পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88● बङ्गालभनि । [ ২য় বর্ষ, অগ্রহায়ণ । যদি কেহ আমাকে বঞ্চক বা অসত্যপরায়ণ বলে, “আমি মৰ্ম্মাহণ্ড হই ; কিন্তু যদি কেহ আমাকে অ-স্বদেশভক্ত বলে, তাহাতে আমি বিচলিত হই না। “তবে কি তোমার স্বদেশভক্তি কিছুমাত্র নাই ?”—এ প্রশ্নের উত্তর এক-নিশ্বাসে দেওয়া যায় না। - সৰ্ব্বাগ্রে ইংলণ্ডেই কৃষকের দাসত্ব রহিত হয় ; সৰ্ব্বাগ্রে ইংলণ্ডেই অপেক্ষাকৃত-স্বাধীন ব্যবস্থাপদ্ধতি পরিপুষ্ট ও পরিবর্দ্ধিত হয় ; এবং সামস্ত-তন্ত্রের প্রভাব হ্রাস হইবার পর, জনসাধারণ যখন কৃষিভূমির বন্ধন হইতে বিচ্ছিন্ন হইল, তখন সৰ্ব্বাগ্রে ইংলণ্ডেই প্রজাবর্গের নিজস্ব অধিকার অধিকতররূপে স্বীকৃত হয় । ইংলণ্ডের জাতীয় জীবনে, জাতীয় চরিত্রের এই সব বিশেষ-লক্ষণগুলি স্মরণ করিলে অন্তঃকরণে স্বভাবতই গৰ্ব্ব উপস্থিত হয়। যে সময়ে এইরূপ নিৰ্দ্ধারিত হয়, যেকোন ক্রীতদাস ইংলণ্ডের ভূমিতে পদার্পণ করিবে, সেই স্বাধীনতা লাভ করিযে ; বথন, মার্কিনদেশের ক্রীতদাসদিগের দাসত্বমোচনের জন্ত দুইকোটি মুদ্র প্রদত্ত হয়, এবং বখন, ( স্থপরামর্শ ন হইলেও ) ক্রীতদাসদিগের ব্যবসায় রহিত করিবার জন্ত, কতকগুলি যুদ্ধ-জাহাজ রক্ষিত হয় ;–তখন, আমাদের দেশের লোকেরা এই-যে-সব কার্য করিয়াছিল, তাহা প্রশংসনীয়। আবার যখন ইংলও, পররাষ্ট্রের পলাতক শরণাগত ব্যক্তিগণকে আশ্রয় দিয়াছিলেন ; এবং যে সকল ক্ষুদ্রয়াজ্য স্বাধীনতা-লাভের জন্ত যুঝাযুঝি করিতেছিল, তাহাদিগের পক্ষ অবলম্বন করিয়াছিলেন ; তখনও জাতীয় চরিত্রের যেসব মহত্ত্বের লক্ষণ প্রকাশ পাইয়াছিল, তাহাতে স্বভাবতই অনুরাগ আকৃষ্ট হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের জাতীয় চরিত্রের এমনও কতকগুলি লক্ষণ বিদ্যমান (সম্প্রতি পুনঃপুন দেখা দিয়াছে ), যাহাতে শ্রদ্ধাভক্তির বিপরীত ভাব উদ্রেক করে। যেরূপ-করিয়া ইংলও ৮০টিরও অধিক রাজ্য অধিকার করিয়াছেন ( তাহার মধ্যে কত্তকগুলি বসতি-পত্তন, উপনিবেশ ও আশ্রিত রাজ্য), তাহ চিন্তা করিলে সন্তোষের উদয় হয় না। স্থচ হইয়া ধৰ্ম্মপ্রচারকদিগের প্রথম প্রবেশ, তাহার পর স্থায়ী প্রতিনিধি স্থাপন, তাহার পর শস্ত্রসজ্জিতসৈন্তসহায়সম্পন্ন কৰ্ম্মচারী নিয়োগ, তাহার পর—যাহাকে “শান্তি স্থাপন করা” বলা হয় —সেই শাস্তিস্থাপনকার্য্যে সমস্ত ব্যাপায়ের পৰ্য্যবসান ;– এই যে সন্ধিকালগুলি,—এই ষে পররাজ্যগ্রাসের পদ্ধতিগুলি ( কখন ক্রমশ-সাধিত, কখন আকস্মিক ), এই সমস্ত দেখিলে সেই অদ্যায়কারীদিগের প্রতি কখনই মমতা জন্মিতে পারে না। তাহার দৃষ্টান্ত, যখন ভারতের একটি নুতন প্রদেশ ব্রিটিশরাজ্যে সংযোজিত হইল, যখন “বারটজিলণ্ডে”র একটি প্রদেশ ব্রিটিশ-উপনিবেশ বলিয়া পরিঘোষিত হইল, তখন তৎপ্রদেশবাসী পশুদিগেরই দ্যায়—অধিবাসী প্রজাপুঞ্জের ইচ্ছার প্রতি কিছুমাত্র দৃকপাত করা হইল না। আমাদের প্রধান-অমাত্য প্রথমে ঘোবণ করেন, খেদিভের হইয়া সৌদানের পুনর্জয় সাধন করিতে আমরা তাহার নিকট ধৰ্ম্মত বাধ্য ; তাহার পর, যখন পুনজর সাধিত হইল, অমনি আমরা আমাদের রাণী ও খেদিভের নামে ঐ রাজ্যের শাসনভার