পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छूउँीब्र नरशां ।] আকর্ষণে তাহার শক্তি বিভক্ত হইয়া পড়ে না । ছাত্রদের শিক্ষাকালও তাঁহাদের পক্ষে এইরূপ মানসিক ভ্ৰাণ-অবস্থা । এই সময়ে তাহারা জ্ঞানের একটি সজীব বেষ্টনের মধ্যে দিনরাত্রি মনের খোৰুকের মধ্যেই বাস করিয়া বাহিরের সমস্ত বিভ্রাস্তি হইতে দূরে গোপনে যাপন করিবে, ইহাই স্বাভাবিক বিধান। এই সময়ে চতুর্দিকে সমস্তই তাহদের অমুকুল হওয়া চাই, যাহাতে তাহাদের মনের একমাত্র কাজ হয়—জানিয়া এবং না জানিয়া খাদ্যশোষণ, শক্তিসঞ্চয় এবং নিজের পুষ্টিসাধন করা। সংসার কাজের জায়গা এবং নানা প্রবৃত্তির লীলাভূমি—সেখানে এমন অনুকুল অবস্থার সংঘটন হওয়া বড় কঠিন, যাহাতে শিক্ষাকালে অক্ষুদ্ধভাবে ছেলের শক্তিলাভ এবং পরিপূর্ণ জীবনের মূলপত্তন করিতে পারে। শিক্ষা সমাধা হইলে গৃহী হইবার যথার্থ ক্ষমতা তাহাদের জন্মিবে—কিন্তু সংসারের সমস্ত প্রবৃত্তিসংঘাতের মধ্যে যথেচ্ছ মানুষ হইলে গৃহস্থ হইবার উপযুক্ত মনুষ্যত্ব লাভ করা যায় না—বিষয়ী হওয়া যায়, ব্যবসায়ী হওয়া যায়, কিন্তু মানুষ হওয়া কুঠিন হয়। একদিন গৃহধৰ্ম্মের আদর্শ আমাদের দেশে অত্যন্ত উচ্চ ছিল বলিয়াই সমাজে তিন বর্ণকে সংসারপ্রবেশের পূৰ্ব্বে ব্রহ্মচৰ্য্যপালনের দ্বারা নিজেকে প্রস্তুত্ব করিবার উপদেশ ও ব্যবস্থা ছিল। অনেকদিন হইতেই সে অাদর্শ হীন হইয়াছে এবং তাহার স্থলে কোনো মহান আদর্শই গ্রহণ করি নাই বলিয়া আজ আমরা কেরাণী, সেরেস্তাদার, দায়োগ, ডেপুটিম্যাজিcङ्गेऐ रुहेब्राहं गरुडे श्वोकि-ठांशग्न cबनि হওয়াকে মদ বলি না, তবে ৰাহুল্য বলি। শিক্ষাসমস্ত । 66 কিন্তু তাহার অনেক বেশিও বাহুল্য লয় । —আমি কেবল হিন্দুর তরফে বলিতেছি না— • কোনো দেশেই, কোনো সমাজেই বাহুল্য নয়।. অন্তদেশে ঠিক এইরূপ শিক্ষাপ্রণালী অবলম্বিত হয় নাই, অথচ তাহারা লড়াই করিতেছে, বাণিজ্য করিতেছে, টেলিগ্রাফের তার থাটাইতেছে, রেলগাড়ির এঞ্জিন চালাইতেছে—এ দেখিয়া আমরা ভুলিয়াছি ;-এ ভুল যে সভাস্থলে কোনো-একটা প্রবন্ধের আলোচনা করিয়াই ভাঙিবে, এমন আশা করিতে পারি না। অতএব আশঙ্কা হয়, আজ আমরা “জাতীয়” শিক্ষাপরিষৎ রচনা করিবার সময় নজির খুজিয়া ঘুরিয়-ফিরিয়া আরো একটা ছাচে-ঢালা কলের ইস্কুল তৈরি করিয়া বসিব । আমরা প্রকৃতিকে বিশ্বাস করি না, মানুষের প্রতি ভরসা রাখি না, কল বই আমাদের গতি নাই। আমরা মনে বুৰিয়াছি, নীতিপাঠের কল পাতিলেই মানুষ সাধু হইয়া উঠিবে এবং পুথি পড়াইবার বড় ফাদ পাতিলেই মানুষের তৃতীয়চক্ষু যে জ্ঞাননেত্র, তাহা আপনি. উদঘাটিত হইয়া যাইবে। 象 দস্তুরমত একটা ইস্কুল ফাদার চেয়ে জ্ঞানদানের উপযুক্ত আশ্রমস্থাপন কঠিন, তাহাতে সঙ্গেহ নাই। কিন্তু এই কঠিনকে সহজ করাই ভারতবর্ষের কাজ হইবে। কারু, এই আশ্রমের আদর্শ আমাদের কল্পনা হইতে এখনো বায় নাই এবং যুরোপের নানাপ্রকার বিদ্যাও আমাদের গোচর হইয়াছে। বিস্তালাভ ও জ্ঞানলাভের প্রণালীর মধ্যে জামাদিগকে সামঞ্জস্তস্থাপন করিতে হইৰে । ইহাই যদি না পারিলাম, তবে কেবলি নকলের দিকে