দ্বিতীয় সংখ্যা । ] হইল ?” ইত্যাদি। রাজকৌশলটা বুঝিতে অবষ্ঠ কবিরাজের বেশীক্ষণ লাগিল না। হাসিয়া তিনি বলিলেন, “হুজুরের অত কষ্ট করার দরকার নাই। আমায় না হয় ‘তুমি’ই বলুন!” * তাহার চিকিৎসায় মহারাণীমুতার কিছু উপকার হইলে কবিরাজমহাশয় তাঙ্গর একজন সুশিক্ষিত ছাত্রকে রাথিয়া পুটিষ৷ ত্যাগ করিলেন , একজন ডাক্তারের সহিত পরামর্শ করিয়া শেষে তিনিই ঔষধপত্র দিতেন। এই চিকিৎসকেরা মহারাণীমাতার বেতনভুক্ হইলেও, পুরস্কার ছাড়া, বাহিরের কোন লোকের সামান্য চিকিৎসার প্রয়োজনে তিনি তাঙ্গদের পৃথকৃ “দর্শনী”র ব্যবস্থা করিতেন। একদিন দেখি, বেলা ৯টার আমলে একটি ব্রাহ্মণকন্য। পাষাণদেবতা । సిé কোন দরিদ্র পরিবারের খবর লইয়া আসিলেন , —কাহারও জর হইয়াছে, চিকিৎসা হইতেছে. ন। মাত সাগু-মিছরি প্রভৃতি রোগীর পথ্য তৎক্ষণাৎ পাঠাইবার ব্যবস্থা করিয়া কয়টি টাকা ব্রাহ্মণকন্যাকে আনাইয়া দিলেন এবং গোপনে উপদেশ করিলেন, রাজবাটীর চিকিৎসকদের লইয়া-গিয়া যেন “ভিজিট্ৰ’ দেওয়া হয়। এইরূপ বিরেচনার সহিত তিনি আপন হইতে সকলের ন্তায্যপ্রাপ্য বণ্টন করিয়া দিতেন। কিন্তু কেবল দরিদ্র পরিবারের জন্যই এ ব্যবস্থা নহে । সম্পন্ন মধ্যশ্রেণীর ভদ্রলোকদেরও এইভাবে তিনি কত সাহায্য করিতেন। রাজবাটীর অন্তান্ত সরিকের গৃহেওর্তাহার মহত্বের,— স্নেহশীল হৃদয়ের স্নিগ্ধরশ্মি সৰ্ব্বদা বিকীর্ণ হইত। শ্ৰীশ্ৰীশচন্দ্র মজুমদার। পাষাণদেবতা । >><<. পাষাণমন্দিরে তব নিতা আসি-যাই, শত আঙ্গলানেও তব সাড়া নাহি পাই। প্রথম প্রত্যুষে উঠি শুদ্ধশাস্ত মনে, করজোড়ে আসি নাথ তোমার অঙ্গনে । বেদনাব্যাকুল প্রাণে তোমা-পানে চাই, করুণার কোন চিন্তু নাহি কোন ঠাই। তোমারে সাজাতে নিত্য আনি ফুলডালা, পাষাণদ্বয়ারে গেঁথে রেখে যাই মালা । সাধ করে মালাগাছি কণ্ঠে তুলে দিতে, বাক্যহীন মৌন দেখে ভয় পাই চিতে।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১০০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।