পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৪৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম-সংখ্যা । ] সার সত্যের আলোচনা। 8©ዓ সমাপ্তিই রজনীর আরম্ভ, তেমনি অক্সলোমসোপানের সমাপ্তিই প্রতিলোম-সোপানের আরম্ভ এবং প্রতিলোম-সোপানের সমাপ্তিই অনুলোম-সোপানের আরম্ভ। ইহা হইতে আসিতেছে এই যে, রজনীর শেষাংশ যেমন দিবসের প্রথমাংশে গিয়া ঠাকে, তেমনি প্রতিলোম-সোপানের শেষ ত্রিক অনুলোম-সোপানের প্রথম ত্রিকে গিয়া ঠ্যাকে অঙ্গুলোম-সোপানের প্রথম ত্রিক কি ? না,—সৎ, চিৎ, আনন্দ ; প্রতিলোমসোপানের শেষ ত্রিক কি ? না,—প্রাণ, মন, বুদ্ধি। দুয়ের সংশ্লেষ কোথায় ? না,— সেখানে প্রাণ-মন-বুদ্ধির চরম উৎকর্ষ সৎচিং-আনন্দে গিয়া পর্যাপ্তি লাভ করে অতঃপর দ্রষ্টব্য এই যে, কি গোড়ার ত্রিক, কি মাঝের ত্রিক, কি শেষের ত্রিক, সকল ত্রিকেরই প্রকার । ভিতরকার কল এক ইসে কলের মুখ্য অবয়ব তিনট-— (১) শাস্তি, (২) প্রতিযোগ, (৩) সংযোগ ; আর, স্কেলের গতি তাহার ঐ তিন অবয়ুবের মধ্যেই আবদ্ধ। সে গতি এইরূপ : — শান্তি হইতে প্রতিযোগে, প্রতিযোগ হটতে সংযোগে, সংযোগ হইতে নুতন শাস্তিতে, নুতন শান্তি হইতে নুতন প্রতিযোগে, নুতন প্রতিযোগ হইতে নুতন সংযোগে, নুতন সংযোগ হইতে নবতর শাস্তিতে ; ইত্যাদি, ऐडriनि । - ত্রিকের ঐ যে ভিতরকার কল, উহা একপ্রকার রূপক-তাল । রূপক-তালের গঙ্গ তিনটিমাত্র—দুই তাল এবং এক Fাক। দুই তাল হ’চ্চে প্রতিযোগ এবং সংযোগ "আর এক ফাক হ’চ্চে শাস্তি ।

সকল ত্রিকের ভিতরকার কল যেহেতু একই-প্রকার, এই জন্য আদি এবং অন্ত, এই দুই মুড়ার দুই ত্রিকের প্রতি আপাতত লক্ষ্য নিবদ্ধ করিয়া, সেই দুই ত্রিককে মাঝথানের আর আর ত্রিক-শ্রেণীর আদর্শরূপে গ্রহণ করা যাইতে পারে । আমি এক্ষণে তাহাই করিব ; তাহার পরিবর্তে গোড়ান্তেই যদি আমি বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের ত্রিকের গোলোকধাদায় প্রবেশ করিয়া আপনি ও বিভ্রান্ত হই এবং পাঠকবর্গকে ও বিভ্রান্ত করিয়া তুলি, তাহা হইলে একুল ওকুল দুকুল যাইবে ; তাহাতে কাজ নাই । আপাতত এইরূপ মনে করা যা’ক্‌ যে, বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের সমস্ত ত্রিক যেন তাহার দুই মুড়া’র দুই ত্রিকেই পরিসমাপ্ত ; সৎ, চিৎ, আনন্দ—এই এক ত্রিক, এবং প্রাণ, মন, বুদ্ধি—এই আরেক ত্রিক, এই দুই ত্রিকেই পরিসমাপ্ত। তাছা হইলে সংক্ষেপে দাড়াইবে এই ধে, সৎ-চিতআনন্দ হইতে প্ৰাণ-মন-বুদ্ধিতে অবতরণ করিবার ক্রম অনুলোম-ক্রম, এবং প্রাণ-মনবুদ্ধি হইতে সৎ-চিৎ-আনন্দে উত্থান করিবার ক্রম প্রতিলোম-ক্রম । উপনিষৎশাস্ত্রে ও আছে—“আনন্দাদ্ধ্যেব খন্বিমানি ভুতানি জায়ন্তে”—আনন্দ হইতেই সমস্ত ভূত জন্মগ্রহণ করে ; * * * "কো হেবাষ্ঠাৎ কঃ প্রাণ্যাৎ যদেষ আকাশ আনন্দো ন স্যাৎ”— কে বা প্রাণধারণ করিত, কাহারই বা প্রাণমূৰ্ত্তি হইত, যদি এই আনন্দ আকাশে ন৷ থাকিতেন । অতএব আনন্দ হইতে অনুলোম-ক্রমে প্রাণ অভিব্যক্ত হইয়াছে, এ কথা শাস্ত্র এবং যুক্তি উভয়-সন্মত। এ কথাও তেমনি উভয়-সন্মত যে, প্রাণ