পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম-সংখ্যা । ] ব্যাসদেব যুধিষ্ঠিরকে বুঝাইয়া দিতেছেন— “চারিদিকে ৮টি করিয়া সমচতুষ্কোণ ৬৪টি ঘরের একটি ছক অঙ্কিত করিয়া, এই ছকের পূৰ্ব্বে লোহিত, দক্ষিণে হরিৎ, পশ্চিমে পীত এবং উত্তরে কৃষ্ণবর্ণ সেনাদলকে সংস্থাপিত করিতে হইবে । বলস অক্ষার নিয়ম এই-- রাজার বামে হস্তী, তৎপরে অশ্ব ও তৎপাশ্বে নৌকা বসাইয়া, তাহার পর ইঙ্গদের সম্মুখে চারিট পদাতিক বা বোড়ে' বসাইতে হইবে ; আর নৌকা গুলি ছকের কোণের ঘরে বসবে। পূৰ্ব্বপুষ্ঠায় প্রদশিত ছকের মধ্যে বলস অফার নিদশন দে ওয়৷ ই চল । চাল গুলি ইহার সহিত মিলাইয়া, একটু মনোযোগ-সচকারে চেষ্টা করিলে, এ খেলা আয়ত্ত্ব কর কঠিন হক্টলে না । - এক্ষণে ব্যাসদেব যুধিষ্ঠিরকে ‘চাল’ (move শিক্ষা দিতেছেন । প্রথম চাণসকল পাশা-থে যার চালের মত পাশ ট ফেলিয়া স্থির করিতে হয়, কিন্তু ইহাতে এক টমা এ ধাশ্মট ব্যবহার্য ; যথা-পাচ পড়িলে রাজা বা বোড়ে চ{{লতে হইবে, চার পড়িলে হস্তা, তিনে অশ্ব ও দুই পড়িলে নেীক চালিতে ইষ্টৰে । রাজ সকল দিকেই এক ঘরমাত্র যাইতে পারে এবং ঐ fন য়ুন - সারেই ; অর্থাৎ এক ঘরমা বোড়ে চ'লয়া থাকে । কিন্তু বোড়ের সকল দিকে যাইবার ক্ষমতা নাই, কেবল সম্মুখের দিকে যাইবে, আর কোন বল মারিবার সময় কোণাকুণি ঘরে মারিবে ( আধুনিক খেলার মত । ঘোড়াও বৰ্বমান খেলার নিয়মমত ‘আড়াই'ধঃ মূৰ্খং সোজাসুজি দুই ঘর ও কোণে একঘর, মোট আড়াই”-ঘর প্রত্যেক বারে দাবার জন্মকথা । JX6. অতিক্রম করিবে । নৌকা কোণাকুণি দুই ঘর যাইবে । হস্তীর ক্ষমতা আমাদের মন্ত্রীর মত, অর্থাৎ আধুনিক মন্ত্রীর মত সকল দিকেই যতদূর ইচ্ছ। যাইতে পারে। নৌকা আধুনিক পিলের মত কোণাকুণি যায়, কিন্তু দুই ঘরের অধিক যাক্ট বার ক্ষমতা নাট, ইঙ্গাই ক্ট হার বিশেষত্ব । বোড়ে ও নৌকা অনা বল মারিতে পারে এবং স্বয়ং মারা যাইতে ও পারে ; কিন্তু রাজা, হস্তী এবং অশ্ব, শত্রুপবংস করিতে পারে, অথচ নিজে মরিবার ইহাদের অধিকার নাই এক্ষণে এ নিয়মটা কেবল রাজার প্রদোজ্য চতুরাজি’খেলায় রাজাকে সতর্কভাবে রক্ষা করিতে পক্ষেই হইবে, এবং ছোট বলের জন্য বড় বল নষ্ট করা যাইতে পরিবে না । বল-সকলের তারতম্য নিম্নলিখিত উপায়ে স্থির কর হইয়াছে । অশ্ব মধ্যস্তল হইতে আটট চাল পাইতে পারে এবং নৌকা কেবলমাত্র চারিট পায়, এজন্ত অশ্ব নৌক৷ হইতে শ্রেষ্ঠ বল। হস্তী সৰ্ব্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হস্তীর জন্য সকল বল নষ্ট করিয়া ও হস্তীকে রক্ষা কর। কৰ্ত্তব্য । গোতমের নিয়মানুসারে রাজা, বিশেষ আলশাক না হটলে, এক হস্তীর সম্মুখে অপর ক স্ত্রী সংস্থাপিত করিতে পরিবে না । যদি একপক্ষের রাজা এককালে অপরপক্ষের দুষ্টট হস্তীকেই বিনাশ করিবার সুযোগ প্রাপ্ত হয়, তাহা হইলে উহা দক্ষিণের হস্তীকে ত্যাগ করিয়া বামপাশ্বের হস্তীকে বিনাশ করিবে। গোতমের ন্যায় দার্শনিক ও সংহিতাকারও যখন চতুরঙ্গের’ নিয়ম বল, এ, জনা