*Ꮌ©Ꮏr दछझर्श्वन । [ ७ळे बर्ष, श्रांबांछ । মন রাখিয় আমরা সৰ্ব্বপ্রকারে ব্যর্থ হইব । , অধিকারলাভ করিতে গেলেই আমরা পরের কাছে হাত পাতি এবং গড়িয়া তুলিতে গেলেই আমরা নকল করিতে বসিয়া যাই—নিজের শক্তি এবং নিজের মনের দিকে, দেশের প্রকৃতি ও দেশের যথার্থ প্রয়োজনের দিকে তীকাই না, তাকাইতে সাহসই হয় না। যে শিক্ষার ফলে আমাদের এই দশা হইতেছে, সেই শিক্ষাকেই নুতন একটা নাম দিয়া স্থাপন করিলেই যে তাহ নুতন ফল প্রসব করিতে থাকিবে, এরূপ আশা করিয়া সূতন আর-একটা নৈরাতের মুখে অগ্রসর হইতে প্রবৃত্তি হয় না। এ কথা আমাদিগকে মনে রাখিতে হইবে, যেখানে মুষলধারায় চাদার টাকা আসিয়া পড়ে, সেইখানেই যে শিক্ষা বেশি করিয়া জমা হইতে থাকে, তাহা নহে, মনুষ্যত্ব টাকায় কেনা যায় না ; যেখানে কমিটির নিয়মধারা অহরহ বর্ষিত হয়, সেইখানেই যে শিক্ষাকল্পলত তাড়াতাড়ি বাড়িয়া উঠে, তাহাও নহে, শুদ্ধমাত্র নিয়মাবলী অতি উত্তম হইলেও তাঁহ মাম্বরে মনকে খাদ্যদান করে না ; বহুবিধ-বিষয়-পাঠনার ব্যবস্থা করিলেই যে শিক্ষায় লাভের অঙ্ক অগ্রসর হয়, তাহী নহে, মানুষ যে বাড়ে, সে “ন মেধয়া ন বহুধা শ্রীতেন ।” যেখানে নিভৃতে তপস্ত হয়, সেখানেই আমরা শিখিতে পারি ; যেখানে গোপনে ত্যাগ, যেখানে একাস্তে সাধনা, সেইখানেই আমরা ਮਿੱਚ করি ; যেখানে সম্পূর্ণভাবে দান, সেইখানেই সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ সম্ভবপর ; যেখানে অধ্যাপকগণ জ্ঞানের চর্চায় স্বয়ং প্রবৃত্ত, সেইখানেই ছাত্রগণ বিদ্যাকে প্রত্যক্ষ দেখিতে পায় ; বাহিরে বিশ্বপ্রকৃতির আবির্ভাব যেখানে বাধাবিহীন, অস্তরে সেইখানেই মন সম্পূর্ণ বিকশিত ; ব্ৰহ্মচর্য্যের সাধনায় চয়িত্র যেখানে সুস্থ এবং আত্মবশ, ধৰ্ম্মশিক্ষ। সেখানেই সরল ও স্বাভাবিক ; আর যেখানে কৈবল পুথি ও মাষ্টার, সেনেটু ও সিণ্ডিকটু, ইটের কোঠা ও কাঠের আসবাব, সেখানে আজও আমরা যত বড় হইয়া উঠিয়াছি, কালও আমরা তত বড়টা হইয়াই বাহির হইব । ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রাচীন সামাজিক চিত্র। সেবক পুরাকালে সুৰ্য্যসমাজে সেবক বা ভৃত্য কি কি গায়ে স্থংগৃহীত হইত ও তাহারা কতপ্রকার ছিল, ইত্যাদি সম্বন্ধে বর্তমান প্রবন্ধে কিঞ্চিৎ জালোচনা করা যাইবে । নারদষ্কৃত স্থতিতে দেখা যায়, পূৰ্ব্বকালে ‘শুশ্ৰষক’ বা সেবক প্রধানত इहे ভাগে বিভক্ত হইত ; যথা—প্রথম ‘কৰ্ম্মকর', দ্বিতীয় ‘দাস’। ‘কৰ্ম্মকর চতুবিধ ; যথা—১ শিষ্য,
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।