পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و ه به ততদিনে হয় তো আমাদের মুখের যৌবন চলে যাবে।” e —“কি পাগলের মত কথা বলচ! জীবন চিরস্থায়ী হ’লে, যৌবনও চিরস্থায়ী इहरु ।” * —“আচ্ছা যাও তবে । আমি তোমার ও সব জ্ঞানের কথা বুঝি নে। আমি শুধু এই বুঝেচি, আমার কপাল পুড়েচে । যাই হোকৃ, তুমি শীঘ্র শীঘ্র ফিরে এসো। আর, শীঘ্রই হোক, বিলম্বই হোকৃ, এ তুমি বেশ জেনে, আমি তোমারই—চিরকাল আমি তোমারই থাকৃব ।”

  • & সেই অবধি উভয়ের, মধ্যে ছাড়াছাড়ি হইল-আর দেখাসাক্ষাৎ হইল না.অন্তত অনেকদিন পর্য্যন্ত । সম্পূর্ণরূপে বিজ্ঞান অনুশীলন করিবার নিমিত্ত এবং পরীক্ষার প্রয়োজনীয় বিৰিধ উপকরণ সংগ্ৰহ করিবার নিমিত্ত রেমে কিছুকাল পৃথিবীর দিগদিগন্তে ঘুরিয়া বেড়াইলেন। তাহার পর পারিতে ফিরিয়া-আসিয়া কোন জনশূন্ত গলি-যুঁজির মধ্যে একটি পরিত্যক্ত গৃহে বাস করিতে লাগিলেন ; এবং তাহার একটি কক্ষে পরীক্ষাগার প্রস্তুত করিয়া, রাশিরাশি পুরাতন গ্রন্থে—‘পার্চমেণ্ট’-কাগজে-চোয়াইবার পাত্রাদিতে দিৰারাত্রি পরিবেষ্টিত থাকিয়া, অবিশ্ৰান্তভূবে নানাবিধ পরীক্ষায় প্রবৃত্ত হইলেন। তাহার একজন ঝি ছিল, সে আপন-ইচ্ছামত র্তাহার ক্ষুৎপিপাস-নিবৃত্তির কথঞ্চিৎ ব্যবস্থা করিত। সে শুধু দ্বারে আঘাত করিত—ঘরে প্রবেশ করিতে পারিত না । এইরূপে তিনি অনেক-অনেক বৎসর

বঙ্গদর্শন ) - “ [ ২য় বর্ষ, ফাঙ্কণ । ধরিয়া তাহার বিজন আবাসে কালাতিপতি করিলেন ; কত কাল অতিবাহিত হইল, সে বিষয়ে তাহার কোন হুস ছিল না—ৰ্তাহার বয়সেরও তিনি কোন খবর রাখিতেন না। এই অদ্ভুত জীবনে, কত যুঝাবুঝি, কত বিভ্রম, কত বিড়ম্বন, কত আশাভঙ্গ ঘটিল্পীছিল, তাছা কে বলিতে পারে। কিন্তু একদিন তাহার মনস্কামনা পূর্ণ হুইল—পরিশ্রম সার্থক হইল ;–অমরজীবনের অমৃতরস আবিষ্কার করিলেন। এবার তিনি এতটা নিঃসন্দিগ্ধ হইয়ছিলেন যে, নিজ-শরীরের উপর পরীক্ষা করিতে সঙ্কুচিত হইলেন না। ইতিপূৰ্ব্বে তিনি কেবল জীবজন্তুর উপরেই পরীক্ষা করিতেছিলেন, কিন্তু কোনপ্রকার সফলতা লাভ করিতে পারেন নাই। যখনই জীবনকে আহবান করিতেন, তখনই মৃত্যু আসিয়া উপস্থিত হইত। কিন্তু এবার আর কোন সন্দেহ রহিল না। জীবনের কোথায় উৎপত্তি, কোথায় নিবৃত্তি-তাহার রহস্ত এবার তিনি উদ্ভেদ করিলেন। এবার মৃত্যুকে জয় করিয়া তিনি মৃত্যুঞ্জয় হইলেন। - cनई श्रांबिकूङ अभूउब्रन cयमन ऊिनि পান করিলেন, আমনি দেহে নৰ বল, নব স্ফৰ্ত্তি, নব উদ্যম সুস্পষ্টরূপে অনুভব করিতে লাগিলেন । কেন না, অনেকদিন হইতে র্তাহার শরীর শ্রান্ত-ক্লাস্ত হইয়া পড়িয়াছিল; এতটা দুৰ্ব্বল হইয়াছিলেন যে, খাকিয়া-খান্ধিয় র্তাহার মস্তক স্কন্ধের উপর ঢলিয়া পড়িত। কিন্তু এক্ষণে, অভিনব উষ্ণ শোণিত তাহার ধমনীতে মহাবেগে প্রবাহিত হইতে লাগিল । তিনি বলিয়া উঠিলেন —“বিজ্ঞানের জয় ।”