পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] প্রকৃতির কোমলতা, বুদ্ধির তীক্ষতা, এবং চিত্তবৃত্তির সজীবতা সম্পূর্ণ নির্ভর করে । র্তাহার মতে, চরণদ্বয়কে উপযুক্তরূপে পরিপুষ্ট করিয়া তুলিতে পারিলেই সঙ্গে সঙ্গে অপেন হইতেই বুদ্ধির তীক্ষুত এবং চরিত্রের কমনীয় তা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। সেই জন্য অধ্যাপক মহাশয়ের মতে যতক্ষণ সস্তব অনাবৃত পদে থাকা কৰ্ত্তব্য, এবং অভাবে ঢ়িলা খড়মের ন্যায় চটজুতা ব্যবহার করা উচিত। ছেলেদের জুতা দিতেই নাই এবং এক জুতা উপযুপিরি দুইদিন পায়ে দিতে নাই । অধ্যপক মহাশয়ের মতে শারীরিক স্বচ্ছন্দ্যের জন্য ও শ্রীচরণের পরিণতি একান্ত প্রয়োজনীয়। সাধারণতঃ চল্লিশ বৎসর বয়সের পরে অধিকাংশ লোকেরই বপুর সহসা কিঞ্চিং ‘প্রকর্ষ ঘটয় থাকে। সুতরাং পূৰ্ব্ব হইতে চরণদ্বরকে পরিপুষ্ট করিয়া না রাখিলে এ বয়সে শরীর বহন কিঞ্চিৎ ক্লেশকর হইয়া উঠে । সুতরাং শ্ৰীচরণ নিতান্ত উপেক্ষার বস্তু নহে। বিলাতে সাৰ্ব্বজনীন সাধারণশিক্ষা NX পণ্ডিত মহাশয়ের মুখে এই অভয়বাণী শুনিয়া তাই আবার আশা হইতেছে যে, এখনো আরও কিছুকাল ধরিয়া"চরণ-যাচক" “হৃদয়পাবক” রূপে প্রেমিকের হৃদয় দগ্ধ করিবে, কবি স্থগিত চরণে স্থলকমলের শোভা দেখিয় বিমুগ্ধ হইবেন, ভক্ত ‘কোমল’ বগিয়া “কমল পায়’ শরণ লইয়া কৃতার্থ হইবে এবং ভগবানের বক্ষস্থল হইতে “ভৃগুপদচিহ্ন” আরও কিছুকাল বিলুপ্ত হইবে না। o অধ্যপক মহাশয়ের অভয়বাণী সার্থক হউক। ভারতের কলকণ্ঠ হইতে “উদার পদ পল্লবের” সঙ্গীত শিক্ষা করিয়া জগতের অন্যান্য জাতি চরণের মৰ্য্যাদা উপলব্ধি করুক, চীনের পীতচরণ হইতে কাষ্ঠপাদুকার কঠোর নিগড় খসিয়া যাক, এবং ইউরোপের সংকীর্ণ পাদুকা আপনার ক্ষুদ্র বক্ষ হইতে শ্বেত শতদল বিমুক্ত করিয়া দিক, আমরা চরণভক্ত হিন্দুজাতি শ্বেত, পীত নানা বর্ণের শ্ৰীচরণে অলক্তের অরুণরাগ দেখিয়া কৃতার্থ হই । ঐশ্রীচরণ দাসগুপ্ত । ammsso বিলাতে সাৰ্বজনীন সাধারণশিক্ষ আমাদের দেশে যার জোর করিয়৷ সকুল লোককে স্কুলে পাঠাইয়। বর্ণজ্ঞ করিয়৷ তুলিবার জন্য ব্যস্ত হইয়াছেন, তারা যদি বিলাতে কি কারণে ও কিরূপ অবস্থাধীনে এই সাৰ্ব্বজনীন শিক্ষার বিধান প্রবর্তিত হইয়াছে, এটা একবার তলাইয়া দেখেন, বড়ই ভাল হয়। কারণ বিলাতে যেরূপ বিধান প্রতিষ্টিত হইয়াছে তার অনুরূপ বিধান এ দেশে প্রবর্তিত করা যে এখন অসঙ্গত ও অসম্ভব, উভয় দেশের সমাজপ্রকৃতির ও রাষ্ট্রীয় অবস্থার তুলনা করিয়া দেধিলে, ইহা অতি সহজেই বোঝা যাইবে বলিয়া মনে হয়। প্রথমতঃ আমাদের সমাজে এরূপ জবরদস্তির বর্ণজ্ঞান-শিক্ষার ব্যবস্থা করিবার কোনো অপরিহার্য্য প্রয়োজন এখনো উপস্থিত হয় নাই। আর যে সামান্ত