পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eצע দেহ মনোযোগ করেন নাই। এই উনবিংশ ও বিংশ শতাষ্ট্ৰীয় সমস্ত ইতিহাসের মূলে একটা ভাব আছে—যাহা পশ্চিমেরও নয়, পূর্কেরও নয়, বহি বিদেশী নয়, স্বদেশীও নয়, কিন্তু বাহী এই যুগের,—সে ভাব-এই বর্তমান যুগের স্বাধীনচিন্তা। উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর সমস্ত ইতিহলে,—তাহার বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য, রাজনীতি,সামাজিক ব্যবস্থা, ধৰ্ম্মবিশ্বাসের ভিতর— এই স্বাধীনচিস্তার ক্রমবিকাশ বর্ণনা করিবার • আমার এখানে অবকাশ নাই। আমি কেবল একটা কথা এইখানে পরিষ্কার করিয়া বলিতে চাই—এই স্বাধীনচিন্তা কোন দেশ বা ভূভাগ, বা সম্প্রদায়বিশেষের সম্পত্তি নয়। শুধু তাহ নয়, সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ অথবা অষ্টাদশ শতাব্দী হইতে আরম্ভ করিয়া, নানা জটিল, বন্ধুর, প্রস্তরসস্কুল পথে কত-সময় বিপরীতপখাবলম্বী অথচ সকল সময় অপ্রতিহতগতি এই স্বাধীনচিস্তার স্রোত ঠিক এই বর্তমান সময়ে পাশ্চাত্যজগতে যেখানে আসিয়া চিণ্ডী, বিশেষত ভারতবাসী, বঙ্গবাসীর চিন্তার প্রভাব কতদূর পর্য্যস্ত মিশ্রিত আছে, সে বিয়ে কয়জনের ধারণ পরিষ্কার, তাই আমি লঙ্গেই করি। ৮ : সংক্ষেপে বলিতে গেলে, এই স্বাধীনচিস্তার শ্ৰোত দুইটি বিপরীত গতিতে চলিয়া জাগিছে-একটি ভাঙিবার পথ, আর यो गिलँदैव পথ। অথচ হুইটকে লইয়। একই পঞ্চ-একটর ভিতর দিয়া না আসিলে জীর একটিতে আসিবার উপায় ছিন্তু না। গুটিকয়েক জিনিষ মানুষের সমস্ত উন্নতির পথকে অবরোধ করিয়া দাড়াইয়া ছিল,— তাহাদের নাম,-অত্রাস্ত ধৰ্ম্মশাস্ত্র, দেশাচার ও পুরোহিতবর্গ। এখানে যেমন শঙ্করাচার্ধ্যের “বেদস্তুবাক্যমীমাংস৷ তদবিরোধিততর্কোপকরণা", সেখানে তেমনি Apselmএর “Credo ut intelligam*—*fytty xfj, পরে বুঝিতে পারিব” এই মূলমন্ত্রকে অবলম্বন করিয়া ধৰ্ম্মাচার্য্যের মানুষের সমস্ত মনুষ্যত্বনাশকারী একাধিপত্য, দেশাচারের হৃদয়শূন্ত পেষণ, পূৰ্ব্বপ্রচলিত সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার অপরিবর্তনীয় লৌহশাসন প্রতিষ্ঠিত ছিল । মানবপ্রকৃতি ও সমাজের এই লৌহখৃঙ্খল ভাঙিবার কাজ যখন আরম্ভ হয়, তখন স্বাধীনচিস্তার নাম ছিল—প্রতিবাদ, উপহাস, ব্যক্তিগত জ্ঞান, ব্যক্তিত্বের প্রাধান্ত, শাস্ত্রশূন্ত ধৰ্ম্ম, দর্শন, বিজ্ঞান ও সমাজ । পাশ্চাত্যজগতেই ইহার আরম্ভ । এই অগ্নিময়, বিপ্লবপুর্ণ, কঠোর, অথচ মঙ্গলপূর্ণ পথ অতিবাহিত করিয়া স্বাধীনচিন্ত৷ যখন গড়িবার পথে প্রবেশ করিলেন, তখন তাহার নাম হইল-গবেষণা, স্বাধীন অস্তদৃষ্টিপূর্ণ উচ্চতর শাস্ত্রবিবেক (Higher Criticism), xảrsifats III, fra ভক্তিসন্মার্জিত জ্ঞানে শাস্ত্র-আলোচনা। সমস্ত পাশ্চাত্যজগতের চিন্তা অনন্তমনা হইয়া এখন এই পথে চলিয়াছে ; কিন্তু এ পথে প্রথম পথপ্রদর্শক, জগতের শিক্ষাগুরু একজন বাঙালী। তার নাম রাজা রামমোহন রায়। যুরোপু, আমেরিকা এ ঋণ অস্বীকার করে না । কিন্তু য়ুরোপ, আমেরিক ভারত;