कृजेङ्गनका ६] ब्रादेवमीछ्न। እmፃ ধৰ্ম্ম ৰাচিৰে কি মরিবে, সে সম্বন্ধে কোনकथ-छेथांश्रृंनई भिषा । লেখক লিখিয়াছেন—“অতি প্রাচীনকাল হইতেই হিন্দু অংশাংশী ও অঙ্গাঙ্গী ভাবে ব্যক্তি । সঙ্গে পরিবারের সম্বন্ধপ্রতিষ্ঠা করিতে চেষ্টা পাইয়াছে। বর্ণাশ্ৰমধৰ্ম্ম ইহার মূল ও ফল উভয়ই ” তাই আমরাও এইটুকু জানি যে, অংশাংশী ও অঙ্গাঙ্গী ভাবটিকে ব্যাপক করিতে হইবে, যাহাতে দেশের প্রত্যেকেই প্রত্যেকের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিসম্বন্ধে সম্বন্ধ, এ কথা আমাদের মনে আসিতে পারে । “সৰ্ব্বভূতে ব্ৰহ্মদৃষ্টির প্রাচীন আদর্শ ভক্তি রাপ্ত হইয়া জীবমাত্রকেই.এদেশে যদি নরনারায়ণের বিগ্রহন্ধপে প্রতিষ্ঠিত করিয়া থাকে, নরসেবাকেই ভগবৎসেবা, মানবপ্রেমকেই ভগবৎপ্রেমের প্রতিরূপে সাধন করিয়া থাকে”, তবে যে সেই আদর্শ “পরিবার ও সমাজের গর্তী অতিক্রম করিয়া ক্রমে আমাদের সকলকে এক বৃহৎ জাতিরূপে জাগ্রত করিবে না, এ কথা আমি বিশ্বাস করিতে পারি না। নিশ্চয়ই সমস্ত বিশ্ব মহাজাতির মধ্যে আমরাও আমাদের স্থান করিয়া লইব, “স্বদেশ” বলিয়া একটি অখণ্ড মঙ্গলবস্তু আমাদের মধ্যেও গড়িয়া উঠিবে। শ্ৰীঅজিতকুমার চক্রবর্তী। রাইবনীদুর্গ। পঞ্চম পরিচ্ছেদ । রাইবনীহুর্গের ইতিহাস ঘোরতমসাচ্ছন্ন হইলেও ইহার অপেক্ষাকৃত আধুনিক কাহিনী তেমন অস্পষ্ট নহে। ইদানীন্তনকালে তমলুক এবং ময়নাচেরীর কৈবৰ্ত্তরাজগণ মেদিনীপুর ও তৎসন্নিহিত জনপদ অধিকৃত করিলে শিখিবংশীয় ক্ষত্রিয় ভূস্বামিগণ র্তাহাদের শেষ নরপাল নিঃশঙ্কনারায়ণের তিরোভাবের সঙ্গে সঙ্গে ময়ুরভঞ্জ এবং বামনঘাটির পাহাড়জঙ্গলপ্রদেশ,সাশ্রয় করিলেন। ময়ূরভঞ্জের রাজকুলের মূলে শিখিপুঞ্জ,—তাহারাও শিখিবংশীয়। অতএব চিরদিন তাহার সে রাজ্যের হিতাকাজ করিবেন, এইরূপ প্রতিশ্রুতির বলে ভূস্বামিগণ, তথায় বসবাসের অনুমতি লাভ করিলেন। কিন্তু বসিতে পাইলে শয়নের • ব্যবস্থা করিয়া লওয়া স্বভাবসিদ্ধ। এই স্বতঃসিদ্ধ পরম সত্যের প্রতি ময়ূরভঞ্জরাজের দৃষ্টি যখন আকৃষ্ট হইল, হাতের চেয়ে আম তখন বড় হইয়া উঠিয়াছে। ভূস্বামিগণের মুখ্য শশাঙ্কনারায়ণ এক বিচক্ষণ উৎকলব্রাহ্মণের সহায়ে দীর্ঘকাল ধরিয়া সঙ্গোপনে বলসঞ্চর করিতেছিলেন । ক্রমে আবাদের ছল করিয়া তিনি জীর্ণপ্রাচীন রাইবনীদ্বর্গ সুসংস্কৃত এবং মেদিনীখুৱজেলাসুলভ কাটবঁশের ঘনবিন্যস্ত বেষ্টনে তাহার বহিরঙ্গণ ৷ ফুর্ভেদ্ধতর করিয়া লইলেন। •
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।