পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&’s e উপরের ভূমিতে উত্থান করিতে হইবে— এটা সাধারণ ব্যবস্থা ; তা ছাড়া, বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির জন্ত বিশেষ বিশেষ ব্যবস্থা নির্দেশ করিয়৷ দেওয়া আবগুক । “কোনো ব্যক্তির পাঠ আরম্ভ করা আবশুক ক-খ হইতে ; কাহারে বা-ব্যাকরণ হইতে ; কাহারে বা—সাহিত্য হইতে । ষাঙ্গর যোগ্যতার যতটা দৌড়, সেই অনুসারে তাঙ্গার সাধনের গোড়া’র পইটা নির্দেশ করিয়া দেওয়া আবশ্যক । কিন্তু কে তাছা নির্দেশ কল্লির দিবে ? ধে ব্যক্তি ধাহ। মনে করিয়া সাধনে প্রবৃত্ত হয়, তাঁহাতেই তাহার যোগ্যতার দৌড় প্রকাশ পায় ; এবং তদনুসারে সাধক আপনিই আপনার সাধনের প্রথম পইন্ট নিৰ্দ্ধারণ করিতে পারেন ; তাহাই তিনি করুন; তাহ হইলেই তিনি আন্তরিক ইচ্ছার সহিত সাধনে প্রবৃত্ত হইতে পারিবেন ; অtয়, তাহা হইলেই সাধন আগু-ফলপ্রদ হইবে। ফলেও এইরূপ দেখা যায় যে, সঙ্গীতের দিকে যাহার স্বভাবতই মনের দৌড়, সে সঙ্গীতের চর্চায় নিযুক্ত হইলে তাহার যেরূপ সহজে সিদ্ধিলাভ হইতে পারে, অপরের পক্ষে তাহ সম্ভাবনীয় নহে। এইজন্ত যোগশাস্ত্রের প্রধান একটি মন্তব্য "কুখ এই ষে, ষেরূপ লক্ষ্যবস্তু তোমার মনের ইচ্ছার অনুযায়ী, তাহাতেই প্রথমে তুমি আত্মশক্তি বা সংষম প্রয়োগ কর—প্রয়োগ করিয়া সেই অভীষ্ট বিষয়টি আপনার সম্যকৃ বশে আনয়ন কর । তাহার পরে ক্রমশ মীচের নীচের বিষয় বশীভূত করিয়া উচ্চ উচ্চ বিষয়ের সাধনে প্রবৃত্ত হও । এইরূপ দেখ ৰাইতেছে যে, সাধনের লক্ষ্যবস্তু তত • বঙ্গদর্শন । [২য় বর্ষ, ফাঙ্কন নয়-সাধনের পদ্ধতিই যত যোগশাস্ত্রর উপদেষ্টব্য বিষয়। যোগশাস্ত্রের একটি স্থানে কেবল সাধনের লক্ষ্যবস্তু স্বনির্দিষ্ট । কোন স্থানে ? না, যেখানে বলিতেছেন—“ঈশ্বর প্রণিধানাম্বা।” এই স্থানটিতেই আত্মশক্তির পরিবর্তে ঐশী শক্তির পরাকাষ্ঠী বলবত্ত৷ এবং ভক্তিপূৰ্ব্বক ঈশ্বরে কৰ্ম্ম-সমর্পণের বিধুেয়ত প্রতিপাদন করা হইয়াছে। , এই স্থানটির কথা ভাল করিয়া বুঝিয়া দেখা আবগুক ; এবং তাহ বুঝিয়া দেখিতে হইলে আমাদের জ্ঞানরাজ্যে আত্মকর্তৃত্বেরই বা কার্য্যকারিত কিরূপ, ঐশী শক্তিরই বা কাৰ্য্যকারিত কিরূপ, তাহার প্রতি রীতিমত অনুসন্ধান প্রয়োগ করা কর্তব্য । তাহারই এক্ষণে চেষ্টা দেখা যাইতেছে । আত্মকর্তৃত্বের মূলে ঐশী শক্তির কার্যকারিতা কিরূপ, তাহার সন্ধান প্রাপ্ত হইতে হইলে সাধনের কথা ছাড়িয়া দিয়া সহজে আমরা আত্মাকে কিরূপে উপলব্ধি করি, তাহারই প্রতি সৰ্ব্বপ্রথমে প্রণিধান কর। কর্তব্য । আপামর-সাধারণ সকল ব্যক্তিই “আমি আছি” এই কথাটি খুবই স্পষ্ট হৃদয়ঙ্গম করে ; হৃদয়ঙ্গম করিয়াও শুদ্ধকেবল সেই কথাটির বলে আপনার ধ্রুব অস্তিত্ব-বিষয়ে নিঃসংশয় হইতে পারে না । অতএব, সহজ জ্ঞানের এই যে একটি কথা—“আমি আছি”—এ কথাটির বলবত্তার দৌড় কতদূর পর্য্যন্ত, তাহ একবার তোলাপাড়া করিয়া দেখা নিতান্তই यशोदश्चद । . . . "মাছি" এবং “আছে” এ হয়ের মধ্যে প্রভেদ কি ? “আছি” এবং*আছে*র মধ্যে