তৃতীয় সংখ্যা। ] হানির কথা বাহিরের লোকে জানিতে-বুঝিতে পারিত না । এইরূপে, কয়-বৎসর মধ্যে দেখিতে দেখিতে যে ধন ও শস্ত সঞ্চয় হুইল, তাহা নিতান্ত অল্প নহে। কিন্তু দাসমহাশয় ইহার কিছুই খরচ হইতে দিতেন না। নিত্যব্যবহার্য্য সকল্ল দ্রব্য তাহার ভাণ্ডার হইতে আসিত । মেদিনীপুর ও বালেশ্বর জেলায় নানাস্থানে শিবপ্রসঙ্গের ভূসম্পত্তি এবং কৃষিকার্যের জন্য ভাণ্ডার ছিল । রাজপরিবারের তত্ত্বাবধানের সুবিধার জন্য ইদানীং, তিনি দেবতাস্থানের অপরপারে একটি বাটী নিৰ্ম্মাণ করিয়া তথায় সপরিবারে বাস করিতেন । এখানে সদাব্রত ও টোল স্থাপন করিয়া বংশের আদিপুরুষের নামে স্থানটির নামকরণ করিয়াছিলেন – উমাপুর। আদিপুরুষের অনেকগুলি গুণ শিবা প্রসন্নে বৰ্ছিয়াছিল। তাহার হায় তিনি ওঁ যোগযুক্ত অথচ সংসারী ছিলেন । আত্মোন্নতি যে স্বদেশের ও স্বজাতির উন্নয়নের প্রথম সোপানমাত্র, ইহা মহাপুরুষের ন্যায় তাহারও মজ্জাগত বিশ্বাস ছিল। কিন্তু প্রধানত যে গুণৈ উমাপ্রসন্ন অপেক্ষাকৃত আদিমকালে হীনতর জাতিদের মুগ্ধ করিয়া ভাবি-হিন্দুসাম্রাজ্যস্থাপনের স্বপ্ন প্রত্যক্ষ করিতে বসিয়াছিলেন, সে মহাগুণ-আন্তরিকতা বা প্রেম–শিব প্রসয়ে অধিকতর মূৰ্ত্তিলাভ করিয়াছিল। এই প্রেম শুধু তাহার জীবনকে মধুময় করিয়া নিরস্ত হস্থ নাই,—র্তাহার সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত खड़ द * खैौद যে-কিছু—সৰ্ব্বত্র অমৃতবর্ষণ কৃরিত। 锣 শিথিবংশধর রাজকুমারকে মানুষ করিয়া Wo ब्रश्रुिर्नेौछूत्रf। లిసి তুলিয় তাহার দ্বারা পূৰ্ব্বপুরুষের ও নিজের . আদর্শ সফল করিবুেন, অপুত্ৰক শিবপ্রসন্ন : প্রথম হইতে ইহাই সঙ্কল্প করিয়াছিলেন । র্তাহার ক্ষত্রিয়োচিত ব্যায়াম ও শাস্ত্রণমুশীলনের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক এবং নৈতিক শিক্ষণ যাহাতে যুগপৎ দৃঢ়ভিত্তির উপর স্থাপিত হয়, সেদিকে তার প্রখর দৃষ্টি ছিল। দাসমহাশয়ের ব্যবস্থায় কুমার পদাঙ্কনারায়ণকে প্রায় প্রত্যহ দুইবেল রাইবনীদুর্গপ্রাসাদ হইতে উমাপুরে আসিয়া অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মত টােলে পাঠগ্রহণ করিতে “ হইত। কুমার সচরাচর অশ্বারোহণে আসিতেন বটে, কিন্তু মাঝে মাঝে ভ্রমণের অভ্যাস জন্য পদব্রজেও তার গমনাগমন নিয়মবদ্ধ ছিল । এইরূপে কুমারের কৈশোরকাল উপস্থিত হইল। শিবাপ্ৰসন্ন প্রৌঢ়বয়স্ক হইলেও কুমারের সঙ্গে ক্রীড়ায় এবং আমোদে বালক বনিয়া যাইতেন। আর পুরুষপরম্পরাসম্বন্ধে তিনি পদাঙ্কনারায়ণের ঠাকুরদাদা বলিয়া পরিচিত। মাতারাণী কৃষ্ণপ্রিয়া শ্বশুরের মত তাছাকে শ্রদ্ধাভক্তি করিতেন । 象 শিবপ্রসন্ন স্বয়ং সঙ্গীতানুরাগী ছিলেন এবং তাহার সৌন্দর্য্যজ্ঞান এতটা উৎকর্ষলাভ করিয়াছিল যে, সেকালের লোকে সেজন্ত কখন-কখন তাহাকে ভূতাবিষ্ট মনে করিত। তিনি বিশ্বাস করিতেন, আমাদের সুকুমার বৃত্তিগুলি অনুশীলনে যত স্ফৰ্ত্তিলাভ করিবে, ততই আমরা সৰ্ব্ববিধ পাপ এবং প্রলোভনের উপর জয়লাভ করিব। এ বিষয়ে তিনি নিজে যেমন শিক্ষা পাইয়াছিলেন, রাজকুমারের জন্তও সেইরূপ যোজনা করিলেন। কিন্তু এ শিক্ষা উহার সমক্ষেই হইত। সঙ্গীতে শিবপ্রসন্ন
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।