২য় সংখ্যা ] মধ্যে আমরা , দুইটী ভাবের উৎপত্তি দেখিতে পাই । , অনুসন্ধান প্রকৃতির বাহ মায়িক সৌন্দর্য্যের উপভোগকামনু তাহার প্রথম দৃষ্ঠ, এবং দ্বিতীয় দৃপ্ত তজ্জনিত বিশৃঙ্খলা এবং ব্যভিচারের মধ্যে ধৰ্ম্মের প্রতিদ্বস্থিত। উভয়ের সংঘর্ষণে অলক্ষ্যে ঈশ্বরের ভাব মানব-হৃদয়ে উদিত হয়। মহন্ধদীয় ও খৃষ্টীয়ধৰ্ম্ম তাহার প্রমাণ । উভয় ধৰ্ম্মেই ঈশ্বর এক। কিন্তু মায়া কিংবা প্রকৃতির কথার লেশমাত্র নাই। ব্যবহারিক ভাবে মায়া কিংবা স্ত্রী-প্রকৃতিকে নিকৃষ্ট স্থান নির্দিষ্ট করাই মুসলমানধৰ্ম্মের লক্ষণ। সাংখ্যদর্শনের নৃত্যকীবৎ’। কিন্তু কামনাশূন্ত জান ভাহাতে নাই। সুফি ধর্মের অভু্যখানের পূৰ্ব্বে কেবল সৌন্দর্ঘ্যের উপভোগই মুসলমান কবিগণের বর্ণনার •বিষয় ছিল । খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মে স্ত্রী-প্রকৃতির স্থান সামাজিক ভাবে শ্রেষ্ঠ, কিন্তু সনাতন ধৰ্ম্মের মাতৃভাব তাহাতে নাই। পরাপ্রকৃতির জগদ্ধাত্রীভাব, প্রকৃতি-পুরুষের অনাদি পবিত্র সম্বন্ধ, এবং তাহাতে জীবের অপূৰ্ব্ব রহস্যময় স্থান পরবত্তী যুগের কবিগণের জন্য রহিয়া গিয়াছিল। সনাতন ধৰ্ম্মের অভু্যদয়ই ইহার কারণ। ইহাকে Max Muller aşfă “Fii șa' [Re=again, Ligo-bind or Religion ) of বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন। যে ডোর এই বন্ধনকে দৃঢ় কুরে তাহাই ধৰ্ম্ম ঋষিগণের মতে এই যুক্তাবস্থা কোনকালেই লয় প্রাপ্ত হয় না, কেবল কালে শিথিলতা প্রাপ্ত হয়। যুক্ত শিশু যৌবনকালে সংস্কারবশতঃ সেই রবীন্দ্রনাথের কাব্যপ্রতিভা ꬃዊ বন্ধন লইয়া উন্মাদের স্তায় আত্মহারা হইয়৷ পরিভ্রমণ করে। “The first related the earliest bonds, but poems never expressed them in analytical thought. Poetry begins with the youth of the world's history. It is called the mediaeval move meft and its first aspect is transcendentalism. Nature begins to lay down the relation of God with itself as Bride.” froforo witHål ইহাকে মায়িক স্বষ্টি এবং কল্পনা বলিয়া থাকি, কিন্তু অনুধাবন করিয়া দেখিলে পূৰ্ব্বকল্পের স্মৃতি ভিন্ন আর কিছুই নয়। পুৰ্ব্বস্বপ্নের চিদাভাষ । তাহাই কবির এত ব্যাকুলত এবং অনুসন্ধান প্রেম এবং তীব্র সঙ্গলিপস। ইহার প্রমাণ। ধ্যান এবং অনুসন্ধান ইহার আনুসঙ্গিক লক্ষণ। হুগো, বাইরণ, সেলী, কীটস্, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, এবেঞ্জার ইলিয়ট প্রভৃতি এই পথের পথিক। তবে ইহারা সাধক কবি নহেন। বৈষ্ণব এবং সুফিকবিগণ প্রকৃতি ও পুরুষের প্রেমবন্ধন ভক্তিমাগে স্থাপন করিয়াছিলেন। কিন্তু Transcendental, কবিগণ দৃশুজগতে তাহার অনুসন্ধান-তৎপর হইলেন। সেলীর দীর্ঘনিশ্বাস, ওয়ার্ডসওয়ার্থের গভীর নিদিধ্যাসন, এবেঞ্জার ইলিয়টের করুণা এবং স্নেহ, ও টেনিসনের কৰ্ত্তব্যপরায়ণতা এবং কালাইলের বীর-পূজা, সকলেরই রঙ্গস্থল দৃশ্বজগৎ। অন্তরে যে পুরুষ বর্তমান তাহার সহিত দৃপ্ত জগতের সম্বন্ধ কি ? সুপ্রসিদ্ধ দার্শনিক হেগেল স্মিতমুখে কছিলেন
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৮২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।