>>8 रुङ्गलब्यँन । , [ ২য় বর্ষ, আষাঢ় । এই একটি কৌতুক ! আমি বুড়াকে কখনো এইরূপ goldenএর মত বিশেষ্যহীন বিশে: ষণগুলিকে পূর্ণ করিতে শুনি নাই। বিশেষণ বিশেষ্যের অপেক্ষ না করিয়াই হাটু ভাঙিয়া পড়িয়া যাহত । যাকৃ সে কথা । এইদিন রবার্ট অীর একবার শীকার সাঙ্গ করিয়া ফিরিয়াছে। সারাদিন মৈত্রীর উৎসবে, নানা আলাপে কাটিয়া গেল। আজি যেন রবার্ট মাঝে মাঝে একটু উতলার ভাব ধারণ করিতেছিল—তাহার দৃষ্টি ক্ষণে ক্ষণে অনির্দিষ্ট হইয়া উঠিতেছিল । এ কথা আমার কাছে বরং শেষে, স্মৃতিতে উপস্থিত হইয়াছিল এবং এখন মনে পড়িতেছে ; তখন তত লক্ষ্য করিয়াছি বলিয়া মনে পড়ে না। রাত্রে রবার্ট আমাকে ডাকিয়া লইয়া চেীতল কক্ষে বসিল । ডিনারের পর তখন আটট রাত্রি হইবে। কাপেটের ম্যাটিংএ আলো পড়িয়াছে। কেদারাগুলি যেন বুড়ামামুষের মত বসিয়া-বসিয়াই ঘুম দিতেছে। রবার্টের মায়ের একটি বৃহৎ ছবি ঠিক আমাদের মাথার উপর ঝুকিয়া পড়িয়া যেন আমাদের মৈত্রীসুন্দর আলাপ শুনিতেছে এবং প্রাতিয় হাস্ত হাল্লিতেছে। ঐ সুন্দর স্নেহময় মুখখানি মনে মনে কত পুজা করিয়াছি। রবার্টের দুটি বেহালা বক্ষের বক্রখাতে অন্ধকার জমাইয়া যেন এক এক জোড়া বিকটমদিত গুম্ফ প্রদর্শন করিয়া, আমাদের নিকটেই দেয়ালে দুলিতেছে। সেই নীলাভামিশ্র আলোকে সকল নির্জীব বস্তুকেই সজীবের মত বোধ হইতেছিল । আমরা দেয়ালের কাছে আসিয়া বসিয়াছি। এই রবার্টের শয়নগৃহ। ঘরটি বেশ বড় আস্ৰাব, স্বল্প । রবার্ট ফেদারার এক ডানার উপর শরীরাদ্ধ হেলাইয়া, পিঠ ঠেকাইয়া বসিল এবং দুটি হাতে আমার গলদেশ আকর্ষণ করিয়া আমার মুখের দিকে.চাহিয়া বলিতে আরম্ভ করিল, “তুমি কি বোধ কর আমাকে সম্পূর্ণরূপ জানিতে পারিয়াছ ? আমার হৃদয়ের সব কথা জানিয়াছ ?” আমি। সব কথা কে জানে ? তবে বহুদূর জানিয়াছি।
- soft Fool :
এই বলিয়া একটু মৃদু হাসিল, আবার গম্ভীর হইয়া বলিতে আরম্ভ করিল—
- আচ্ছা মনে কর মিনার্ভার একটি শ্বেতপ্রস্তরমূত্তি আছে।”
রবাট আজ থামিয়া থামিয়া কথা বলিতেছিল, অন্তান্ত দিনের দ্যার গলগল বেগে নহে। আমি বলিলাম, “বেশ, তার পর ?” রবার্ট । মনে কর পরম সুন্দরী । আমি । বেশ । রবার্ট। তুমি তাহাকে ভাল বাসিয়া জীবন কাটাইতে পার না ? এই বলিয়া রবাট ঘুরিয়া-ৰসিয়া আমার বাহু ভাহীর বাহুতে জড়াইয়া লইল এবং অঙ্গুলিগুলি আমার অঙ্গুলিগুলিতে বদ্ধ করিয়া করতল একটু জোরে পিষ্ট করিল—মাবার বলিল, “একটি পরমসুন্দরী মুক্তিকে হৃদয় দিয়া জীবন কাটাইতে পার না ?” - একি অদ্ভুত প্রশ্ন ? আমি বিস্থিতস্বরে