইহার উত্তর দিবীর জন্য প্রস্থত। ইহঁরা নানা ভিন্নদেশীয় হাসপাতাল অনুসন্ধান করিয়া জানিয়াছেন যে স্বভাবতঃ স্ত্রীর শরীর পুরুষ অপেক্ষা সুদৃঢ় ও স্থায়ী। রোগ ষন্ত্রণা সহ করিতে ও রোগের আক্রমণ হইতে আত্মরক্ষণ কুরিতে পুরুষ অপেক্ষা স্ত্রীর ক্ষমতা অনেক বেশী। স্ত্রী হাসিমুখে যে রোগ বহন করে, পুরুষ তাহাতে শয্যাগ ত হয়। অনেক রোগ স্ত্রীলোকের আদৌ হয় না। অনেক রোগ খুব বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, বৈশাখ, ১৩১৯ কম হয়। পীড়িত-অঙ্গচ্ছেদ বা উহাতে অস্ত্রাঘাত স্ত্রী যত সহজে সহ করে, পুরুষ তাহ। পারে না। অগ্নচিকিৎসাবিশারদ পণ্ডিত এ কথার সাক্ষী । সেবা-ব্রতে স্ত্রীঅতুলনীয়। \ হিন্দুর নকট ইহার নূতন পরিচয় দিতে হইবে না। হিন্দু গীকে লক্ষ্মীস্বরূপ জানে। অন্য দেশে ইহার সম্যক পরিচয় নাই বলিয়া হাসপাতাল ও যুদ্ধক্ষেত্র অনুসন্ধান করিতে হয়। সেখানে দেখা যায় সেবায় স্ত্রী পুরুষ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। নাস (Nurse) ব। ধাত্রীগণ হাতপা তালে ও যুদ্ধক্ষেত্রে করুণহস্ত প্রসারণ না করিলে কত বিরাট সভ্য রাজ্যে মরণের ছায়া দ্বি গুণ বিকট হইয়া মানুষকে মরণের ভয়ে ক্ষিপ্ত করিয়া তুলিত । রমণী মঙ্গলহস্তদ্বারা শ্মশানকেও সুখ-শয্যায় পরিণত করিয়াছে। ইহা রমণীর কম গৌরবের কথা •য় । -- আর একটমাত্র প্রমাণ উদ্ধৃত করিব । ইনসি ওরেন্স কে ম্পিানির ইতিহাস হইতে দেখা যায় স্ত্রীর দৃষ্টশক্তি পুরুষ অপেক্ষ তক্ষু ও স্ত্রী পুরুষ অপেক্ষ দীর্ঘজীবি । দৃষ্ট ষে তীক্ষতর তাহার প্রমাণের জন্য ইনসিওরেন্স কোম্পানীর দপ্তর ঘটিয়া মরি কেন ? ইহা ত জ্যামিতির স্বতঃসিদ্ধের ন্যায় নিত্যপ্রামাণ্য – নতুব। সে কটাক্ষে মহাযোগী মহাদেবের ধ্যান ভঙ্গ হইবে কেন ? অার বেচারি বাঙ্গালী-পুরুষই বা বিশ্বসংসারকে অসার জ্ঞান করিয়া অঞ্চলক্ষ্মীর অঞ্চললগ্ন হইবে কেন ? ইহার পর যদি , কোন পুরুষ স্ত্রীর শ্রেষ্ঠত্বে সন্দেহ করেন তবে মনে করিব নিশ্চয়ই র্তাহার স্বাক্ট তত্ত্বের বর্ণপরিচয় হয় নাই ।* སྦི། ༠t----
- এটা একটা কথার, কথা মাত্র। ডারউইনের