তৃতীয় সংখ্যা । ] বুদ্ধিতেও অবগু ব্ৰাহ্মণাদির সেবা করিত (কুৰুকভট্ট) । শাস্ত্রকাশের অস্থশাসন আলোচনা করিলে বুঝা যায় যে, যদি কোন প্রভু দয়া করিয়া কোন পূদ্রদাসকে মুক্তিপ্রদান করিতেন, তবে সেই শূদ্ৰ পূৰ্ব্বপ্রভুর সেবা না কৰিলেও তাহাকে অপর প্রভুর সেবা করিতে হইত। শূদ্রদাসসম্বন্ধে আরও উক্ত হইয়াছে যে, ব্রাহ্মণ বিস্রন্ধচিত্তে তাহার ধনগ্রহণ করিতে পারিতেন, কেন না, তাহার निश्छद्र किङ्गहे नाई, खैर्शज गमख्हे eडू হার্য্য * এই প্রসঙ্গেই বলা হইয়াছে যে, ভাৰ্য্য, দাস ও পুত্র, ইহার তিনজন অধীন, ইহারা যাহ-কিছু পায়, তাহা ইহাদের নিজের নহে,—ইহারা যাহার অধীনে থাকে, তিনিই তাহার অধিকারী। তবে দাস নিক্ষুের মুলারূপে যে ধন প্রাপ্ত হইত বা স্বামী সন্তুষ্ট হইয়া যাহা তাহাকে প্রদান করিতেন, তাহাতে স্বামীর কোন অধিকার থাকিত না। গৃহস্থিত দাস যদি কোন অদাসী স্ত্রীলোককে বিবাহ করে, তবে সেই স্ত্রীলোক গৃহস্বামীর দাসী হইত। যদি কোন পরাধীন দাস পূৰ্ব্বপ্রভুকে পরিত্যাগ করিয়া পুনৰ্ব্বার কোন নুতন প্রভুর নিকট দাসত্বস্বীকার করিত, তবে রাজামুশাসনে পূৰ্ব্বপ্রভূই ঐ দাসকে পাইতেন। দস্যরা বলপূৰ্ব্বক অপহরণ করিয়া দাসরূপে যাহাদিগকে বিক্রয় করিত, রাজা তাহাদিগকে মুক্ত করিয়া দিতেন। ক্রীতদাসগণের মধ্যে যদি কেহ কখন স্বপ্রভুকে প্রাণসংশয় বিপদ প্রাচীন সামাজিক চিত্র। "বিম্বন্ধং ব্রাহ্মণ শূদ্রাস্ত্রব্যোপাদানমাচরেং t সহি তস্যাস্তি কিঞ্চিৎ স্বং ভর্তৃহাৰ্য্যধনে হি স: " ンや9〉 হইতে রক্ষা করিত, তবে তাহার দাসত্বমুক্তি হইত এবং প্রভুর নিকট পুত্রের অংশ লাভ করিত। দুর্ভিক্ষকালে অন্নপ্রদানে প্রাণরক্ষা করায় যাহার দাসত্বস্বীকার করিত, তাহার মুক্তি ইচ্ছা করিলে প্রভুকে দুইটি গরু প্রদান করিতে হইত। যে ব্যক্তি নিজের দাসকে বন্ধক স্বরূপ রাখিয়া অপরের নিকট অর্থগ্রহণ করিতেন, তিনি . গৃহীত অর্থ পরিশোধ করিলে বন্ধকীভূত ( আহিত) দাসের মুক্তি হইত ; আর যদি ঐ অর্থ প্রদান করিতে তিনি অসমর্থ হইয়া ঋণদাতাকে বলিতেন যে, “এই ব্যক্তি তোমার দাস হইল, তবে ঐ হতভাগ্য ক্রীতদাসের দ্যায় গণ্য হইত। ঋণগ্রহণ করিয়া দাস্তস্বীকারস্থলে ঐ-ঋণ পরিশোধ করিলেই সেই দাস মুক্তি পাইত। কৃতক’ভূত্য অর্থাৎ যাহারা নিজের ইচ্ছায় কোন নিদিষ্টকালের জন্ত দাসত্বগ্রহণ করিত, কথিতকাল পূর্ণ হইলেই তাহারা মুক্ত হইত। ‘স্বেচ্ছাগত’, ‘যুদ্ধপ্রাপ্ত’ ও ‘দ্যুতজিত দাসগণ যতদিন নিজের প্রতিনিধিরূপে অপর এক. জনকে উপস্থিত করিতে না পারিত, ততুদিন তাহাদের মুক্তি হইত না । ‘ভক্তাস প্রভুর ভক্ত বা অন্ন পরিত্যাগ করিলেই মুক্ত হইত। ‘বড়বাকৃত দাসের বড়বা বা দাসীর মুক্তিতে মুক্তিলাভ করিত। বলপূর্বক কেহ দাসীকৃত হইলে রাজামুশাসনে তৎক্ষণাৎ তাহাকে পরিত্যাগ করিতে হইত। যদি কোন প্রভু নিজের দাসীকে উপভোগ করিতেন ও তাহাতে মনু ও দেৰল । "জালস্য হি ধন বৎ স্যাৎ স্বামী তন্ত্র প্রভু; স্মৃত: " কাত্যায়ন । , "অধনঞ্জয় এবৈতে ভাৰ্য্য দাসন্তথা স্বত: । যত্তে সমধিগচ্ছস্তি ষসৈতে তঞ্চ তদ্ধনম | মলু ও নীরদ ।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।