পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& Ψθ • यछल्लष्ठति । [ २: বর্ষ, किङ्चि -A জলবায়ুর গুণে কিছু পরিবর্তিত হইয়াছেন কি না, কে বলিতে পারে! . দেবীর সমক্ষে (সম্ভবত ) মেষচৰ্ম্মাসনে সমাসীন এক তাম্রবর্ণবেণী ও বিলম্বিত-গুম্ফশ্মশ্র-পরিশোভিত মহাপুরুষকে দর্শন করিলাম। গুনিলাম, ইনিই দেবীর পুরোহিত। ক্রমশ দিবালোক মান হইয়া সন্ধ্যাসমাগম সুচিত করিল। দেবীর আরতির সময় আসিল। জনকোলাহল এখন প্রায় স্তন্ধীভূত—দেবালয় নিঃশব্দ, নির্জন । পুরোহিত একটি বাতি লইয়া মন্দিরে প্রবেশ করিলেন এবং বাতিটি দেবীর বামদিকে একটি কাষ্ঠাসনে স্থাপিত করিয়া তিনচারিবার সুগভীর শঙ্খধ্বনি করিলেন, তাহার পর একতাড়া পুথি বাহির করিয়া বিচিত্রমুরে দেবীর নিকট পাঠ করিতে লাগিলেন। বলা বাহুল্য, ইহার এক বর্ণও আমার বোধগম্য হইল না। আমার সঙ্গীকে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলাম, তাহার অবস্থাও এ বিষয়ে আমার অপেক্ষা বিশেষ উন্নত নহে। এই সকল মন্ত্ৰ মঙ্গোলীয় ভাষায় রচিত— কেবল যৎসামান্ত চীনভাষা মিশ্রিত। ইতিমধ্যে আরতি সমাপ্ত হইয়া ভোগের সময় আসিল । পুরোহিত-মহাশয় পাশ্ববর্তী গৃহ হইতে ভোগসামগ্ৰী আনিয়া ভক্তিভরে দেবীর সম্মুখে স্থাপন করিলেন এবং মন্ত্রপাঠ করিয়ানিবেদন করিয়া দিতে প্রবৃত্ত হইলেন। আমি কিন্তু ভোগসামগ্রী দেখিয়া অবাক হইয় গেলাম-প্রসাদ পাইবার বাসন স্বরে প্রস্থান করিল। , দেবীর ভোগ্যসামগ্ৰী—গোধুমচূর্ণের পিটক, কিঞ্চিৎ ফলমূল, ভাজা আরগুলা, ড়েরু এবং শূকরের তরকারি ! "জামায়ু সঙ্গী চীনেম্যান আমায় প্ররোধ-দিবার জন্ত বলিলেন, দেবীর পক্ষে সরই সমান–র্তা ছার খাদ্যাখাদ্য কিছুই নাই, সুতরাং তাছাকে সবই দিতে পারা যায়। কিন্তু এই তত্ত্বকথায় আমার চিত্ত প্রসন্নতা লাভ করিল না । অৰ্দ্ধঘণ্টার মধ্যে ভোগদান সমাপ্ত হইয়া গেলু। আমরা অতিথি, সুতরাং প্রসাদলাভে অধিকারী; পুরোহিত-মহাশয় আমাদের বঞ্চিত করিলেন না। যথেষ্ট্রপরিমাণ ভোগসামগ্ৰী লইয়া আমাদের উপহার দিতে আসিলেন। আমার সঙ্গী প্রসাদ লাভ করিয়া কৃতার্থ হইলেন, আমি কিন্তু কিছুতেই আমার প্রসাদবিমুখ চিত্তকে ফিরাইয়া আনিতে পারিলাম না। ফলে পুরোহিত-মহাশয় এই ভক্তিহীনের প্রতি অত্যন্ত বিরক্ত হইলেন এবং আমার জন্ত আমার নিরপরাধ সঙ্গী বেচারাও যথেষ্ট তিরস্কৃত হইল । অতঃপর আহারার্থে পুরোহিত-মহাশয় বাহির হইয়া গেলে আমি আমার সঙ্গীর সহিত দেবসেবার ব্যয়াদিসম্বন্ধে আলোচনা আরম্ভ করিয়া দিলাম। সঙ্গী বলিলেন, দেবসেবার জন্য পুরোহিত প্রত্যহ দেড় ডলার বা ২।• হিসাবে, যাহাঁদের ঠাকুর, তাহাদের নিকট হইতে পাইয়৷ থাকেন । এতদ্ভিন্ন কেহ কেছ অবস্থাবিশেষে কিছু কিছু বেতনও পান। ঠাকুরের জন্থ বাজার হইতে নিত্য “তোলা” তোলা পুরোহিত মহাশয়দের একচেটিয়া। দেবতার সম্মুখে পূজার জন্ত যে সকল ব্যাদি পড়ে, তাছাতেও পুরোহিতের অধিকার-পয়সী। কড়ি অধিকারীরা প্রাপ্ত হন । ঠাকুরের