ృe “খাবার জিনিষ কখন লোকসান হয় ? কেহ না কেহ ত খাবেই।” g বসন্ত ও গ্রীষ্মকালের সন্ধ্যায় দেখিতাম, মাতা একরাশি "ফুল লইয়া রাজপরিবারের গৃহদেবতা গোবিন্দজীর জন্য মালা গাঁথিতেছেন। তাহার (পাচ-আনির ) অংশের পালা পড়িলে প্রত্যঙ্গ-স্বহস্তে মাল্যরচনা করিয়া তিনি দেবতাস্থানে উপহার পাঠাইতেন । পোলা পড়িলে এক রাজবাটীর গোবিন্দবাজী হইতে অল্পবাটীর গোবিন্দবাড়ী বিগ্রহ লইয়। যাওয়ার সময় চিরদিন ধুমধাম হয়। তদুপলক্ষে হাতিঘোড়া-লোকজন যেরূপ সজ্জিত श्हेड, প্রধান কৰ্ম্মচারীদিগকেও সেইরূপ বেশভূষার পারিপাট করিয়া গোবিন্দজীকে আনিতে যাইতে হইত। মহারাণীমাতার দেওয়ানরূপে পুনরায় পাচমানির সংসারে প্রবেশ করার পর আমার পিতৃদেবকে এই মাসিক সমারোহে অবশ্লষ্ট যোগদান করিতে হইত, কিন্তু তিনি বেশের কোন পরিবর্তন করিতেন না। একদিন চীলের ঘরের খড়খড়ি হইতে ইহা লক্ষা করিয়া মহারাণী অসভষ্ট হন। শুনিয়া পিতাঠাকুরমহাশয় বলিয়া পাঠাইয়াছিলেন যে, রাজার আমলে তিনি যেরূপ সজ্জা করিয়া তার সঙ্গে বাহির হইতেন, এখন সেরূপ করিতে কষ্টবোধ করেন। শুনিয়া তাহার চক্ৰ জলে ভরিয়া আসিল, আর কখন সে প্রসঙ্গ তুলিতেন না। পোষ্যপুত্রের নাবালকি অবস্থায় কোন সমারোহ উপলক্ষে অথবা দন্ত্রান্ত কোন লোক হানি দিতে, আলিলে মহারাণীমাতাকে কখন কখন বাহিরের বৈঠকখানায় আসিতে इश्छ । },তথা স্বৰ্গীয় রাজাবাহাদুরের वक्रमथfन !
[૭% ૬૪નાર কৰ্ম্মচারিগণপরিবেষ্টঙ তৈলচিত্র লম্ববান ছিল। কদাচিৎ সে দিকে দৃষ্টি পড়িলে তাহার মুখ রক্তিম ও চক্ষু অশ্রপুর্ণ হইয়া উঠিত। এইজষ্ঠ সচরাচর তৈলচিত্ৰখানি বস্ত্রাবৃত করিয়া রা झठेठ । r . প্রথমত স্বামীর আগ্রহে এবং পরে তার পিতার যত্নে মহারাণীমাল বেশ লিখিতেপড়িতে শিথিয়াছিলেন । পিতৃদেবের মুখে শুনিয়াছি, কলিকাতায় শ্রামবাজারে অবস্থানসময়ে রাজার ঠার প্রতি আদেশ ছিল, রাণীর কোন-কিছুর দরকার হইলে শ্লেটে তিনি লিগিয়া পাঠাইবেন এবং লেখায় ভূল থাকিলে সংশোধন করিয়া দিতে হইবে । এইরূপে ক্টার হস্বাক্ষর ও বর্ণবিলাস ফ্রস্ত হষ্টয়াছিল । র্তাহার কুয়ে সুন্দর সুস্পষ্ট হস্তাক্ষর সচরাচর দেখা যায় না । ইদানীং তার হাতের লেখা কতকগুলি খাতা দেখিয়াছিলাম, তাহাতে ভাল ভাল পুস্তক-হইতে নকল করিয়া তিনি হস্তাক্ষর-উন্নতির চেষ্টা করিয়াছিলেন । প্রতিদিন লিপি সমাপ্ত করিয়া যে তারিখ ও সময় লিথিয় রাথিতেন, তাঙ্গতে অধিকাংশ লেখা যায় । প্রথম-প্রথম পুঠিয়ায় গিয়া দেখিতাম, জ্যোৎস্নারাত্রে ছাদে বসিয়া তিনি বাঙলা সাপ্তাতিক কি মাসিক পত্র অথবা কোন পুস্তক চন্দ্রালোকে পাঠ করিতেছেন, সঙ্গে সঙ্গে পাশ্ববৰ্ত্তিনীদের নানা গল্প চলিত, কদাচিৎ মুখ তুলিয়া তিনি কাহাকেও কিছুজিজ্ঞাসা করিকেল। এইরূপ পড়ার অভ্যাস ৪৫বংসর আমি নিজে দেখিয়াছি। আমি বিস্ময়প্রকাশ করিলে বলিতেন, এ তার অনেককালের অভ্যাস,.