জিজ্ঞাসায় নিবেদন । ASAAAAS AAAAAeSeMeSMeeSeAMSAAAAAAASAAAA গত বৎসৰু চৈত্রনাসের বঙ্গদর্শনে স্বদেশী বা পেট্রটিজম নামক প্রবন্ধসম্বন্ধে শ্রদ্ধাস্পদ জীযুক্ত ইন্দ্রনাথবাবু কতকগুলি প্রশ্ন উত্থাপন করিয়াছেন। প্রশ্নের উত্তর, যিনি প্রবন্ধ লিথিয়াছেন, আশা করি, তিনিই দিবেন ; আমি কেবল সেই আলোচনাসম্বন্ধে গোটাকতক কথা নিবেদন করিতে চাই। কারণ, যে বিষয়টি লইয়া আলোচনা উঠিয়াছে, সেটিকে আমি নিতান্ত গুরুতর বলিয়া মনে করি। আমাদের প্রাচীনসমাজ যখন গঠিত হইয়৷ উঠে, তখন বাহিরে বিশ্বজগতে তাহার স্থান কি, তাহ তাহাকে ভাবিতে হয় নাই। সে আপনার উপায়ে আপনি ধৰ্ম্মে, কৰ্ম্মে, বিধিবিধানে একটা সামঞ্জস্ত রচনা করিয়া চলিতে ছিল। আজ ঐতিহাসিকের পক্ষে অন্তান্তদেশের চিন্তা ও সাধনার সহিত তাহার তুলনা টানা পরম আনন্দের ব্যাপার, সন্দেহ নাই। বিচিত্র ভৌগোলিক সংস্থানের মধ্যে বিচিত্র সভ্যতা কিরূপে গড়িয়া উঠে,—গ্রীস্ কেন ষ্টেট্রপ্রধান সভ্যতাকে ও ভারতবর্ষ মঙ্গলপ্রধান সামাজিক সভ্যতাকে জন্ম দিল, তাহ তিনি আলোচনা করিয়া দেখিতে পারেন,— কিন্তু সে সকল দেখার কথা এখানে হইতেছে মা" গ্রী g কথা এই যে, এক্ষণে ইউরোপীয় সভ্যতা তাহার বিচিত্ৰ-আয়োজন-উপকরণ লইয়া আমাদের ধাড়ের উপর আসিয়া পড়িয়াছে। ইংলও আমাদের রাজা, তাহার রাজনীতির বিধিবিধানে ভারতশাসনচক্র অবিরাম ঘুরিয়া চলিয়াছে। এই শাসনচক্রে আমরা পাক খাইয়া কোথায় গিয়া পড়িব, তাহার ঠিকানা নাই। : - আমাদের দেশে বর্ণাশ্ৰমধৰ্ম্ম ছিল বলিয়াই বিদেশের সংঘাতে আমরা কখনো মরি নাই । শাসনস্বৰ্য্য উদিত হৌক বা অস্তমিত হৌক, আমাদের অবস্থার তারতম্য তাহাতে বিশেষ ঘটে নাই, বরং নব নব জাতিকে আমরা আমাদের অন্তর্গত করিয়া লইয়া হিন্দুর সামাজিক সভ্যতাকে উত্তরোত্তর বিচিত্র করিয়াছি। হিন্দুধৰ্ম্ম বলিতে যেমন একটি ধৰ্ম্ম বুঝায় না, তেমনি হিন্দুজাতি বলিতেও একটি জাতি বুঝায় না, তাহ অনেকের সমবায় । কিন্তু ইংরেজের আমলে সেই প্রাচীন শান্তি স্পষ্টই ভঙ্গ হইয়াছে, ইহাও দেখিতেছি। তাই ইউরোপীয় সভ্যতা কি, তাহার প্রাণশক্তি কোথায়, কিরূপে সেই শক্তিকে আমরা আয়ত্ত করিতে পারি, শিক্ষিত ব্যক্তিমাত্রকেই আজ সেইদিকে চিস্তিত হইত্তে হইতেছে। ইউরোপীয় জাতিদের আমরা বলি নেশন —ফ্রান্স, জৰ্ম্মাণি, ইংলণ্ড, সকলেই নেশূন । কিসে "নেশন্ হয় বলা শক্ত ; কারণ, ইউরোপীয় সভ্যতার যেদিকেই দৃষ্টিনিক্ষেপ করা যায়, সেদিকেই বিরোধ ও বৈচিত্র্যের
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।