বঙ্গদর্শন। حسحسوی sحجج - چمحیحات আনন্দমঠ ও স্বদেশপ্রেম। SMMTSMSeSeSAASAASAAAS প্রায় চব্বিশ বৎসর হইল, আমি একদিন স্বৰ্গীয় বঙ্কিমচন্দ্রের সহিত সাক্ষাৎ করিতে গিয়াছিলাম। তখন তিনি বৌবাজারের বাসায় থাকিতেন। রাত্রি প্রায় আটটা । বঙ্কিমবাবু, স্বৰ্গীয় কবি হেমচন্দ্র, স্বৰ্গীয় ডাক্তার বেহারিলাল ভাদুড়ী, স্বৰ্গীয় সঞ্জীবচন্দ্র বসিয়া আছেন। একটু পরে গরম-গরম লুচি ও তপসীমাছভাজা আসিল । খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, মনখোলাখুলি করিয়া বেশ কথাবার্তা চলিতে লাগিল। এ-কথা সে-কথার পরে, কবি হেমবাবু বলিলেন—“বর্তমানসময় যেসকল স্বদেশপ্রেমঘটিত কবিতা বাহির হইতেছে, তাহা বাহির না হইলেই ভাল হয় ।” বঙ্কিমবাবু—“কেন ?” হেমবাবু—“যে স্বদেশপ্রেম, যে বীরত্ব বাক্যে পৰ্য্যবসিত, তাহা, ঘৃণার বস্তু, তাহা একরকম ভণ্ডামি।” বঙ্কিমবাবু-“তবে তুমি তোমার ‘ভারতসঙ্গীত’, ‘সুরতবিলাপ’ লিখিয়াছিলে কেন ?” হেমচন্দ্ৰ—“আমি লিখিয়া অতি অদ্যায় কাজ করিয়াছি, আমি তাহার জন্য অনুতপ্ত। হয়, ৰঙ্গদেশে একটা লোক নাই, যে কাৰ্য্যে বীরত্ব দেখাইতে পারে, একটা লোক নাই, যে প্রয়োজন হইলে দেশের জন্ত নিজের জীবনটা দিতে পারে। যে দেশের লোকের অবস্থা এইরূপ, সে দেশের লোক ‘জাতীয় সঙ্গীত' লেখে কেন, স্বদেশপ্রেমের বিষয় দীর্ঘ বক্তৃত করে কেন ? শোচনীয় ” -> বঙ্কিমবাবু—“তুমি কি বলিতে চাও, সাহিত্যদ্বারা কাৰ্য্যত দেশের কোন মঙ্গল হয় না ? যদি তা বল, তাহা হইলে আমি তোমার খীি কখন অনুমোদন করিতে পারি না। যদি সাহিত্যদ্বারা স্বদেশের মঙ্গলসাধন করা যায় মা মনে করিতাম, তাহা হইলে আমি আনন্দমঠ লিখিতাম না। আমার বিশ্বাস, আমার আনন্দমঠে স্বদেশের একদিন উপকার হইবে।” বঙ্কিমবাবু এই কথাগুলি যেন ভবিষ্যদ্বক্তার গম্ভীরস্থরে বলিলেন । আমি যখন এই পুস্তকখানি প্রথমে পাঠ করিয়াছিলাম, তখন সত্যানন্দ, ভবানন্দ, জীৰানন্দ, ধীরানন্দ ইত্যাদি আনন্দের ছড়াছড়ির ভিতর ষে । বিশেষ আনন্দ লাভ করিয়াছিলাম, তাহ বলিতে পারি না। বঙ্কিমবাবুর প্রথম বুসের উপন্যাসাবলীর প্রধান প্রধান ব্যক্তিগণের
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১০৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।