বেদের কথা । 鷲 আজি কালিকার যুরোপীয় সাধনা বিশাল বিশ্বব্যাপারে একটা , ক্রম বিকাশের ধারা লক্ষ্য করিতে মারম্ভ করিয়াছে। ব্রহ্মাণ্ডের মূল এক শক্তি এক পদার্থ এক তত্ত্ব নিহিত্যু রঙ্গিয়াছে। সে শক্তি, সে পদার্থ, সে তত্ত্ব যে কি তাহ কেহ জানে না। নানা লোকে তার নানা নাম দিয়া থাকে। কেহ বলে তাহা জড়, কেহ বলে অজড় । কিন্তু সে বস্তু যাহাই হউক না কেন, এই বিশাল ও বিচিত্র জগৎ যে সেই একই বস্তুরই ক্রমবিকাশে রচিত হইয়াছে, এ বিষয়ে আর বেশি কোনও সন্দেহ নাই। আমরা চিরদিনই এ বস্তুকে অজড়, তত্ত্ববস্তু বলিয়া জানিয়া আসিয়াছি। “স দেব সৌম্য ইদমগ্র আসীং একমেবা দ্বিতীয়ম।” হে সেীমা সেই এক ও অদ্বিতীয় সৎ বস্তুই আদিতে ছিলেন--“নান্যদস্তীতি কিঞ্চন”—এ ছাড়া অন্ত আর কোনও কিছু ছিল না। সেই বস্তুই এই সূশেষ বিচিত্রতাপূর্ণ ব্ৰহ্মাণ্ডে পরিণত হইয়াছে। ইহাই আমাদের শাস্ত্রীয় স্বষ্টিতত্ত্ব। আধুনিক বিজ্ঞানও এই তত্ত্বকেই ক্রমে প্রতিষ্ঠিত করিতেছে। আর আমরা চিরদিনই স্বষ্টির মূলীভূত এই তত্ত্ববস্তুকে চৈতন্য বস্তু বলিয়া জানিয়াছি। এই বস্তুই ব্ৰহ্ম-বস্তু। এ ৰস্তু সত্যং জ্ঞানং অনন্তং । এই ব্রহ্মবস্তুই ব্ৰহ্মাণ্ডের একমাত্র কারণ । কারণ আবার আমাদের भाप्लु श्रे প্রকারের । এককে উপাদান কারণ ও অপরকে নিমিত্ত কারণ বলে। মৃত্তিক ঘটাদির • উপাদান কারণ। কারণ মৃত্তিকার দ্বারা ঘটাদি নিৰ্ম্মিত হয়। আর কুম্ভকার এ সকল ঘটাদির নিমিত্ত কারণ। . নিমিত্ত কারণ এখানে কুম্ভকারের কেবল কুলাল বা হাত নহে, তাহার মনও। কুস্তকার স্থাপনার মনের মধ্যে পূৰ্ব্বে ঘটাদির আকৃতি প্রভৃতি ধারণা করিয়া লয়। পরে সেই ধারণার অনুরূপ করিয়া, কুলাল-সহায়ে আপনার হাত দিয়া, মৃৎপিণ্ড হইতে ঘটাদির স্বষ্টি করিয়া থাকে। ব্ৰহ্মবস্তু জগতের উপাদান কারণ এবং নিমিত্ত কারণ দুইই। তার অতিরিক্ত বিশ্বে কোনও কিছুই নাই। সুতরাং এই বিশ্বরচনার আত্মাতিরিক্ত কোনও কিছুর সাহায্য তিনি প্রাপ্ত হন নাই। আর এরূপ কোনও উপাদান যদি থাকিত, তবে তাহাকে সেই উপাদান ই বিশ্বরচনা করিতে গিয়, কিয়ুৎ, পরিমাণে সে বস্তুর অধীনও হইতে হইত। মৃত্তিক যেমন কুস্তকারের শক্তির বশীভূক্ত হইয়া, ঘটাদিতে পরিণত হয়, কুম্ভকারকেও এই সকল ঘটাদি নিৰ্ম্মাণ করিতে ধাইয়৷ মৃত্তিকার প্রকৃতিগত যে সকল ধৰ্ম্ম আছে, তার বগুতা মানিয়া চলিতে হয়, নতুবা তার পক্ষে এই মাটী দিয়া ঘটাদি নিৰ্ম্মাণ করা সম্ভব হয় না। সুতরাং ব্রহ্মবস্তু যদি আপনিই ব্ৰহ্মাণ্ডের উপাদান কারণ ও নিমিত্ত্ব কারণ इ३३ न इन, डाश इंद्देश ऊंज्ञ श्राङ्ग्रा ७ স্বপ্রতিষ্ঠা আর রক্ষা পাইতে পারে না। জগতের । উপাদান বাই হউক না কেন, জগৎকর্তাকে সে উপাদানের বগুতা মানিয়া তবে এই জগৎ রচনা করিতে হইয়াছে। সে ক্ষেত্রে জগৎকৰ্ত্তার সঙ্গে জগতের উপাদানবস্তুর একটা সম্বন্ধও প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন হইয়া উঠে। কিন্তু দু’ই বস্তুতে কোনও সম্বন্ধের প্রতিষ্ঠা
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।