পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

الاذ श्क्षं । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ আবার্ট। ৷ প্রতিষ্ঠিত ; জগৎসংসার কেবল সেই এক, অখণ্ড অচিন্ত্য জ্ঞানেরই বিকাশ, এই সত্যকে অবলম্বন করিয়া ইহার দিগম্ভব্যাপী, অপ্রতিহত প্রসার। ইহা যথেচ্ছাচারী বা অসংযতবুদ্ধি নয় ; সহজ মানবপ্রকৃতিতে ইহার মূল থাকিলেও, ইহা কঠোর সাধন, শিক্ষা ও অনুশীলন সাপেক্ষ। নির্ভীকতা ইহার প্রকৃতি, বিশ্বরূপদৰ্শন ইহার আকাঙ্ক্ষা, বিভূতিযোগ ইহার সাধনের সামগ্রী। রাজা রামমোহন রায় ইহাকে শুধু যে শাস্ত্রানুশীলনোন্মুখী করিয়াছিলেন,তাহা 'नग्र ; কিন্তু ইহার নির্ভীকচিত্ততা এবং দেশী-বিদেশী সকল শাস্ত্রচর্চার মধ্যে ইহার সুদৃঢ় আত্মপ্রতিষ্ঠার শক্তির জলন্ত দৃষ্টান্ত দেখাইয়া গিয়াছেন। মহৰ্ষিও অভ্রান্ত শাস্ত্রবাদকে পরিহার করিয়া গভীর ভক্তিপূর্ণ জীবনগত শাস্ত্রানুশীলন কি, নিজজীবনে তাহ শিখাইয়া গিয়াছেন । র্তাহীদের পরবর্তী আর একজন শাস্ত্রে পাণ্ডিত্যাভিমানশূন্ত হইয়াও, সকল শাস্ত্রে ও সকল মহাপুরুষে বিভূতিযোগের গভীর মন্ত্র নিজজীবনে উপলব্ধি করিয়া • তাহাঁরই কথা বলিয়া গিয়াছেন ; কিন্তু তাহার সম্বন্ধে এ প্রবন্ধে অামি নীরব থাকিব । বঙ্কিমচঞ্জেরও জীবনের ও শিক্ষার মূলমন্ত্র এই নিৰ্ভীক, অপ্রতিহত, দিগন্তব্যাপী স্বাধীনচিস্তা। প্তাহারও শাস্ত্রালোচনার মূল এই ভাব, শাস্ত্রালোচনার উপায় ও উদ্বেগু এই ভাবেরই অনুশীলন ও উৎকর্ষ । “অনেক ভোগ জুগিয়াছি, অনেক কষ্ট পাইয়াছি। সাহিত্য, বিজ্ঞা, ইতিহাস, দর্শন, দেশী-বিদেশী শাস্ত্র সাধু, অধ্যয়ন করিয়াছি। জীবনের "দীর্ঘক্ষতাসম্পাদন জন্ত প্রাণপাত করিা গুপ্রিশ্ন করিয়াছি। এই পরিশ্রম, এই কষ্টভোগের ফলে এইটুকু শিখিয়াছি যে, সকল বৃত্তির ঈশ্বরম্নবৰ্ত্তিতাই ভক্তি, এবং সেই ভক্তি ব্যতীত মনুষ্যত্ব নাই ।” রামেন্ত্রবাবু কিন্তু তাহার “বিশ্লেষণের" ফলে বলিতেছেন—“বঙ্গদর্শনের বঙ্কিমচন্দ্র পাশ্চাত্যশিক্ষার মোহবন্ধন সম্পূর্ণ কাটাইয়াছিলেন কি.না, বলিতে পারি না ; কিন্তু প্রচারের পশ্চাতে যে বঙ্কিমচন্দ্র দাড়াইয়াছিলেন, তাহাকে রাহুগ্রাসমুক্ত পূর্ণচন্দ্রের মত দীপ্তিমান দেখি।” জনি না, আমি যাহাকে স্বাধীনচিন্তা বলিলাম, রামেন্দ্রবাবু তাহাকেই “পাশ্চাত্যশিক্ষার মোহবন্ধন” ও “রাহগ্রাস” বলিয়া ভাবেন কি না, কিন্তু তাহ না ভাবিলে নিম্নলিখিত কথাগুলিরই বা ཊིfiཉྩ་ཤྲྰི་ཨོཾ་ཧྰུཾ་ o “ধৰ্ম্মতত্ত্বের অমুসন্ধানে sেo न-ऍन অনাবস্তক হইলেও আমরা ঐ , বস্তক পরিশ্রমে প্রবৃত্ত হইয়াছিলাম ; এমন সময়ে বঙ্কিমচন্ত্র আমাৰি , আপন ঘরে প্রতাবর্তনের ক * দিলেন i” वरुश्च ५्रं উত্তাপক্লিষ্ট দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশে আপনার অৰ্দ্ধশীতল অৰ্দ্ধ-অন্ধকার গৃহকোণে যে মুখে শয়ান আছে, তাহাকে পৰ্যটনের পরিশ্রমের ভিতর আহ্বান করাতে, অথবা সে কথা শুনাইতেও একটা নিষ্ঠুরতা আছে, তাহ স্বীকার করি। কিন্তু আবার এ কথাও বলিতে হয়, এই পরিশ্রমে যিনি বিমুখ, পৰ্যটনের অনন্ত-উপায় লভ্য আনন, শিক্ষ, অর্জন ও সময়ে-সময়ে গভীর জয়োল্লাস হইতেও তিনি বঞ্চিত । * এ বিষয়ে আর একটি ছোট কথা আছে। সেট ইতিহাসের বিষয়। রামেজবাৰু লিখিয়াছেন—“এ কথা গোপন করিবার