পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

په لاپه তাহার মধ্যে কোনটা বা বিলম্বে ফলদায়ী, কোনটা বা বিদ্যুৎবৎ আগুকার্য্যকারী। সেই সকল বিষ আততায়ী ও চিকিৎসকদের বেশ কাজে লাগিল, কিন্তু তাহার নিজের উপর কোন ফল ফলিল না। তিনি মনে মনে ভাবিলেন —“আমি এখন দেখচি, সে বিষ তেমন মারাত্মক নয়, যাতে মানুষ মরে ; সেই বিষই মারাত্মক, যাতে মানুষ বাচে।” । তিনি নিজের উপর ঐ সকল বিষের পরীক্ষা করিতে গিয়া ভীষণ মৰ্ম্মচ্ছেদী যাতন ভোগ করিতে লাগিলেন। কেন না, যদিও তাহার শরীর মৃত্যুর হাত হইতে অব্যাহতি পাইয়াছিল, কিন্তু তাই বলিয়া কষ্টযন্ত্রণ। হইতে অব্যাহতি পায় নাই। যন্ত্রণায় তাহার শরীর একএকবার বাকিয়া-চুরিয়া যাইত ; তাহার আর্তনাদ দূর হইতেও লোকে শুনিতে পাইত। কিন্তু প্রতিবারই, সঙ্কট-মুহূৰ্ত্ত কোনরূপে উত্তীর্ণ হইয়া তাহার প্রাণঘন্ত্র আবার যেন সবেগে চলিতে আরম্ভ করিত। অবশেষে তিনি হতাশ হইয়া পড়িলেন। একজন বিজ্ঞানাচার্য্যের কথা তিনি ইতিপূৰ্ব্বে শুনিয়াছিলেন ; এক্ষণে নিজে কোন উপায় করিতে না পারিয়া, তাহারই নিকটে যাইবেন বলিয়া সঙ্কল্প করিলেন । সেই বিজ্ঞানাচাৰ্য্য তখন জরাগ্রভাবে মুম্মুcब्राँ*ां-**शTांग्न श्रृंग्नांन ॥ রেমে নিজ নাম জানাইয়া তাহার গৃহে প্রবেশ করিলেন। আগন্তুকের মুখশ্ৰীতে মঙ্গুষ্যের স্বাভাবিক লক্ষণ দেখিতে না পাইয়া গৃহের রমণী ও শিশুগণের আতঙ্ক উপস্থিত হইল । বিজ্ঞানাচাৰ্য্যকে রেমে বলিলেন ঃ“আমাকে উদ্ধার করুন " বঙ্গদর্শন । [২য় বর্ষ, কাঙ্কম:। —“তুমি কি চাও?” * , , —“মন্ত্ৰতে চাই ।” . * .. বিজ্ঞানাচার্য্য উত্তর করিলেম –“কাল এসো, প্রত্যুষেই এসে ; কেন না, তোমাঅপেক্ষ আমি ভাগ্যবান ; আমার জীবন শেষ হয়ে এসেছে—আমার মৃত্যু আসন্ন।” . ——“তার জন্য আপনি কি দুঃখিত নন?” -—“আমার কার্য্য শেষ হয়েচে ।” তাহার পরদিন রেমে গিয়া দেখেন, বৃদ্ধ বিজ্ঞানাচার্য্যের মৃত্যু আসন্ন—তিনি যন্ত্রণায় কাতর ; তথাপি শয্যায় উঠিয়া-রসিয়৷ তাহাকে বলিলেন —“রেমো, কাল থেকে আমি অনেক চিন্তা করেছি, অনেক আলোচনা করেছি, কিন্তু তোমার কাছে এই কথা স্বীকার করতে বাধ্য হচ্চি, আমি কিছুই সন্ধান পাই নি। বিধাতার নিৰ্ব্বন্ধ, তোমাকে অনন্ত জীবন ভোগ করতে হবে. কিন্তু একেবারে হতাশ হস্থো না। আমার কথাগুলি শেষ পৰ্য্যন্ত শোনে । “যে কাজ একজনের দ্বারা না হয়, কতকগুলি লোকের দ্বারা তা সম্পন্ন হ’তে পারে। যে কাজ একপুরুষে অসাধ্য, ২•গুরুষে তা সিদ্ধ হ’তে পারে। বিজ্ঞান একজনেরও নয়, একপুরুষেরও নয়, একযুগেরও নয় ; বিজ্ঞান সমস্ত মানবমণ্ডলীর সাধারণ সম্পত্তি। আমার সমস্ত গ্ৰন্থ পাঠ করলে সত্যের একটি খণ্ডাংশমাত্র লাভ করতে পারবে। আমি সাধারণের মঙ্গলের জন্ত চেষ্টা করেছিলেম বলে’ কিয়ৎপরিমাণে সফল হয়েছি। তুমি আমার সময়ের পুৰ্ব্বৱৰ্ত্তী গ্রন্থসকল পাঠ কর,—আমার মৃত্যুর পর যে-সকল লেখক গ্রন্থ লিখবেন, তাহদেরও গ্রন্থ পাঠ