পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় পঞ্চম খণ্ড.djvu/৫৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাদশ সংখ্যা । ] ৰেনিয়া, জহুরী, শেঠ প্রভৃতির বিপণিতে প্রবেশ করিয়া সেই সেই স্থানে তিনি স্বেচ্ছাছুরূপ তথ্যসংগ্ৰহ করিতেন ৷ জুয়াথেলার ঘরে, মদের দোকানে ও অৰ্দ্ধতন্ত্রীগত মুদ্রিতনয়ন চঞ্চুপারিগণের আড়াতেও ঢুকিয়া পড়িতেন । ধৰ্ম্মাধিকরণে উপস্থিত থাকিয়! মাজিষ্ট্রেটের স্থায়বিচার জজের বিশাল বুদ্ধি ও স্বল্পমীমাংস এবং উকিলগণের ধারায়ক্রমিক যুক্তিযুক্ত বাদ মুবাদের বিচিত্র ছটা দেখিয়া শুনিয়া বেড়াইতেন । এষ্টরূপে প্রত্যেক গ্রাম ও নগরের প্রসিদ্ধ স্থানসমূহ নিরীক্ষণ করিতে করিতে সাপ্লাদিন ঘুরিয়াকিরির শেষে বাসায় পৌঁছিয়া মহারাদি করিতেন । মহারাজ ও ঠfহার দেওয়ানগণের মধ্যে কেবল এইমাত্র পার্থক্য পরিলক্ষিত *হইণ্ড° যে, রান্ত্রির চারিগ্রহরে চারিজন নিদ্রি স্ত-মহারাজের প্রহfর স্বরূপে জাগ্রত থাকিতেন। নস্থিলে অবশিষ্ট সময়ে না কেহু রাজা, নী কেহ দেওয়ান,—সকলেরই কার্য্যকলাপ সামান্তু পথিকে স্নই মত । এইরূপে প্রত্যেক প্রসিদ্ধ নগরে চারিপাচদিন বাস করিয়া, বিবিধ চরিত্র-পরিদর্শনে নিজের অভিজ্ঞতাবদ্ধন ও নানjবিষয়ে জ্ঞানলাভ করিয়া, রাজ্যের অনিষ্টাচারী দুরত্তগণের চরিত্র যথাশক্তি দেথিয় এবং রাজ্যের প্রকৃত অবস্থা সাক্ষাংসম্বন্ধে জানিয়া, কুই বৎসর পরে পুনশ্চ তিনি সিংহাসনে শোভমান ইষ্টলেন এবং যথাবিধি রাজকাৰ্ধ নিৰ্ব্বাহ করিতে লাগিলেন । ● মহারাজ তুঙ্কোজীর এই প্রশংসনীয় পৰ্য্যটনের ফলে প্রজাকুল কিরূপ লাভবান হয়, রাজ্যের সংস্কারকল্পে ও ঐকৃদ্ধিসম্পাদনার্থ 8 অহল্যাবাইয়ের পোষ্যপুত্র। (ఫిలి তিনি কোন কোন মুনিয়ম প্রচলন করেন এবং কিরূপ অfগ্রহ ও প্রজাপ্রীতির সহিত রাজকাৰ্য্যে দত্তচিত্ত হন, ইত্যাদি বিষয় ঐতিহাসিকগণ বর্ণন করিয়াছেন। আমি কেবল র্তাহার বিষয়ে প্রত্যক্ষ দুইএকটি ক্ষুদ্র মুদ্র ঘটনায় তাহার চরিত্রের কিছু আভাস দিব মাত্র । - মহারাজ নিত্য পতৃযে,- ব্রাহ্মমুহূর্বে নিদ্রাদেবীর অঙ্কত্যাগ করিতেন। পরে, শৌচাদি-প্রাতঃকৃত্য-সমাপনস্তে প্রধান কৰ্ম্ম, চারা ( মীর মুন্সী ) সমভিব্যাহারে, শকটীরোহণে নগরের বহির্দেশে কোন ময়দানে যা .তন ; রাজ্যের মঙ্গলচিস্তাই তাহার হাঙ্গ রক্ষক থাকিত,--আত্মরক্ষার নিমিত্ত তিমি সৈনিকাদি সঙ্গে লইতেন ! না । ময়দানে উপস্থিত হইয়া অশ্বগণকে রশ্মিমুক্ত করিবার আদেশ ছিল । সেখানে প্ৰজলিত দীপালোকে মীর মুনীর মুখে তিনি রাজ্যসংক্রান্ত কাগজপত্র শুনিতে আরম্ভ করিতেন । অবশেষে গগনপটে বালারুণজ্যোতি প্রকাশ পাইলে, কিয়দ্ধর পদব্রজে যাইয়। শকটে আকটু হইতেম এবং মীর মুন্সীর সহিত রা শাসনাদির কথা আলোচনা করিতে করিতে ও চারিদিক দেখিত্বে দেখিতে ধীরগতিতে বেলা আটটার সময় প্রাসাদে পৌছতেন। পথিমধ্যে কেহ যদি তাহাকে কিছু বলবার ইচ্ছা করিতেছে, এরূপ লক্ষণ দেখাইত, ধনি দরিদ্র পণ্ডিত-মুখ-নিৰ্ব্বিশেষে সকলকেই তিনি অভিমানবর্জিত হইয়া প্রতিপূৰ্ব্বক কুশল প্রশ্নান্তে জিজ্ঞাসা করিতেন, “তোমার কি কিছু বলিবার আছে ? যদি থাকে ত নিঃশঙ্ক হুইয়। বলিতে পায় ।”