.. * یمه . .* ؟ چ. ۰ . پي ٠په ”
- - . . ." - . . .২৫ "" : . براء ، "" - ۰ - ۲۰ . . . . هر * ७१३ . - ' लक्ाभ्(म' .• ? * * f২য় বর্ষ, চৈত্র । ক্ষনের রৌদ্রচিঙ্কণ সুপারীগাছের, পল্লব- আসিয়াছে। পুলিস তাহাৰুে পথ, -জ্বইতে শ্রেণীর দিকে চাহিয়া পটলের দুই চকু কুড়াইয়া আনিয়াছে। , ,
e দিয়৷ জল পড়িতে লাগিল । o পরদিন কুড়ানির আর দেখা পাওয়া গেল না। পটল তাহাকে আদর করিয়া ভাল ভাল গহন এবং কাপড় দিয়া সাজাইত। নিজে সে এলোমেলো ছিল—নিজের সাজসম্বন্ধে তাহার কোন যত্ন ছিল না, কিন্তু সাজগোজের সমস্ত সখ কুড়ানির উপর দিয়াই সেমিটাইয়া লইত । বহুকালপঞ্চিত সেই সমস্ত বসনভূষণ কুড়ানির ঘরের মেজের উপর পড়িয়া আছে। তাহার হাতের বালাচুড়ি, নাসাগ্রের লঙ্গফুলটি পর্যন্ত সে খুলিয়া ফেলিয়া গেছে। তাহার পটলদিদির এতদিনের সমস্ত আদর সে যেন গা হইতে মুছিয়া ফেলিবার চেষ্ট করিয়াছে ! g হরকুমারবাবু কুড়ানির সন্ধানে পুলিসে খবর দিলেন। সেবারে প্লেগদমনের বিভীষিকায় এত লোক এতদিকে পলায়ন করিতেছিল যে, সেই সকল পলাতক দলের মধ্য হইতে একটি বিশেষ লোককে বাছিয়া লওয়া পুলিসের পক্ষে শক্ত হইল। হরকুমারবাবু দুইচারিবার ভুল লোকের সন্ধানে অনেক দুঃখ এবং লজ্জা পাইয়া কুড়ানির আশা পরিত্যাগ করিলেন। অজ্ঞাতের কোল হইতে তাহারা যাহাকে পাইয়াছিলেন, অজ্ঞাতের কোলের মধ্যেই সে আবার লুকাইয়া পড়িল । যতীন বিশেষ চেষ্টা করিয়া সেবার প্লেগ ইস্পাতালে ডাক্তারিপদ গ্রহণ করিয়াছিল। একদিন দুপুরবেলায় বাসায় জাহার সারিয়া হাসপাতালে আসিয়া সে শুনিল—হাস্পাতালের স্ত্রী-বিভাগে একটি নুতন রোগিণী যতীন তাহাকে দেখিতে গেল । মেয়েটির মুখের অধিকাংশ চাদরে ঢাকা ছিল। যতীন প্রথমেই তাহার হাত তুলিয়া লইয়া নাড়ি দেখিল। নাড়িতে জর অধিক নাই, কিন্তু দুৰ্ব্বলতা অত্যন্ত। তখন পরীক্ষার জন্ত মুখের চাদর সরাইয়া দেখিল, সেই কুড়ানি।। a ইতিমধ্যে পটলের কাছ হইতে যতীন কুড়ানির সমস্ত বিবরণ জানিয়াছিল। অব্যক্ত হৃদয়ভাবের দ্বারা ছায়াচ্ছন্ন তাহার সেই হরিণচক্ষু দুটি কাজের অবকাশে যতীনের ধ্যানদৃষ্টির উপরে কেবলি অশ্রহীন কাতরতা বিকীর্ণ করিয়াছে। আজ সেই রোগনিমীলিত চক্ষুর সুদীর্ঘ পল্পৰ কুড়ানির শীর্ণ কপোলের উপরে কালিমার রেখা টানিয়াছে—দেখিবামাত্র যতীনের বুকের ভিতরটা হঠাৎ কে যেন চাপিয়া ধরিল। এই একটি মেয়েকে বিধাতা এত যত্বে ফুলের মত সুকুমার করিয়াগড়িয়া ফুর্ভিক্ষ হইতে মারীর মধ্যে ভাসাইয়া দিলেন কেন ? আজ এই যে পেলব প্রাণটি ক্লিষ্ট হইয়া বিছানার উপরে পড়িয়া আছে, ইহার এই অল্প কয়দিনের আয়ুর মধ্যে এত বিপদের আঘাত— এত বেদনার ভার সহিল কি করিয়া, ধরিল কোথায় । যতীনই বা ইহার জীবনের মাঝx খানে তৃতীয় আর একটি সঙ্কটের মত কোঞ্চ, হইতে আসিয়া জড়াইয়া পড়িল ? রুদ্ধ দীর্ঘনিশ্বাস যতীনের বক্ষম্বারে আঘাত করিতে লাগিল-কিন্তু সেই আঘাতের তাড়নায় তাহার হৃদয়ের তারে একটা সুখের মীড়ও বাজিয়া উঠিল। ষে ভালবাসা জগতে ছুৰ্লভ, যতীন তাহ না চাহিতেই কাণ্ডনের একটি