পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয়-সংখ্যা। ] টাকার একখানি চেৰু হাতে দিয়া বলিলেন, “দেখ, আমার ব্যাঙ্কেও টাকা নাই, এই চেকখানি ঘোষকে দিয়া বলগে যে, তিনি যেন কাল বেলা ১১ টার পূর্বে এই চেকু ব্যাঙ্কে না পাঠান। আমি আজ দিনের মধ্যে ँशमन रुनिशा हर्षेरु, ४ ँ हैश्नं वाप्स् डि ক্ষরিয়া দিব !” এপন জিজ্ঞাসা করি, বাংলাE এ হৃদয়ের অভিনয় কি একবারে নিৰ্ব্বাপিত হইবে ? - | সৰইনস্পেক্টর বাবু স্বকৃতিবলেই হউক, আর তাহার স্বপক্ষে প্রবল প্রমাণ ছিল বলি: ই হউক, তিনি হাইকোর্টের বিচারে অব্যাহতি পাইয়া চতুর্থ দিবসে সাতশত টাকা লইয়া দয়ার সাগরের শ্রীচরণ দর্শন করিতে আসিলেন। সঙ্গে সেই বন্ধুটি । প্ৰণামান্তে টাকাগুলি সন্মুখে রাখিয়া হাসিমুখে বলিলেন, “আমি হাইকোর্টের বিচারে अशांशडि পাইয়াছি, আর আজ প্রাতঃকালে বাড়ী হইতে এই টাকা আসিয়াছে, তাই সংবাদটি আর টাকাগুলি দিতে আসিলাম।” বিদ্যাসাগর মহাশয় এই সংবাদ অবগত হইয়৷ আনন্দপ্রকাশ করিবেন প্রত্যাশায় বন্ধুসহ দারোগাবাৰু বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মুখপানে তাকাইয়া আছেন, এমন সময়ে বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিলেন, “তুমি ভদ্রসস্তান হইয়া আমাকে বঞ্চনা করিলে? আর ভূমি বন্ধুটিকে ) আমার পরিচিত হইয়া আমার সঙ্গে চাকুরী করিলে ?” দুইজনেই হতবুদ্ধি ও শুষ্কতালু হইয় দ্বওtয়মান । অল্পক্ষণ পরে বিদ্যাসাগর মহাশয় বললেন, “তুমি নী বলেছিলে, তুমি পুলিসে কৰ্ম্ম কর ?” ( সভরে উত্তর-“আঙ্কে ই” ) “ন, এ কথা .. ग्रांशुज-कं ।

১১৭ कथनई नङा श्रङ *ांदब्र मा, फूभि जांभांब নিকট মিথ্যা বলিয়াছ।” উত্তর—“আঙ্কে না, মহাশয় অনুসন্ধান করিলেই জানিতে পারিবেন যে, আমি নাটােরের পুলিস সৰ, ইনস্পেক্টর।” বন্ধুটি তখন কথার ভঙ্গিমায় কিঞ্চিৎ আশ্বস্ত হইয়া বলিলেন, “আপনি কি বলিতে চান্‌ ?” তখন বিদ্যাসাগর মহাশয় একটু ছাপিয়া বলিলেন, “মিথ্যা কথা ছাড়া আর কি মনে করিব ? এই দীর্ঘকালে অনেক লোক “দিব বলিয়া টাক{ লইয়া আর দেখা দিল না, নিরূপীয় লোকদের কথা না হয় নাই ধরিলাম, কিন্তু স্বপরিচিত সম্পন্ন ব্যক্তিরাও ত প্রয়োজন-সাধনের জন্ত টাকা লইয়া সকল সময়ে ফিরাইয়া দেন নাই, আর অন্তরঙ্গের ত কথাই নাই। যে দেশে নিলে আর দিতে চায় ন, সে দেশে তুমি পুলিসের দারোগী হইয়া সাতদিনের কড়ারে টাকা লইয়া চতুর্থ দিবসে ফেরত দিতে আসিয়াছ, কেমন করিয়া বিশ্বাস করিব ?” দারোগাবাবু উচ্চ পুয়স্কারে পুরস্কৃত হইয়া নতমস্তকে দণ্ডায়মান, তখন তাহাকে বসিতে বলিয়া বলিলেন, “হাইকোর্টের জজের অনেক সময়ে মকদম না বুঝিয়া ছাড়িয়া দেয়—তোমারও দেখছি, তাই হয়েছে। তোমার ত জেল হওয়া উচিত ছিল । সাতদিনের কড়ারে টাকা লইয়া চারদিনের দিন যে ফেরত দেয়, সে পুলিসের দারোগাগিরি চাকুরি করে জেলে যাবে না ত জেলে যাবে কে ?” রহস্যের স্বষোগ পাইলে পরিচিত-অপরিচিত বিচার ছিল না। লোককে অগ্রস্তুত করিতেও ছাড়িতেন না । উপযুক্তি ভদ্রলোকের নিষ্কৃতিলাভে অপেক্ষ,